ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়েকে আন্দোলনে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন মাশরাফি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশ যখন উত্তাল। প্রতিদিনই বাড়ছিল নিহতের সংখ্যা; তখন ছাত্র ও সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা করা হয়েছিল যে, দেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এর পক্ষে দাঁড়াবেন। কিন্তু সে সময় কোনো কথা বলেননি তিনি। যা হতবাক করেছে তার ভক্ত ও সাধারণ ক্রীড়া প্রেমীদের।

তবে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক কারণে চুপ থাকলেও তার যে সমর্থন ছিল সেটা স্বীকার করেছেন মাশরাফি। সেই সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, নিজে আন্দোলনে সমর্থন জানাতে না পারলেও মেয়ে হুমায়রাকে আন্দোলনে যোগ দিতে উৎসাহ দিয়েছিলেন তিনি।

হুমায়রার আন্দোলনে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘আমার মেয়ে হুমায়রা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। আমার সেখানে অ্যাকাউন্ট থাকলেও সেভাবে দেখতাম না, ওকেও ফলো করতাম না। আমাকে আমার এক ছোট ভাই জানাল যে, হুমায়রা ইনস্টাগ্রামে অনেক কিছু দিচ্ছে বা শেয়ার করছে। ১৭ জুলাই থেকেই দিচ্ছে।’

মাশরাফি আরও বলেন, ‘আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম। ও বলল, হ্যাঁ, আমি এসব দিচ্ছি। তোমার কি আপত্তি আছে?’ আমি বললাম, না, আমার সমস্যা নেই। তোমার স্কুল থেকে বা বন্ধুরা আন্দোলনে গেলে তুমিও সঙ্গে থেকো। আমার পদের জন্য বা চেয়ারের জন্য তাকে বাধা পেতে হবে, এটা কখনো চাইনি।’

ব্যক্তিগতভাবে আন্দেলনে অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘শুধু আমি নই, আমার মনে হয়, এই আন্দোলন নিয়ে যারা কিছু লিখতে বা করতে পারেনি, তাদের সবাইকেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা ঘনিষ্ঠজনদের কাছে। আমি আমার অবস্থান বলেছি। কেউ একমত হয়েছে, কেউ হয়নি।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মেয়েকে আন্দোলনে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন মাশরাফি

আপডেট সময় ০৩:০১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশ যখন উত্তাল। প্রতিদিনই বাড়ছিল নিহতের সংখ্যা; তখন ছাত্র ও সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা করা হয়েছিল যে, দেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এর পক্ষে দাঁড়াবেন। কিন্তু সে সময় কোনো কথা বলেননি তিনি। যা হতবাক করেছে তার ভক্ত ও সাধারণ ক্রীড়া প্রেমীদের।

তবে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক কারণে চুপ থাকলেও তার যে সমর্থন ছিল সেটা স্বীকার করেছেন মাশরাফি। সেই সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, নিজে আন্দোলনে সমর্থন জানাতে না পারলেও মেয়ে হুমায়রাকে আন্দোলনে যোগ দিতে উৎসাহ দিয়েছিলেন তিনি।

হুমায়রার আন্দোলনে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘আমার মেয়ে হুমায়রা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। আমার সেখানে অ্যাকাউন্ট থাকলেও সেভাবে দেখতাম না, ওকেও ফলো করতাম না। আমাকে আমার এক ছোট ভাই জানাল যে, হুমায়রা ইনস্টাগ্রামে অনেক কিছু দিচ্ছে বা শেয়ার করছে। ১৭ জুলাই থেকেই দিচ্ছে।’

মাশরাফি আরও বলেন, ‘আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম। ও বলল, হ্যাঁ, আমি এসব দিচ্ছি। তোমার কি আপত্তি আছে?’ আমি বললাম, না, আমার সমস্যা নেই। তোমার স্কুল থেকে বা বন্ধুরা আন্দোলনে গেলে তুমিও সঙ্গে থেকো। আমার পদের জন্য বা চেয়ারের জন্য তাকে বাধা পেতে হবে, এটা কখনো চাইনি।’

ব্যক্তিগতভাবে আন্দেলনে অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘শুধু আমি নই, আমার মনে হয়, এই আন্দোলন নিয়ে যারা কিছু লিখতে বা করতে পারেনি, তাদের সবাইকেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা ঘনিষ্ঠজনদের কাছে। আমি আমার অবস্থান বলেছি। কেউ একমত হয়েছে, কেউ হয়নি।’