ঢাকা ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরায়েল-হামাস পাকিস্তানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দলের ‘বিরল’ সফর বেরোবিতে ১৫ বছর পর প্রভাষক পদ ফিরে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের নেত্রকোনায় কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, পুলিশ বলছে হত্যা লালমনিরহাটে কলা চাষে ঝুঁকছে চাষীরা। গরু চুরি করে ভূরিভোজন মাদারগঞ্জে সেই দম্পতিসহ তিনজনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার মাধবপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিলন মেলা ও আলোচনা সভা ঈশ্বরদীতে গভীর রাতে অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম শহীদ। ৩০ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত: প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে : গোয়াইনঘাটে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন

পাকা ভবনসহ অর্ধশত বাড়িঘর যমুনায় বিলীন

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাট পাঁচিল গ্রামের কোবাদ মাস্টারের দোতলা পাকা ভবনসহ কয়েকটি গ্রামের অন্তত অর্ধশত বাড়িঘর, ফসলি জমি ও অসংখ্য গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম, আরকান্দি, পাড়ামহোনপুর, ঘাটাবাড়ি, জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, পাকুরতলা, গুচ্ছগ্রাম, সৈয়দপুর, কৈজুরি ইউনিয়নের হাট পাঁচিল, শরিফমোড়, মোনাকষা গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

শাহজাদপুর উপজেলার পাকুরতলা গ্রামের লাল মিয়া ও পাঁচিল গ্রামের আলাউদ্দিন, কালাম শেখ, আয়নাল হক অভিযোগ করে বলেন, চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জ পাউবোর ১৪ জন ঠিকাদার সমন্বিতভাবে যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করতেন, তাহলে এবার বর্ষায় আমাদের এ সর্বনাশ হতো না।

এ বিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, এ বছরও যমুনার ভাঙনে খুকনি, কৈজুরি ও জালালপুর ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত গ্রামগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েক দিনে অন্তত অর্ধশত বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ তিন বছরেও শেষ না হওয়ায় নদীতীরের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার হাসান মামুন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে চর জেগে ওঠায় প্রকল্প এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য নদীতে খনন কাজ চলছে। এ ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন রয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে জিওব্যাগভর্তি বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরায়েল-হামাস

পাকা ভবনসহ অর্ধশত বাড়িঘর যমুনায় বিলীন

আপডেট সময় ১০:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাট পাঁচিল গ্রামের কোবাদ মাস্টারের দোতলা পাকা ভবনসহ কয়েকটি গ্রামের অন্তত অর্ধশত বাড়িঘর, ফসলি জমি ও অসংখ্য গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম, আরকান্দি, পাড়ামহোনপুর, ঘাটাবাড়ি, জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, পাকুরতলা, গুচ্ছগ্রাম, সৈয়দপুর, কৈজুরি ইউনিয়নের হাট পাঁচিল, শরিফমোড়, মোনাকষা গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

শাহজাদপুর উপজেলার পাকুরতলা গ্রামের লাল মিয়া ও পাঁচিল গ্রামের আলাউদ্দিন, কালাম শেখ, আয়নাল হক অভিযোগ করে বলেন, চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জ পাউবোর ১৪ জন ঠিকাদার সমন্বিতভাবে যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করতেন, তাহলে এবার বর্ষায় আমাদের এ সর্বনাশ হতো না।

এ বিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, এ বছরও যমুনার ভাঙনে খুকনি, কৈজুরি ও জালালপুর ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত গ্রামগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েক দিনে অন্তত অর্ধশত বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ তিন বছরেও শেষ না হওয়ায় নদীতীরের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার হাসান মামুন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে চর জেগে ওঠায় প্রকল্প এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য নদীতে খনন কাজ চলছে। এ ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন রয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে জিওব্যাগভর্তি বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।