ঢাকা ০৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বোরহানউদ্দিনে বিক্ষোভ মিছিল নাটোরে সাবেক এমপি শিমুলের ক্যাডার আদালত চত্বরে মল নিক্ষেপ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে অংশ নেবেন যেভাবে কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কে ট্রাক উল্টে প্রাইভেটকারের ওপর নাটোরের সিংড়া কর্তব্যরত চিকিৎসক শিবলী নোমান শুভ নামে এক চিকিৎসককে লাঞ্ছিত ঘটনায় ২জন গ্রেতার একমাস মুম্বাইয়ে থাকবেন শাকিব, সঙ্গে কি ইধিকাও যাচ্ছেন? গাইবান্ধায় ভুয়া প্রেসক্লাব খুলে কথিত সাংবাদিকরা হেনাস্তা করছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের সাবেক এমপি প্রিন্সের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পঞ্চদশ সংশোধনী বৈধতার বিষয়ে হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানি ৩০ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র জনগণ রুখে দাঁড়াবে শাহজাহান চৌধুরী

পাকা ভবনসহ অর্ধশত বাড়িঘর যমুনায় বিলীন

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাট পাঁচিল গ্রামের কোবাদ মাস্টারের দোতলা পাকা ভবনসহ কয়েকটি গ্রামের অন্তত অর্ধশত বাড়িঘর, ফসলি জমি ও অসংখ্য গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম, আরকান্দি, পাড়ামহোনপুর, ঘাটাবাড়ি, জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, পাকুরতলা, গুচ্ছগ্রাম, সৈয়দপুর, কৈজুরি ইউনিয়নের হাট পাঁচিল, শরিফমোড়, মোনাকষা গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

শাহজাদপুর উপজেলার পাকুরতলা গ্রামের লাল মিয়া ও পাঁচিল গ্রামের আলাউদ্দিন, কালাম শেখ, আয়নাল হক অভিযোগ করে বলেন, চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জ পাউবোর ১৪ জন ঠিকাদার সমন্বিতভাবে যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করতেন, তাহলে এবার বর্ষায় আমাদের এ সর্বনাশ হতো না।

এ বিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, এ বছরও যমুনার ভাঙনে খুকনি, কৈজুরি ও জালালপুর ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত গ্রামগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েক দিনে অন্তত অর্ধশত বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ তিন বছরেও শেষ না হওয়ায় নদীতীরের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার হাসান মামুন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে চর জেগে ওঠায় প্রকল্প এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য নদীতে খনন কাজ চলছে। এ ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন রয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে জিওব্যাগভর্তি বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বোরহানউদ্দিনে বিক্ষোভ মিছিল

পাকা ভবনসহ অর্ধশত বাড়িঘর যমুনায় বিলীন

আপডেট সময় ১০:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাট পাঁচিল গ্রামের কোবাদ মাস্টারের দোতলা পাকা ভবনসহ কয়েকটি গ্রামের অন্তত অর্ধশত বাড়িঘর, ফসলি জমি ও অসংখ্য গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম, আরকান্দি, পাড়ামহোনপুর, ঘাটাবাড়ি, জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, পাকুরতলা, গুচ্ছগ্রাম, সৈয়দপুর, কৈজুরি ইউনিয়নের হাট পাঁচিল, শরিফমোড়, মোনাকষা গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

শাহজাদপুর উপজেলার পাকুরতলা গ্রামের লাল মিয়া ও পাঁচিল গ্রামের আলাউদ্দিন, কালাম শেখ, আয়নাল হক অভিযোগ করে বলেন, চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জ পাউবোর ১৪ জন ঠিকাদার সমন্বিতভাবে যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করতেন, তাহলে এবার বর্ষায় আমাদের এ সর্বনাশ হতো না।

এ বিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, এ বছরও যমুনার ভাঙনে খুকনি, কৈজুরি ও জালালপুর ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত গ্রামগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েক দিনে অন্তত অর্ধশত বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ তিন বছরেও শেষ না হওয়ায় নদীতীরের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার হাসান মামুন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে চর জেগে ওঠায় প্রকল্প এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য নদীতে খনন কাজ চলছে। এ ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন রয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে জিওব্যাগভর্তি বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।