ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে চরমপন্থি নেতা লাল্টুসহ আটক ২

নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা বিভাগের সামরিক প্রধান ও কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুল লতিফ লাল্টু ও তার সহযোগী ইদ্রিস মণ্ডলকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, দুটি ম্যাগাজিন ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব এসব তথ্য জানান।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যশোর শহরের রেলগেট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আব্দুল লতিফ লাট্টু কুষ্টিয়ার ইসলামী থানার দুর্বাচারা গ্রামের তেজারত মণ্ডলের ছেলে ও একই গ্রামের মঈনুদ্দীন মন্ডলের ছেলে ইদ্রিস মন্ডল।

মেজর মোহাম্মদ সাকিব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের রেলগেট পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি শুরু করে র্যাব। রাত ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেল তল্লাশির জন্য সিগন্যাল দিলে মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় র্যাব তাদের আটক করে।

পরে লাল্টুকে তল্লাশি করে ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৬ রাউন্ড গুলি এবং তার সঙ্গে থাকা ইদ্রিস মণ্ডলের হেফাজত থেকে একটি রিভলবার ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, ১৯৮৬-১৯৮৭ সালে নিষিদ্ধ ঘোষিত শীর্ষ চরমপন্থি সংগঠন বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা বিভাগের সামরিক প্রধান হিসেবে আব্দুল লতিফ লাল্টু সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত শীর্ষ চরমপন্থি সংগঠন ‘শ্রমজীবী গণমুক্তিফৌজ’ প্রতিষ্ঠা করে। তার বিশ্বস্ত কয়েকজন সহযোগীদের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করে। পরবর্তীতে তার নিজের এলাকায় একটি ২০-৩০ জনের গ্রুপ তৈরি করে নিজ জেলার মধ্যে খুন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও কন্ট্রাক্ট কিলিং মিশন শুরু করে।

বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর পুলিশের হাতে আটক হয়। দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আব্দুল লতিফ লাট্টুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রারী কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানাধীন দুর্বাচারা এলাকায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাট করেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলাসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যশোরে চরমপন্থি নেতা লাল্টুসহ আটক ২

আপডেট সময় ১১:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা বিভাগের সামরিক প্রধান ও কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুল লতিফ লাল্টু ও তার সহযোগী ইদ্রিস মণ্ডলকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, দুটি ম্যাগাজিন ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব এসব তথ্য জানান।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যশোর শহরের রেলগেট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আব্দুল লতিফ লাট্টু কুষ্টিয়ার ইসলামী থানার দুর্বাচারা গ্রামের তেজারত মণ্ডলের ছেলে ও একই গ্রামের মঈনুদ্দীন মন্ডলের ছেলে ইদ্রিস মন্ডল।

মেজর মোহাম্মদ সাকিব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের রেলগেট পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি শুরু করে র্যাব। রাত ১০টার দিকে একটি মোটরসাইকেল তল্লাশির জন্য সিগন্যাল দিলে মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় র্যাব তাদের আটক করে।

পরে লাল্টুকে তল্লাশি করে ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৬ রাউন্ড গুলি এবং তার সঙ্গে থাকা ইদ্রিস মণ্ডলের হেফাজত থেকে একটি রিভলবার ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, ১৯৮৬-১৯৮৭ সালে নিষিদ্ধ ঘোষিত শীর্ষ চরমপন্থি সংগঠন বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা বিভাগের সামরিক প্রধান হিসেবে আব্দুল লতিফ লাল্টু সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত শীর্ষ চরমপন্থি সংগঠন ‘শ্রমজীবী গণমুক্তিফৌজ’ প্রতিষ্ঠা করে। তার বিশ্বস্ত কয়েকজন সহযোগীদের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করে। পরবর্তীতে তার নিজের এলাকায় একটি ২০-৩০ জনের গ্রুপ তৈরি করে নিজ জেলার মধ্যে খুন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও কন্ট্রাক্ট কিলিং মিশন শুরু করে।

বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর পুলিশের হাতে আটক হয়। দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আব্দুল লতিফ লাট্টুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রারী কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানাধীন দুর্বাচারা এলাকায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাট করেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলাসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।