ঢাকা ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

যুক্তরাজ্যে নির্বাচন কাল, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীর রেকর্ড

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন। এতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টি ও বিরোধী লেবার পার্টির মধ্যে। তবে বিভিন্ন জরিপের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, নির্বাচনে রেকর্ড ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। এদিকে দেশটির নির্বাচনে এবার রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে মোট আসন ৬৫০টি। সার্ভেশনসের সেন্ট্রাল সিনারিওর তথ্য অনুযায়ী, লেবার পার্টি ৪৮৪ আসনে জয় পেতে যাচ্ছে। যা দলটির সাবেক নেতা টনি ব্লেয়ারের আমলের ৪১৮টি আসনে জয়ের থেকেও বেশি হতে যাচ্ছে।

১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে কনজার্ভেটিভ পার্টি। পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দলটি মাত্র ৬৪ আসনে জয় পেতে পারে। যা হতে পারে দলটি প্রতিষ্ঠার পর সর্বনিম্ন আসনে জয়। ১৮৩৪ সালে কনজার্ভেটিভ দলের জন্ম হয়। তাছাড়া ডানপস্থি রিফর্ম ইউকে পার্টি জিততে পারে ৭ আসনে।

অন্যান্য এমআরপি বিশ্লেষণে লেবার পার্টির ছোট ব্যবধানে জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে রেডফিল্ড ও উইল্টন স্ট্র্যাটিজির জরিপেও লিবার পার্টির জয়ের কথা বলা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হয় পাঁচ বছরের। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কনজার্ভেটিভ পার্টি।

৪৪ বছরের ঋষি সুনাক কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সের প্রধানমন্ত্রী তিনি। অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কিয়ের স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর।

এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবার রেকর্ড ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী লড়াই করছেন, যার মধ্যে একক দল হিসেবে বিরোধী লেবার পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সর্বোচ্চ ৮ জন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানাচ্ছে, ৩৪ প্রার্থীর মধ্যে বেশিরভাগই এবার প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে আবার অনেকে গাজা সংকটে লেবার পার্টির অবস্থানের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ১১ জন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি, ২০১৯ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৪; আর এবার তা এক লাফে ৩৪ হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবার পার্টির ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, তাদের প্রার্থী তালিকায় ৮ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনই নারী। আর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তারা ২ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিককে এবার প্রার্থী করেছে।

অন্যান্য দলের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে ৬ জন, রিফর্ম ইউকে থেকে ১ জন, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস (লিব ডেম) থেকে ১ জন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) থেকে ১ জন, গ্রিন থেকে ৩ জন এবং সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে ১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী সাধারণ নির্বাচনে নিজ নিজ দলের টিকেট পেয়েছেন।

এই ২৩ জনের বাইরে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ১১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক।

বিবিসি বলছে, মূলত গাজায় ইসরাইলের হামলা নিয়ে লেবার পার্টি এবং দলটির এমপিদের নীরবতার প্রতিবাদ হিসেবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

যুক্তরাজ্যে নির্বাচন কাল, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীর রেকর্ড

আপডেট সময় ১২:২৫:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন। এতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টি ও বিরোধী লেবার পার্টির মধ্যে। তবে বিভিন্ন জরিপের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, নির্বাচনে রেকর্ড ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। এদিকে দেশটির নির্বাচনে এবার রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে মোট আসন ৬৫০টি। সার্ভেশনসের সেন্ট্রাল সিনারিওর তথ্য অনুযায়ী, লেবার পার্টি ৪৮৪ আসনে জয় পেতে যাচ্ছে। যা দলটির সাবেক নেতা টনি ব্লেয়ারের আমলের ৪১৮টি আসনে জয়ের থেকেও বেশি হতে যাচ্ছে।

১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে কনজার্ভেটিভ পার্টি। পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দলটি মাত্র ৬৪ আসনে জয় পেতে পারে। যা হতে পারে দলটি প্রতিষ্ঠার পর সর্বনিম্ন আসনে জয়। ১৮৩৪ সালে কনজার্ভেটিভ দলের জন্ম হয়। তাছাড়া ডানপস্থি রিফর্ম ইউকে পার্টি জিততে পারে ৭ আসনে।

অন্যান্য এমআরপি বিশ্লেষণে লেবার পার্টির ছোট ব্যবধানে জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে রেডফিল্ড ও উইল্টন স্ট্র্যাটিজির জরিপেও লিবার পার্টির জয়ের কথা বলা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হয় পাঁচ বছরের। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কনজার্ভেটিভ পার্টি।

৪৪ বছরের ঋষি সুনাক কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সের প্রধানমন্ত্রী তিনি। অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কিয়ের স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর।

এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবার রেকর্ড ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী লড়াই করছেন, যার মধ্যে একক দল হিসেবে বিরোধী লেবার পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সর্বোচ্চ ৮ জন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানাচ্ছে, ৩৪ প্রার্থীর মধ্যে বেশিরভাগই এবার প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে আবার অনেকে গাজা সংকটে লেবার পার্টির অবস্থানের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ১১ জন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি, ২০১৯ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৪; আর এবার তা এক লাফে ৩৪ হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবার পার্টির ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, তাদের প্রার্থী তালিকায় ৮ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনই নারী। আর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তারা ২ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিককে এবার প্রার্থী করেছে।

অন্যান্য দলের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে ৬ জন, রিফর্ম ইউকে থেকে ১ জন, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস (লিব ডেম) থেকে ১ জন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) থেকে ১ জন, গ্রিন থেকে ৩ জন এবং সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে ১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী সাধারণ নির্বাচনে নিজ নিজ দলের টিকেট পেয়েছেন।

এই ২৩ জনের বাইরে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ১১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক।

বিবিসি বলছে, মূলত গাজায় ইসরাইলের হামলা নিয়ে লেবার পার্টি এবং দলটির এমপিদের নীরবতার প্রতিবাদ হিসেবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।