ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুক পেতে মন্দির ও সংখ্যালঘুদেরকে রক্ষার আহ্বান আসিফ নজরুলের

কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পক্ষে জোরাল ভূমিকা পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল। এ আন্দোলন নিয়ে তিনি সড়কে যেমন সরব তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন তিনি। মিছিল শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অনুভূতির কথা উল্লেখ করেছেন আলোচিত এই প্রফেসর। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘বহুদিন পর একটা টগবগে মিছিলে ছিলাম আজ (শুক্রবার)। সামনের সারিতে হাতের ভেতর হাত ঢুকিয়ে শেকলের মতো করে এগোচ্ছে আমাদের জেনারেশন জি-এর আগুনে সন্তানরা। আমাকে বলল, আমাদের ভেতর চলে আসুন স্যার।

এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তিনি সোমবার ফের আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেটা আবার একটু ভিন্নধর্মী। এ ধরনের আন্দোলন বা রাজনৈতিক বিভিন্ন অঘটনকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দেখা যায় কোনো হিন্দু এলাকা, মন্দির বা অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলার ঘটনা ঘটে।

তাই বর্তমান অবস্থার ওপর ভিত্তি করে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সর্তক করে স্ট্যাটাস দেন তিনি।

আসিফ নজরুল লিখেছেন, কোনো হিন্দু এলাকা বা মন্দির যেন আক্রান্ত না হয়। তাদের বুক দিয়ে রক্ষা করুন। কোনো ফাঁদে পা দেবেন না।

এর আগে রোববার গণমাধ্যমকর্মীদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে হিন্দু এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় ভাইবোনদেরকে রক্ষার বার্তা পাঠান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন। তিনি বলেন, যারা ঢাকায় আসতে পারবেন না, তারা বিভিন্ন জেলায় আমাদের হিন্দু এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় ভাইবোনদেরকে রক্ষা করার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন অবশ্যই। কেননা আমাদের আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা ও পরিকল্পনা চলছে। পরে ভিডিও প্রকাশ করে একই বার্তা দেন প্ল্যাটফর্মটির আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপাতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সমন্বয়করা।

এমন শঙ্কা প্রকাশ করে তারা বলেন, সোমবারের লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যারা ঢাকায় আসতে পারবেন না তাদের নিজ এলাকায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বুক পেতে মন্দির ও সংখ্যালঘুদেরকে রক্ষার আহ্বান আসিফ নজরুলের

আপডেট সময় ১০:৩২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পক্ষে জোরাল ভূমিকা পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল। এ আন্দোলন নিয়ে তিনি সড়কে যেমন সরব তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন তিনি। মিছিল শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অনুভূতির কথা উল্লেখ করেছেন আলোচিত এই প্রফেসর। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘বহুদিন পর একটা টগবগে মিছিলে ছিলাম আজ (শুক্রবার)। সামনের সারিতে হাতের ভেতর হাত ঢুকিয়ে শেকলের মতো করে এগোচ্ছে আমাদের জেনারেশন জি-এর আগুনে সন্তানরা। আমাকে বলল, আমাদের ভেতর চলে আসুন স্যার।

এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তিনি সোমবার ফের আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেটা আবার একটু ভিন্নধর্মী। এ ধরনের আন্দোলন বা রাজনৈতিক বিভিন্ন অঘটনকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দেখা যায় কোনো হিন্দু এলাকা, মন্দির বা অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলার ঘটনা ঘটে।

তাই বর্তমান অবস্থার ওপর ভিত্তি করে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সর্তক করে স্ট্যাটাস দেন তিনি।

আসিফ নজরুল লিখেছেন, কোনো হিন্দু এলাকা বা মন্দির যেন আক্রান্ত না হয়। তাদের বুক দিয়ে রক্ষা করুন। কোনো ফাঁদে পা দেবেন না।

এর আগে রোববার গণমাধ্যমকর্মীদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে হিন্দু এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় ভাইবোনদেরকে রক্ষার বার্তা পাঠান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন। তিনি বলেন, যারা ঢাকায় আসতে পারবেন না, তারা বিভিন্ন জেলায় আমাদের হিন্দু এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় ভাইবোনদেরকে রক্ষা করার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন অবশ্যই। কেননা আমাদের আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা ও পরিকল্পনা চলছে। পরে ভিডিও প্রকাশ করে একই বার্তা দেন প্ল্যাটফর্মটির আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপাতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সমন্বয়করা।

এমন শঙ্কা প্রকাশ করে তারা বলেন, সোমবারের লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যারা ঢাকায় আসতে পারবেন না তাদের নিজ এলাকায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।