রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নে মরা পদ্মা নদীতে চলা অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে চলানো এ অভিযানে প্রায় ২০০ ফুট পাইপ ধ্বংস ও এক ড্রেজিং মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অবৈধ ড্রেজিংয়ের প্রধান হোতা স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম মোল্লা ওরফে নুরাল মেম্বার।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাউয়ালজানি ও তেনাপচা এলাকায় মরা পদ্মা নদী হতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছিল নুরাল মেম্বার, যুবক লাল্টু এলিটসহ কয়েকজন।
উত্তোলিত বালু বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে তারা হাতিয়ে নিচ্ছিল মোটা অঙ্কের টাকা। এতে নদীপারের বসতবাড়ি, ভিটেমাটি, ফসলি জমি এমনকি নিকটস্থ প্রাইমারি স্কুল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রায় ২০০ ফুট পাইপ দা দিয়ে কুপিয়ে ছিদ্র করে দেওয়া হয় এবং এলিট নামের এক যুবককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, উপজেলার কোথাও কেউ অবৈধ ড্রেজার ও ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে পারবে না। অবৈধভাবে নদী থেকে বালু-মাটি উত্তোলন বন্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, দুইটি ড্রেজার মেশিনের পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে এবং একজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদের খুঁজেও পাওয়া যায়নি।