ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

চট্টগ্রামে নবীর প্রেমে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জন্মদিনের উপলক্ষে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস। সোমবার সকাল ১০টায় ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে জুলুস শুরু হয়। জুলুসে নেতৃত্ব দিয়েছেন দরবারে আলীয়া কাদেরিয়া ছিরিকোট শরীফের সাজ্জাদানশীন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ। নবী প্রেমিদের এই জুলুস নগরীর বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর, দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড় হয়ে পুনরায় একই রুটে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া ময়দানে গিয়ে মিলিত হয়। পরবর্তীতে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে সম্মিলিত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে জুলুসের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। জুলুস চলাকালীন সময় হামদ, নাত, তাকবির, দরুদ শরিফ ও জিকিরে মুখরিত ছিল নগরীর সড়কগুলো। শিশু থেকে বৃদ্ধ নানান বয়সী নবী প্রেমী মুসল্লীরা পায়ে হেঁটে, মোটরসাইকেলে, ট্রাক পিকআপে অংশ নেন জুলুসে।জুলুসের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবকরা দ্বায়িত পালন করেছেন। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জানান= আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের (এএসএফ) ৩০০ প্রশিক্ষিত সদস্য এবার জুলুসের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে গাউসিয়া কমিটির কর্মী ও জামেয়ার হাজার হাজার ছাত্র স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন।জশনে জুলুসের আয়োজক প্রতিষ্ঠান আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের তথ্য অনুযায়ী, আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে শুরু হওয়া এই জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এখন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবীর জুলুসে এত বিশাল জমায়েত আর কোথাও হয় না বলে জানিয়েছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

চট্টগ্রামে নবীর প্রেমে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে

আপডেট সময় ০৬:৫৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জন্মদিনের উপলক্ষে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস। সোমবার সকাল ১০টায় ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে জুলুস শুরু হয়। জুলুসে নেতৃত্ব দিয়েছেন দরবারে আলীয়া কাদেরিয়া ছিরিকোট শরীফের সাজ্জাদানশীন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ। নবী প্রেমিদের এই জুলুস নগরীর বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর, দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড় হয়ে পুনরায় একই রুটে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া ময়দানে গিয়ে মিলিত হয়। পরবর্তীতে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে সম্মিলিত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে জুলুসের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। জুলুস চলাকালীন সময় হামদ, নাত, তাকবির, দরুদ শরিফ ও জিকিরে মুখরিত ছিল নগরীর সড়কগুলো। শিশু থেকে বৃদ্ধ নানান বয়সী নবী প্রেমী মুসল্লীরা পায়ে হেঁটে, মোটরসাইকেলে, ট্রাক পিকআপে অংশ নেন জুলুসে।জুলুসের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবকরা দ্বায়িত পালন করেছেন। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জানান= আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের (এএসএফ) ৩০০ প্রশিক্ষিত সদস্য এবার জুলুসের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে গাউসিয়া কমিটির কর্মী ও জামেয়ার হাজার হাজার ছাত্র স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন।জশনে জুলুসের আয়োজক প্রতিষ্ঠান আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের তথ্য অনুযায়ী, আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে শুরু হওয়া এই জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এখন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবীর জুলুসে এত বিশাল জমায়েত আর কোথাও হয় না বলে জানিয়েছেন।