ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় বিএসটিআই এর অভিযানে ও জরিমানা শুভ উদ্বোধন হলো ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) এর রংপুর শাখা রাজবাড়ীতে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের শীর্ষে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পুরো ঘটনাটাই ঘটেছিল উদ্দেশ্য প্রনিত ধুম্রজালে দখল-চাঁদাবাজি-ইজারায় হাত বদল: হেমায়েতপুর-আমিনবাজারে ‘নতুন সম্রাট’ মুশা সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শুভ উদ্বোধন হলো ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) এর রংপুর শাখা পানিতে ডুবে প্রতিটি মৃত্যুই প্রতিরোধযোগ্য: পঙ্কজ বড়ুয়া চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত

এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে ২২ শিক্ষার্থীর মানববন্ধন

পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজের ২২ শিক্ষার্থী ও তাদের স্বজনসহ স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকদের দ্রুত বহিষ্কার এবং চলমান এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার এক দফা দাবি জানান তারা।

মঙ্গলবার সকালে বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার দিনেও নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজের ২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে এই কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধনটি নিকরাইল পলশিয়া রানী দিনমনী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শুরু হয়। পরে কলেজে গিয়ে ইট-পাটকেল ছোড়া ও কলেজে হামলা চালান শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা বলেন, কলেজের দুর্নীতিবাজ শিক্ষক বাংলা বিভাগের প্রভাষক লোকমান হোসেন আমাদের ২২ শিক্ষার্থীর থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েও ফরম পূরণ করে দেওয়ার নামে প্রতারণা করেছেন এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য আমরা পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত। আমরা পরীক্ষা দিতে চাই, পরীক্ষার সুযোগ করে দিতে হবে এবং জড়িত শিক্ষকদের বহিষ্কার দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ জানান, ২২ জন শিক্ষার্থী চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। অবৈধভাবে ফরম পূরণের কারণে তাদের আবেদনটি বাতিল করে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কলেজ পরিচালনা কমিটি। পরে সেটি তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।

গত ২৯ জুন কলেজে প্রবেশপত্র আনতে গিয়ে পাননি ওই ২২ শিক্ষার্থী। পরে কলেজ থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয় বলে জানান তারা। রোববার ৩০ জুন সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে নিকরাইল পলশিয়া রানী দীনমনি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে গেটে তালা ও বিক্ষোভ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায়। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়।

সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি প্রশাসন সমস্যা সমাধানের আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে কেন্দ্র ত্যাগ করে। তবে বিনা কারণে পুলিশ শিক্ষার্থীদের মারপিট করেছে বলে অভিযোগ তাদের।

এ বছর নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থও দিয়ে ওই কলেজের ২২ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় বিএসটিআই এর অভিযানে ও জরিমানা

এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে ২২ শিক্ষার্থীর মানববন্ধন

আপডেট সময় ১২:৪২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজের ২২ শিক্ষার্থী ও তাদের স্বজনসহ স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকদের দ্রুত বহিষ্কার এবং চলমান এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার এক দফা দাবি জানান তারা।

মঙ্গলবার সকালে বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার দিনেও নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজের ২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে এই কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধনটি নিকরাইল পলশিয়া রানী দিনমনী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শুরু হয়। পরে কলেজে গিয়ে ইট-পাটকেল ছোড়া ও কলেজে হামলা চালান শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা বলেন, কলেজের দুর্নীতিবাজ শিক্ষক বাংলা বিভাগের প্রভাষক লোকমান হোসেন আমাদের ২২ শিক্ষার্থীর থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েও ফরম পূরণ করে দেওয়ার নামে প্রতারণা করেছেন এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য আমরা পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত। আমরা পরীক্ষা দিতে চাই, পরীক্ষার সুযোগ করে দিতে হবে এবং জড়িত শিক্ষকদের বহিষ্কার দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ জানান, ২২ জন শিক্ষার্থী চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। অবৈধভাবে ফরম পূরণের কারণে তাদের আবেদনটি বাতিল করে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কলেজ পরিচালনা কমিটি। পরে সেটি তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।

গত ২৯ জুন কলেজে প্রবেশপত্র আনতে গিয়ে পাননি ওই ২২ শিক্ষার্থী। পরে কলেজ থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয় বলে জানান তারা। রোববার ৩০ জুন সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে নিকরাইল পলশিয়া রানী দীনমনি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে গেটে তালা ও বিক্ষোভ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায়। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়।

সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি প্রশাসন সমস্যা সমাধানের আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে কেন্দ্র ত্যাগ করে। তবে বিনা কারণে পুলিশ শিক্ষার্থীদের মারপিট করেছে বলে অভিযোগ তাদের।

এ বছর নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থও দিয়ে ওই কলেজের ২২ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি।