ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

বিদ্যুৎ সংযোগই নেই ১২টি গ্রামে, তারপরও এলো হাজার হাজার টাকার বিল!

বিদ্যুৎ সংযোগই নেই এলাকায়। অথচ বিদ্যুতের বিল এসেছে ১২টি গ্রামে। কারও বিলের অঙ্ক ৩০ হাজার টাকা তো কারও আবার ৬০ হাজার টাকা। এমন কাণ্ড দেখে হতবাক ওই ১২ গ্রামের বাসিন্দারা।

ভূতুড়ে এই বিদ্যুৎ বিলের ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার বারোটি গ্রামে। কয়েক হাজার টাকার বিদ্যুতের বিল এসেছে বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, কয়েক বছর আগে তাদের বাড়িতে বিদ্যুতের মিটার বসানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা মেলেনি। এমনকি বিদ্যুতের মিটার বসানোর জন্য টাকাও লাগবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বিদ্যুতের বিল এল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। এই বিল নিয়ে তারা কী করবেন, সে ব্যাপারেও শঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে তাদের মনে। যেসব গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা ছাড়াই বিল এসেছে, সেসব গ্রামের মধ্যে অন্যতম উত্তরপ্রদেশের খোকসা। ওই গ্রামে আড়াইশ’ মানুষের বসবাস রয়েছে।

সরোজ দেবী নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘তিন বছর আগে আমাদের বাড়িতে ৪টি মিটার বসানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে, এ জন্য টাকা লাগবে না। শিগগিরই বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়া যাবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।’

বিদ্যুতের বিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা বাড়িতে এসে মিটার পিছু ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা করে বিল দিয়েছেন। এত টাকা কীভাবে জোগাড় করে বিল মেটাবেন তা নিয়ে মাথায় হাত গ্রামের বাসিন্দাদের। অন্য একটি গ্রাম আলাউদ্দিনপুরের চিত্রও প্রায় একই রকম। সেখানকার কোনও কোনও বাসিন্দার বিদ্যুতের বিলের অঙ্ক ৪০ হাজার টাকা।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে শামলির পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার রাম কুমার বলেছেন, ‘এই ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের কথা ভাবা হচ্ছে।’ যদিও এসডিও রবি কুমার জানিয়েছেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। আনন্দবাজার।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

বিদ্যুৎ সংযোগই নেই ১২টি গ্রামে, তারপরও এলো হাজার হাজার টাকার বিল!

আপডেট সময় ০৯:২২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

বিদ্যুৎ সংযোগই নেই এলাকায়। অথচ বিদ্যুতের বিল এসেছে ১২টি গ্রামে। কারও বিলের অঙ্ক ৩০ হাজার টাকা তো কারও আবার ৬০ হাজার টাকা। এমন কাণ্ড দেখে হতবাক ওই ১২ গ্রামের বাসিন্দারা।

ভূতুড়ে এই বিদ্যুৎ বিলের ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার বারোটি গ্রামে। কয়েক হাজার টাকার বিদ্যুতের বিল এসেছে বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, কয়েক বছর আগে তাদের বাড়িতে বিদ্যুতের মিটার বসানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা মেলেনি। এমনকি বিদ্যুতের মিটার বসানোর জন্য টাকাও লাগবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বিদ্যুতের বিল এল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। এই বিল নিয়ে তারা কী করবেন, সে ব্যাপারেও শঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে তাদের মনে। যেসব গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা ছাড়াই বিল এসেছে, সেসব গ্রামের মধ্যে অন্যতম উত্তরপ্রদেশের খোকসা। ওই গ্রামে আড়াইশ’ মানুষের বসবাস রয়েছে।

সরোজ দেবী নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘তিন বছর আগে আমাদের বাড়িতে ৪টি মিটার বসানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে, এ জন্য টাকা লাগবে না। শিগগিরই বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়া যাবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।’

বিদ্যুতের বিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা বাড়িতে এসে মিটার পিছু ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা করে বিল দিয়েছেন। এত টাকা কীভাবে জোগাড় করে বিল মেটাবেন তা নিয়ে মাথায় হাত গ্রামের বাসিন্দাদের। অন্য একটি গ্রাম আলাউদ্দিনপুরের চিত্রও প্রায় একই রকম। সেখানকার কোনও কোনও বাসিন্দার বিদ্যুতের বিলের অঙ্ক ৪০ হাজার টাকা।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে শামলির পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার রাম কুমার বলেছেন, ‘এই ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের কথা ভাবা হচ্ছে।’ যদিও এসডিও রবি কুমার জানিয়েছেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। আনন্দবাজার।