ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থান কর্মসূচি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাহল পরিদর্শনে গিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড কুমিল্লায় বিএসটিআই ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা কুমিল্লায় ৯৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব লডাঙ্গায় মাছ চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় র‍্যাব ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা। অপ্রত্যাশিত ঘটনার দ্বারা শেষ হলো গোয়ানঘাটের আন্তঃ ইউনিয়ন অনূর্ধ্ব ১৭ এর (বালক) ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ বোরহানউদ্দিন সাংস্কৃতিক সংসদ কমিটি গঠন রসিক মেয়র কে দুদকের চিঠি সরিষার ক্ষেতের সৌন্দর্যের আড়ালে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার

চট্টগ্রাম নগরীতে রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি হচ্ছে কোরবানির মাংস

চট্টগ্রামে বিভিন্ন রাস্তার ধারে কোরবানির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতা হচ্ছেন প্রান্তিক লোকজন।আর ক্রেতা হচ্ছেন নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা। যারা এই ঈদে কোরবানি দিতে পারেনি। ঈদুল আজহা উপলক্ষে জবাই করা পশুর মাংস একদল মানুষ দিনব্যাপী সংগ্রহ করে অর্থ আয়ের আশায় রাস্তায় পাশে বসে তা বিক্রি করে।এ সময় দেখা যায়, একদল মানুষ তাদের সংগ্রহ করা মাংস কেজি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা করে বিক্রি করছেন।গোশত বিক্রি করতে বসা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, সারাদিন মাংস সংগ্রহ করেছি। শুধু আমি না, আমার ঘরের অন্য সদস্যরাও মাংস সংগ্রহ করেছে।

আমাদের তো ফ্রিজ নেই, যতটুকু দরকার ততটুকু রেখে বাকি মাংস বিক্রি করে দিচ্ছি। এতে কিছু আয় হচ্ছে আবার অন্যরাও খেতে পারছে। তিনি বলেন, যেহেতু বিভিন্ন গরুর মাংস মিশানো এবং এখানে হাড় কলিজা সব মিলানো তাই দামটা কম। ৪৫০শ’ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আবার ভাগা বিক্রি করছি ৩০০/৪০০ টাকা করে। যার যেভাবে সুবিধা কিনতে পারবে সেখানে শফিউল নামের একজন বিক্রেতা বলেন, আমরা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মাংস কিনে নিয়ে আবার কেজি হিসেবে বিক্রি করি। যারা সাধারণত কোরবানি দিতে পারেন না তারাই আমাদের কাছ থেকে ঈদের বিকেলে মাংস কিনে নিয়ে যান।
কোরবানির মাংস কিনতে আসা রিনা বেগম বলেন, ‘মানুষের বাসায় কাজ করি। কষ্ট করে সংসার চলে।

আত্মীয় স্বজন এমন কেউ নেই যে কোরবানির মাংস দেবে। তাই এখান থেকে ৫০০ টাকা করে তিন কেজি মাংস কিনছি। অর্ধেকটি নিজে রাখমু আর অর্ধেকটি মেয়ের বাড়িতে দিমু।’কোরবানির পশু থেকে যে মাংস পাওয়া যায় তা তিন ভাগ করা হয়। এর একটি ভাগ নিজের জন্য রেখে বাকি দুই ভাগ আত্মীয়-স্বজন এবং গরিবদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়। যদিও ক্ষেত্র বিশেষে এর ব্যতিক্রম করলে কোনো সমস্যা নেই, তবুও এভাবে ভাগ করে বিতরণ করাই আমাদের সমাজের প্রথা। বিতরণ করা এসব মাংসের একটি অংশ কয়েক হাত ঘুরে শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠছে ব্যবসার পণ্য ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থান কর্মসূচি

চট্টগ্রাম নগরীতে রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি হচ্ছে কোরবানির মাংস

আপডেট সময় ০১:৫১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

চট্টগ্রামে বিভিন্ন রাস্তার ধারে কোরবানির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতা হচ্ছেন প্রান্তিক লোকজন।আর ক্রেতা হচ্ছেন নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা। যারা এই ঈদে কোরবানি দিতে পারেনি। ঈদুল আজহা উপলক্ষে জবাই করা পশুর মাংস একদল মানুষ দিনব্যাপী সংগ্রহ করে অর্থ আয়ের আশায় রাস্তায় পাশে বসে তা বিক্রি করে।এ সময় দেখা যায়, একদল মানুষ তাদের সংগ্রহ করা মাংস কেজি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা করে বিক্রি করছেন।গোশত বিক্রি করতে বসা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, সারাদিন মাংস সংগ্রহ করেছি। শুধু আমি না, আমার ঘরের অন্য সদস্যরাও মাংস সংগ্রহ করেছে।

আমাদের তো ফ্রিজ নেই, যতটুকু দরকার ততটুকু রেখে বাকি মাংস বিক্রি করে দিচ্ছি। এতে কিছু আয় হচ্ছে আবার অন্যরাও খেতে পারছে। তিনি বলেন, যেহেতু বিভিন্ন গরুর মাংস মিশানো এবং এখানে হাড় কলিজা সব মিলানো তাই দামটা কম। ৪৫০শ’ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আবার ভাগা বিক্রি করছি ৩০০/৪০০ টাকা করে। যার যেভাবে সুবিধা কিনতে পারবে সেখানে শফিউল নামের একজন বিক্রেতা বলেন, আমরা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মাংস কিনে নিয়ে আবার কেজি হিসেবে বিক্রি করি। যারা সাধারণত কোরবানি দিতে পারেন না তারাই আমাদের কাছ থেকে ঈদের বিকেলে মাংস কিনে নিয়ে যান।
কোরবানির মাংস কিনতে আসা রিনা বেগম বলেন, ‘মানুষের বাসায় কাজ করি। কষ্ট করে সংসার চলে।

আত্মীয় স্বজন এমন কেউ নেই যে কোরবানির মাংস দেবে। তাই এখান থেকে ৫০০ টাকা করে তিন কেজি মাংস কিনছি। অর্ধেকটি নিজে রাখমু আর অর্ধেকটি মেয়ের বাড়িতে দিমু।’কোরবানির পশু থেকে যে মাংস পাওয়া যায় তা তিন ভাগ করা হয়। এর একটি ভাগ নিজের জন্য রেখে বাকি দুই ভাগ আত্মীয়-স্বজন এবং গরিবদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়। যদিও ক্ষেত্র বিশেষে এর ব্যতিক্রম করলে কোনো সমস্যা নেই, তবুও এভাবে ভাগ করে বিতরণ করাই আমাদের সমাজের প্রথা। বিতরণ করা এসব মাংসের একটি অংশ কয়েক হাত ঘুরে শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠছে ব্যবসার পণ্য ।