ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

ফের ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা

লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর পরও বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট এখনো রয়ে গেছে। দুই, তিন ও পাঁচ লিটারের তেল কিছুটা সরবরাহ করলেও এক লিটারের তেল এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না তেল। এতে ক্রেতার পণ্যটি কিনতে এখনো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন-সরকারিভাবে ভোজ্যতেলের দাম আরও বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে কোম্পানিগুলো। যে কারণে এখনো বাজারে সরবরাহ করছে না।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ ও খোলা সয়াবিনের দাম ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে রাজধানীর খুচরা বাজারে এই দামে তেল নেই। খোলা সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা। দু-এক দোকানে আগের কেনা এক লিটারের বোতল তেল মিললেও বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

রাজধানীর জিনজিরা কাঁচাবাজারের মুদি বিক্রেতা সোহেল বলেন, সরকার নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে। পাঁচ লিটারের তেল ৮৩৭ টাকা কিনে ৮৫২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। দুই দিক থেকে লাভ করছে কোম্পানিগুলো। তিন লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ৫১৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বিক্রি করতে হচ্ছে ৫২৫ টাকায়। খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৮৮ টাকায় ডিলারদের কাছে কিনতে হয়। বিক্রি করতে হচ্ছে ১৮৫ টাকায়। পাম অয়েল ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিনতে হচ্ছে ১৭১ টাকায়।

তিনি জানান, ডিলাররা এখনও তেলের সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক করেনি। সরকারিভাবে মূল্য আরও বাড়ানার জন্য এখনও বাজারে সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। এক লিটারের তেল এখনও ডিলাররা দেননি। আর এখন লিটারপ্রতি কোম্পানিগুলো আমাদের ৩ টাকা লাভ করার সুযোগ দিয়েছে। যা আগে ৪-৫ টাকা ছিল। এতে ভোক্তার সঙ্গে আমাদেরও ঠকাচ্ছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, সরকারিভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে বাজারে সরবরাহ ঠিক করার কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। কিন্তু দাম বাড়লেও ক্রেতারা তেল পাচ্ছেন না। পেলেও নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। আমরা দেখেছি বিক্রেতারা এখনো তেল পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় সরকারসংশ্লিষ্টদের বাজারসহ কোম্পানিগুলোর মিলগুলোতে কঠোরভাবে তদারকি করা দরকার। অনিয়ম পেলে শাস্তির আওতায় আনা দরকার।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

ফের ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা

আপডেট সময় ০১:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর পরও বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট এখনো রয়ে গেছে। দুই, তিন ও পাঁচ লিটারের তেল কিছুটা সরবরাহ করলেও এক লিটারের তেল এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না তেল। এতে ক্রেতার পণ্যটি কিনতে এখনো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন-সরকারিভাবে ভোজ্যতেলের দাম আরও বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে কোম্পানিগুলো। যে কারণে এখনো বাজারে সরবরাহ করছে না।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ ও খোলা সয়াবিনের দাম ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে রাজধানীর খুচরা বাজারে এই দামে তেল নেই। খোলা সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা। দু-এক দোকানে আগের কেনা এক লিটারের বোতল তেল মিললেও বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

রাজধানীর জিনজিরা কাঁচাবাজারের মুদি বিক্রেতা সোহেল বলেন, সরকার নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে। পাঁচ লিটারের তেল ৮৩৭ টাকা কিনে ৮৫২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। দুই দিক থেকে লাভ করছে কোম্পানিগুলো। তিন লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ৫১৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বিক্রি করতে হচ্ছে ৫২৫ টাকায়। খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৮৮ টাকায় ডিলারদের কাছে কিনতে হয়। বিক্রি করতে হচ্ছে ১৮৫ টাকায়। পাম অয়েল ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিনতে হচ্ছে ১৭১ টাকায়।

তিনি জানান, ডিলাররা এখনও তেলের সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক করেনি। সরকারিভাবে মূল্য আরও বাড়ানার জন্য এখনও বাজারে সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। এক লিটারের তেল এখনও ডিলাররা দেননি। আর এখন লিটারপ্রতি কোম্পানিগুলো আমাদের ৩ টাকা লাভ করার সুযোগ দিয়েছে। যা আগে ৪-৫ টাকা ছিল। এতে ভোক্তার সঙ্গে আমাদেরও ঠকাচ্ছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, সরকারিভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে বাজারে সরবরাহ ঠিক করার কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। কিন্তু দাম বাড়লেও ক্রেতারা তেল পাচ্ছেন না। পেলেও নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। আমরা দেখেছি বিক্রেতারা এখনো তেল পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় সরকারসংশ্লিষ্টদের বাজারসহ কোম্পানিগুলোর মিলগুলোতে কঠোরভাবে তদারকি করা দরকার। অনিয়ম পেলে শাস্তির আওতায় আনা দরকার।