ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নেত্রকোনায় কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, পুলিশ বলছে হত্যা লালমনিরহাটে কলা চাষে ঝুঁকছে চাষীরা। গরু চুরি করে ভূরিভোজন মাদারগঞ্জে সেই দম্পতিসহ তিনজনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার মাধবপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিলন মেলা ও আলোচনা সভা ঈশ্বরদীতে গভীর রাতে অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম শহীদ। ৩০ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত: প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে : গোয়াইনঘাটে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন ভোলা জেলার উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা হবে : আমিনুল হক মহিলালীগ নেত্রী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও এনজিওকর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি

কাফনের কাপড় জড়িয়ে রামেবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) অধীনে থাকা বিভিন্ন নার্সিং কলেজ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। দ্রুত সময়ে কোর্স ও পরীক্ষা শেষ করার দাবিতে বুধবার দুপুরে রামেবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দফতরের সামনে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ দিনের কর্মসূচিতে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজসহ রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত অন্যান্য বেসরকারি নার্সিং কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন।

কর্মসূচি চলাকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, রামেবি অধিভুক্ত ১৮টি নার্সিং কলেজে ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সের বিভিন্ন সেশনে বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় তিন হাজার। এর মধ্যে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬৬। গত বছরের ডিসেম্বরে এ সেশনের কোর্স শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু নতুন বছরের এই সাত মাসেও পরীক্ষার ঘোষণা দিতে পারেনি রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। তাই সেশনজটের কবলে পড়ে তারা আন্দোলন করছেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, এরই মধ্যে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ব্যতিক্রম কেবল রামেবির নার্সিং অনুষদ। এটি সারা দেশে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। তাই চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চতুর্থ বর্ষের সব পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করেন। না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।

তবে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আনোয়ার হাবিব জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাসেই তারা পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই তিনি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহবান জানান।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নেত্রকোনায় কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, পুলিশ বলছে হত্যা

কাফনের কাপড় জড়িয়ে রামেবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় ১২:৫৮:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) অধীনে থাকা বিভিন্ন নার্সিং কলেজ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। দ্রুত সময়ে কোর্স ও পরীক্ষা শেষ করার দাবিতে বুধবার দুপুরে রামেবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দফতরের সামনে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ দিনের কর্মসূচিতে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজসহ রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত অন্যান্য বেসরকারি নার্সিং কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন।

কর্মসূচি চলাকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, রামেবি অধিভুক্ত ১৮টি নার্সিং কলেজে ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সের বিভিন্ন সেশনে বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় তিন হাজার। এর মধ্যে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬৬। গত বছরের ডিসেম্বরে এ সেশনের কোর্স শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু নতুন বছরের এই সাত মাসেও পরীক্ষার ঘোষণা দিতে পারেনি রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। তাই সেশনজটের কবলে পড়ে তারা আন্দোলন করছেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, এরই মধ্যে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ব্যতিক্রম কেবল রামেবির নার্সিং অনুষদ। এটি সারা দেশে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। তাই চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চতুর্থ বর্ষের সব পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করেন। না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।

তবে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আনোয়ার হাবিব জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাসেই তারা পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই তিনি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহবান জানান।