ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

সম্পদের মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের তিন মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের তিন মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন—বিসমিল্লাহ গ্রুপের মালিক ও মেসার্স সাহরিশ কম্পোজিট টাওয়াল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী নওরীন হাসিব এবং তার বাবা পরিচালক সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী।

তাদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৩ মার্চ দুদক আইনের ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

টেরিটাওয়েল (তোয়ালে জাতীয় পণ্য) উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মতিঝিল ও রমনা মডেল থানায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি ও ১৩ কর্মকর্তাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলার চার্জশিট দাখিল করে সংস্থাটি। বর্তমানে মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বিসমিল্লাহ গ্রুপের আত্মসাৎ করা ফান্ডেড টাকার পরিমাণ ৯৯০ কোটি আর নন-ফান্ডেডের পরিমাণ ১৮৪ কোটি। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৩০৭ কোটি, মগবাজার শাখা থেকে ১৭৭ কোটি ও এলিফ্যান্ট রোড শাখা থেকে ১৫ কোটি টাকা। আর প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৬৫ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৩ কোটি, যমুনা ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ১০৮ কোটি ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৯৩ কোটি টাকা। বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলেমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী নওরীন হাবিব ১২ মামলারই চার্জশিটভুক্ত আসামি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

সম্পদের মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের তিন মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট

আপডেট সময় ০৩:০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের তিন মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন—বিসমিল্লাহ গ্রুপের মালিক ও মেসার্স সাহরিশ কম্পোজিট টাওয়াল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী নওরীন হাসিব এবং তার বাবা পরিচালক সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী।

তাদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৩ মার্চ দুদক আইনের ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

টেরিটাওয়েল (তোয়ালে জাতীয় পণ্য) উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মতিঝিল ও রমনা মডেল থানায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি ও ১৩ কর্মকর্তাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলার চার্জশিট দাখিল করে সংস্থাটি। বর্তমানে মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বিসমিল্লাহ গ্রুপের আত্মসাৎ করা ফান্ডেড টাকার পরিমাণ ৯৯০ কোটি আর নন-ফান্ডেডের পরিমাণ ১৮৪ কোটি। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৩০৭ কোটি, মগবাজার শাখা থেকে ১৭৭ কোটি ও এলিফ্যান্ট রোড শাখা থেকে ১৫ কোটি টাকা। আর প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৬৫ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৩ কোটি, যমুনা ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ১০৮ কোটি ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৯৩ কোটি টাকা। বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলেমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী নওরীন হাবিব ১২ মামলারই চার্জশিটভুক্ত আসামি।