ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষমতার সান্নিধ্যে বিত্তবান সাবেক সচিব খাইরুল কুমিল্লায় হাসপাতাল দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কেজি দরে বিআরটিসির বাস বিক্রি করে দিয়েছেন কর্মকর্তা

আনিসুল-সালমানের পক্ষে ছিল না কোনো আইনজীবী

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বরে আনা হয়। পরে দুজনকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টার কিছু সময় আগে আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড আবেদন শুনানি হয়। পরে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তবে রিমান্ড আবেদন শুনানির সময় কোনো আইনজীবী পাননি আসামিপক্ষ (সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক)।

আদালসূত্রে জানা যায়, তাদের পক্ষে শুনানি করতে কোনো আইনজীবী রাজি হননি।

আসামিদের বিচার চেয়ে ঢাকা বারের সভাপতি খুরশীদ আলম মিয়া বলেন, এরা (সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এরা শিশু-কিশোরের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছিল।

আসামিদের সন্ধ্যায় আদালত এলাকায় আনা হলে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা সরকারের উঁচু পদের এই দুই ব্যক্তির বিচার দাবি করেন।
হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এর আগে বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করে কোস্টগার্ড। এরপর তারা এ দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের ডিবির হাতে সোপর্দ করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এদের মধ্যে একজন ছাত্র এবং একজন হকার। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়। এসব হত্যায় ইন্ধনদাতা হিসেবে এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম

আনিসুল-সালমানের পক্ষে ছিল না কোনো আইনজীবী

আপডেট সময় ১২:০২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বরে আনা হয়। পরে দুজনকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টার কিছু সময় আগে আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড আবেদন শুনানি হয়। পরে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তবে রিমান্ড আবেদন শুনানির সময় কোনো আইনজীবী পাননি আসামিপক্ষ (সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক)।

আদালসূত্রে জানা যায়, তাদের পক্ষে শুনানি করতে কোনো আইনজীবী রাজি হননি।

আসামিদের বিচার চেয়ে ঢাকা বারের সভাপতি খুরশীদ আলম মিয়া বলেন, এরা (সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এরা শিশু-কিশোরের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছিল।

আসামিদের সন্ধ্যায় আদালত এলাকায় আনা হলে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা সরকারের উঁচু পদের এই দুই ব্যক্তির বিচার দাবি করেন।
হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এর আগে বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করে কোস্টগার্ড। এরপর তারা এ দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের ডিবির হাতে সোপর্দ করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এদের মধ্যে একজন ছাত্র এবং একজন হকার। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়। এসব হত্যায় ইন্ধনদাতা হিসেবে এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।