ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জয়পুরহাটে এবার চামড়ার দাম কিছুটা বেড়েছে

গত কয়েক বছর কোরবানির ঈদে চামড়া নিয়ে কেঁদেছেন অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী। ফলে এবার কমেছে মৌসুমি ব্যবসায়ীর সংখ্যা। আবার আড়ৎদারের কাছে দাম পেতে শুরু করেছে কোরবানির গরুর চামড়া।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন জয়পুরহাটের হাজীপাড়া চামড়া গোডাউনে গিয়ে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে ফিরছেন হাসিমুখে। তাদের একজন মো. আমির হোসেন।

জয়পুরহাট জেলার পার্শ্ববর্তী জেলা নওগাঁ থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ী মো. আমির হোসেন এক ট্রাক চামড়া নিয়ে এসেছেন আক্কেলপুরের সর্ববৃহৎ চামড়া আড়ৎদারের কাছে। এবার গরুর চামড়া বিক্রি করে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়নি কাওকেই।

এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আমির হোসেন বলেন, ‘দাম ঠিক আছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত দাম দিচ্ছেন। সাইজ যেইটা ভালো, সেটা আর একটি বেশি দিচ্ছেন।

আমির হোসেনসহ আরও বেশ কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী গরুর চামড়া বিক্রি করে প্রত্যাশিত দাম পেতে দেখা গেছে।

এদিকে, আড়ৎদার কামরুল ইসলাম এর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এবার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। জয়পুরহাট জেলা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মাদরাসা থেকেই আসছে বেশির ভাগ চামড়া।

চামড়ার আঁকার ও অবস্থা দেখে দাম নির্ধারণ করছেন আমার মতো সকল আড়ৎদাররা। সেক্ষেত্রে ছোট আঁকার ও কাটাছেঁড়া চামড়া কেনা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় কেনা হচ্ছে মাঝারি আঁকারের চামড়া। বড় আকারের চামড়া কিনতে আড়ৎদাররা ৯০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত গুনছেন।

আড়ৎদার ও বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, এই দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি।
উল্লেখ্য, এবার সরকারিভাবেও চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে৷ লবনযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা গত বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আড়ৎদার কামরুল ইসলাম আরও জানান এবার ছাগলের চামড়া নেই বলেই চলে যদি কয়েকটি ছাগলের ৫০ থেকে ৬০ মূল্যে চামড়া কেনা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে জয়পুরহাট জেলাটি ভারত সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় চামড়া পাঁচার রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন উল্লেখ করে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্ত এলাকা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪১ কিলোমিটার।

এর মধ্যে ২২ কিলোমিটার এলাকা তারকাটায় ঘেরা, বাকি ১৮ কিলোমিটার সীমান্তে তারকাটা নেই। চোরাকারবারিরা মূলত এই জায়গাগুলোকেই তাদের পাঁচারের পথ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তাই এই জায়গাগুলো সবসময় নজরদারির মধ্যে রাখা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদখোর চেয়ারম্যান সাইফুলের ঘরে আলাদিনের চেরাগ!

জয়পুরহাটে এবার চামড়ার দাম কিছুটা বেড়েছে

আপডেট সময় ১২:১৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

গত কয়েক বছর কোরবানির ঈদে চামড়া নিয়ে কেঁদেছেন অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী। ফলে এবার কমেছে মৌসুমি ব্যবসায়ীর সংখ্যা। আবার আড়ৎদারের কাছে দাম পেতে শুরু করেছে কোরবানির গরুর চামড়া।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন জয়পুরহাটের হাজীপাড়া চামড়া গোডাউনে গিয়ে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে ফিরছেন হাসিমুখে। তাদের একজন মো. আমির হোসেন।

জয়পুরহাট জেলার পার্শ্ববর্তী জেলা নওগাঁ থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ী মো. আমির হোসেন এক ট্রাক চামড়া নিয়ে এসেছেন আক্কেলপুরের সর্ববৃহৎ চামড়া আড়ৎদারের কাছে। এবার গরুর চামড়া বিক্রি করে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়নি কাওকেই।

এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আমির হোসেন বলেন, ‘দাম ঠিক আছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত দাম দিচ্ছেন। সাইজ যেইটা ভালো, সেটা আর একটি বেশি দিচ্ছেন।

আমির হোসেনসহ আরও বেশ কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী গরুর চামড়া বিক্রি করে প্রত্যাশিত দাম পেতে দেখা গেছে।

এদিকে, আড়ৎদার কামরুল ইসলাম এর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এবার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। জয়পুরহাট জেলা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মাদরাসা থেকেই আসছে বেশির ভাগ চামড়া।

চামড়ার আঁকার ও অবস্থা দেখে দাম নির্ধারণ করছেন আমার মতো সকল আড়ৎদাররা। সেক্ষেত্রে ছোট আঁকার ও কাটাছেঁড়া চামড়া কেনা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় কেনা হচ্ছে মাঝারি আঁকারের চামড়া। বড় আকারের চামড়া কিনতে আড়ৎদাররা ৯০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত গুনছেন।

আড়ৎদার ও বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, এই দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি।
উল্লেখ্য, এবার সরকারিভাবেও চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে৷ লবনযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা গত বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আড়ৎদার কামরুল ইসলাম আরও জানান এবার ছাগলের চামড়া নেই বলেই চলে যদি কয়েকটি ছাগলের ৫০ থেকে ৬০ মূল্যে চামড়া কেনা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে জয়পুরহাট জেলাটি ভারত সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় চামড়া পাঁচার রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন উল্লেখ করে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্ত এলাকা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪১ কিলোমিটার।

এর মধ্যে ২২ কিলোমিটার এলাকা তারকাটায় ঘেরা, বাকি ১৮ কিলোমিটার সীমান্তে তারকাটা নেই। চোরাকারবারিরা মূলত এই জায়গাগুলোকেই তাদের পাঁচারের পথ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তাই এই জায়গাগুলো সবসময় নজরদারির মধ্যে রাখা হয়।