ঢাকা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতি শুক্রবার হাজারীবাগে বসবে কৃষকের বাজার

ঢাকা নগরবাসীর নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা পূরণে ‘এলাকাভিত্তিক কৃষকের বাজার’ কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ কৃষকের বাজার স্থাপন করা হয়েছে হাজারীবাগ ঝাউচর এলাকায়।

কেরানীগঞ্জের হজরতপুর থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাছাই করা ১০ জন নিরাপদ চাষি প্রতি শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ বাজারে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করবেন।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাজারীবাগ ঝাউচর প্রধান সড়কের পাশে এ বাজার উদ্বোধন করা হয়। নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে এ কৃষকের বাজার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

কৃষকের বাজার উদ্বোধন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরে আলম চৌধুরী বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যগত কল্যাণ বিবেচনায় কৃষকের বাজারের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা সহযোগিতা না করলে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন এবং বাজারটি সফলভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে বাজারটি পরিচালনা ও তদারকির ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর জাভিয়ে বোয়ান বলেন, কৃষকের বাজার কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা কৃষক ও ভোক্তার মাঝে দূরত্ব হ্রাসের চেষ্টা করছি, গ্রাম এবং নগর এলাকার দূরত্ব হ্রাসের চেষ্টা করছি। কৃষকের বাজার একদিকে এলাকাবাসীকে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেবে, অন্যদিকে কৃষকের হাতে তার পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত হবে। আজকের উদ্বোধনী আয়োজনের মাধ্যমে আমরা ৫৫ নং ওয়ার্ডে যাত্রা শুরু করলাম। কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে বাজারটি পরিচালিত ও টেকসই হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, কৃষক বাঁচলে আমাদের দেশ বাঁচবে। কৃষকরা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা স্বত্বেও পণ্যের সঠিক মূল্য এবং প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত। কৃষকের বাজারের মতো উদ্যোগ সমগ্র ঢাকা শহর এবং দেশজুড়ে বিস্তৃত হলে কৃষক ও ভোক্তা উভয়েই লাভবান হবে। পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। যা পক্ষান্তরে কৃষকদের নিরাপদ চাষে আগ্রহী করে তুলবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতি শুক্রবার হাজারীবাগে বসবে কৃষকের বাজার

আপডেট সময় ০৬:১৩:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

ঢাকা নগরবাসীর নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা পূরণে ‘এলাকাভিত্তিক কৃষকের বাজার’ কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ কৃষকের বাজার স্থাপন করা হয়েছে হাজারীবাগ ঝাউচর এলাকায়।

কেরানীগঞ্জের হজরতপুর থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাছাই করা ১০ জন নিরাপদ চাষি প্রতি শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ বাজারে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করবেন।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাজারীবাগ ঝাউচর প্রধান সড়কের পাশে এ বাজার উদ্বোধন করা হয়। নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে এ কৃষকের বাজার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

কৃষকের বাজার উদ্বোধন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরে আলম চৌধুরী বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যগত কল্যাণ বিবেচনায় কৃষকের বাজারের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা সহযোগিতা না করলে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন এবং বাজারটি সফলভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে বাজারটি পরিচালনা ও তদারকির ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর জাভিয়ে বোয়ান বলেন, কৃষকের বাজার কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা কৃষক ও ভোক্তার মাঝে দূরত্ব হ্রাসের চেষ্টা করছি, গ্রাম এবং নগর এলাকার দূরত্ব হ্রাসের চেষ্টা করছি। কৃষকের বাজার একদিকে এলাকাবাসীকে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেবে, অন্যদিকে কৃষকের হাতে তার পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত হবে। আজকের উদ্বোধনী আয়োজনের মাধ্যমে আমরা ৫৫ নং ওয়ার্ডে যাত্রা শুরু করলাম। কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে বাজারটি পরিচালিত ও টেকসই হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, কৃষক বাঁচলে আমাদের দেশ বাঁচবে। কৃষকরা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা স্বত্বেও পণ্যের সঠিক মূল্য এবং প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত। কৃষকের বাজারের মতো উদ্যোগ সমগ্র ঢাকা শহর এবং দেশজুড়ে বিস্তৃত হলে কৃষক ও ভোক্তা উভয়েই লাভবান হবে। পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। যা পক্ষান্তরে কৃষকদের নিরাপদ চাষে আগ্রহী করে তুলবে।