ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সমাজকল্যাণমন্ত্রীর আশীর্বাদে মিজানের সম্পদের পাহাড় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির উদ্দেগে ২৮ শে ডিসেম্বর মহা সন্মেলনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, আহত ১২ বেলাবতে তারেক রহমানের ১৭তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে শীর্ষক আলোচনা দীর্ঘ সাত বছর পর আজ ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন ডুবাই প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরনবী ভুইয়া ক্রেস্ট কেলেঙ্কারির বাবুলের ১ সপ্তাহে তিন পদোন্নতি গোয়াইনঘাটে ৯০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ: ধরা যায়নি কাউকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব মহাসড়কে ঘুস আদায়, ১১ ট্রাফিক গ্রেফতার

আনিসুল-সালমানের পক্ষে ছিল না কোনো আইনজীবী

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বরে আনা হয়। পরে দুজনকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টার কিছু সময় আগে আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড আবেদন শুনানি হয়। পরে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তবে রিমান্ড আবেদন শুনানির সময় কোনো আইনজীবী পাননি আসামিপক্ষ (সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক)।

আদালসূত্রে জানা যায়, তাদের পক্ষে শুনানি করতে কোনো আইনজীবী রাজি হননি।

আসামিদের বিচার চেয়ে ঢাকা বারের সভাপতি খুরশীদ আলম মিয়া বলেন, এরা (সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এরা শিশু-কিশোরের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছিল।

আসামিদের সন্ধ্যায় আদালত এলাকায় আনা হলে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা সরকারের উঁচু পদের এই দুই ব্যক্তির বিচার দাবি করেন।
হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এর আগে বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করে কোস্টগার্ড। এরপর তারা এ দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের ডিবির হাতে সোপর্দ করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এদের মধ্যে একজন ছাত্র এবং একজন হকার। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়। এসব হত্যায় ইন্ধনদাতা হিসেবে এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আনিসুল-সালমানের পক্ষে ছিল না কোনো আইনজীবী

আপডেট সময় ১২:০২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বরে আনা হয়। পরে দুজনকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টার কিছু সময় আগে আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড আবেদন শুনানি হয়। পরে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তবে রিমান্ড আবেদন শুনানির সময় কোনো আইনজীবী পাননি আসামিপক্ষ (সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক)।

আদালসূত্রে জানা যায়, তাদের পক্ষে শুনানি করতে কোনো আইনজীবী রাজি হননি।

আসামিদের বিচার চেয়ে ঢাকা বারের সভাপতি খুরশীদ আলম মিয়া বলেন, এরা (সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এরা শিশু-কিশোরের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছিল।

আসামিদের সন্ধ্যায় আদালত এলাকায় আনা হলে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা সরকারের উঁচু পদের এই দুই ব্যক্তির বিচার দাবি করেন।
হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এর আগে বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করে কোস্টগার্ড। এরপর তারা এ দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের ডিবির হাতে সোপর্দ করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এদের মধ্যে একজন ছাত্র এবং একজন হকার। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়। এসব হত্যায় ইন্ধনদাতা হিসেবে এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।