ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় বিএসটিআই এর অভিযানে ও জরিমানা শুভ উদ্বোধন হলো ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) এর রংপুর শাখা রাজবাড়ীতে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের শীর্ষে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পুরো ঘটনাটাই ঘটেছিল উদ্দেশ্য প্রনিত ধুম্রজালে দখল-চাঁদাবাজি-ইজারায় হাত বদল: হেমায়েতপুর-আমিনবাজারে ‘নতুন সম্রাট’ মুশা সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শুভ উদ্বোধন হলো ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) এর রংপুর শাখা পানিতে ডুবে প্রতিটি মৃত্যুই প্রতিরোধযোগ্য: পঙ্কজ বড়ুয়া চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত

উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার ছবি!

কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজুর কার্যালয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের ছবি টাঙ্গানোর অভিযোগ উঠেছে। অথচ তিনি একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামি বলে জানা গেছে।

গত ১২ জুন চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ২৬ জুন উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শাফায়েত আজিজ রাজু পেকুয়া উপজেলা পরিষদ ভবনে তিন তলায় অবস্থিত চেয়ারম্যান কার্যালয়ে তার বসার চেয়ারের পেছনে সরকারি নিয়ম মোতাবেক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানো হয়। কিন্তু সরকারি কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি টাঙানোর নিয়ম না থাকলেও এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কার্যালয়ে!

মঙ্গলবার দুপুরে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের বসার টেবিলের বাম পাশের নিচে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের ছবি টাঙানো রয়েছে।

সালাহ উদ্দিনের ছবির সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবিও সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ডান পাশে চেয়ারম্যান নিজের ছবি টাঙিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের ছবির সঙ্গে সংযুক্ত করে দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ফারুক আযাদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকারি অফিসে সাজাপ্রাপ্ত আসামির ছবি টাঙানো যায় কিনা পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সরকারি গোয়েন্দা অফিসারের মাধ্যমে আমরা জানতে চাই? সরকারি অফিস থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামির ছবি না সরালে আমরা উপজেলার সামনে মানববান্ধন করতে বাধ্য হব।’

এদিকে উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতার ছবি টাঙানো নিয়ে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল বলেন, সরকারি কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবি টাঙানো উচিত হয়নি। সরকারি কার্যালয়ে আবেগ চলে না। অফিস দেখলে মনে হয় এটি বিএনপির কার্যালয়।

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি আমার নজরে আসার পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে বিএনপি নেতার ছবি সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারি অফিসে বিধিবহির্ভূত কোনো ব্যক্তি বিশেষের ছবি টাঙিয়ে রাখা বেআইনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ পেকুয়া উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা। তাই শ্রদ্ধার জায়গা থেকে তার ছবি টাঙানো হয়েছিল। পরবর্তী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিষেধ করার পরপরই সালাহ উদ্দিন আহমদের ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় বিএসটিআই এর অভিযানে ও জরিমানা

উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার ছবি!

আপডেট সময় ১২:৪৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজুর কার্যালয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের ছবি টাঙ্গানোর অভিযোগ উঠেছে। অথচ তিনি একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামি বলে জানা গেছে।

গত ১২ জুন চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ২৬ জুন উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শাফায়েত আজিজ রাজু পেকুয়া উপজেলা পরিষদ ভবনে তিন তলায় অবস্থিত চেয়ারম্যান কার্যালয়ে তার বসার চেয়ারের পেছনে সরকারি নিয়ম মোতাবেক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানো হয়। কিন্তু সরকারি কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি টাঙানোর নিয়ম না থাকলেও এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কার্যালয়ে!

মঙ্গলবার দুপুরে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের বসার টেবিলের বাম পাশের নিচে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের ছবি টাঙানো রয়েছে।

সালাহ উদ্দিনের ছবির সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবিও সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ডান পাশে চেয়ারম্যান নিজের ছবি টাঙিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের ছবির সঙ্গে সংযুক্ত করে দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ফারুক আযাদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকারি অফিসে সাজাপ্রাপ্ত আসামির ছবি টাঙানো যায় কিনা পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সরকারি গোয়েন্দা অফিসারের মাধ্যমে আমরা জানতে চাই? সরকারি অফিস থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামির ছবি না সরালে আমরা উপজেলার সামনে মানববান্ধন করতে বাধ্য হব।’

এদিকে উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতার ছবি টাঙানো নিয়ে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল বলেন, সরকারি কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবি টাঙানো উচিত হয়নি। সরকারি কার্যালয়ে আবেগ চলে না। অফিস দেখলে মনে হয় এটি বিএনপির কার্যালয়।

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি আমার নজরে আসার পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে বিএনপি নেতার ছবি সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারি অফিসে বিধিবহির্ভূত কোনো ব্যক্তি বিশেষের ছবি টাঙিয়ে রাখা বেআইনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ পেকুয়া উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা। তাই শ্রদ্ধার জায়গা থেকে তার ছবি টাঙানো হয়েছিল। পরবর্তী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিষেধ করার পরপরই সালাহ উদ্দিন আহমদের ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।