ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মাংস পেয়ে ইউএনওকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন আশ্রয়ণের বয়োবৃদ্ধ সোনাহর

সিলেটের গোলাপগঞ্জে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আশ্রয়ণ প্রকল্পে কুরবানির মাংস বিতরণ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। সোমবার গরু কুরবানি দেওয়ার পর বিকালে নিজে গাড়ি নিয়ে নিজ হাতে অসহায় ও এসব গরিব মানুষের মধ্যে মাংস বিতরণ করেন তিনি।

এ সময় তাকে দেখে উৎফুল্ল হয়ে পড়েন আশ্রয়ণ প্রকল্পের অসহায় লোকজন। মাংস হাতে পেয়ে ষাটোর্ধ সোনাহর আলী নামে এক ব্যক্তি ইউএনওকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন যুগান্তরকে বলেন, আমি সবসময় গরিব মানুষকে ভালবাসি। এ ভালবাসা থেকে আমি মাংসগুলো বিতরণ করেছি। এসব মানুষের মধ্যে আমি মাংস দিতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি।

জানা যায়, সোমবার সকালে কুরবানি ঈদের দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুনসহ অপর ২ জন সরকারি কর্মকর্তা মিলে গরু কোরবানি দেন। এরপর ৩ জনের মধ্যে মাংস গুলো ভাগ-বাটোয়ারার পর ইউএনও তার ভাগ থেকে কিছু মাংস আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী লোকজনের মধ্যে বিতরণ করেন।

মাংস হাতে পেয়ে ইমা বেগম বলেন, আমাদের খোজ কেউ নেয় না। আপনি আমাদের খোজ নিয়েছেন। আল্লাহ আপনার ভাল করুন।

শিল্পী বেগম নামে অপর এক নারী বলেন, স্যার আপনার কথা আমাদের মনে থাকবে, আমরা আপনার জন্য দোয়া করব।

এ সময় বৃদ্ধা শরই বেগম এসময় ইউএনওকে চা খাওয়াতে চান।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদখোর চেয়ারম্যান সাইফুলের ঘরে আলাদিনের চেরাগ!

মাংস পেয়ে ইউএনওকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন আশ্রয়ণের বয়োবৃদ্ধ সোনাহর

আপডেট সময় ১০:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

সিলেটের গোলাপগঞ্জে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আশ্রয়ণ প্রকল্পে কুরবানির মাংস বিতরণ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। সোমবার গরু কুরবানি দেওয়ার পর বিকালে নিজে গাড়ি নিয়ে নিজ হাতে অসহায় ও এসব গরিব মানুষের মধ্যে মাংস বিতরণ করেন তিনি।

এ সময় তাকে দেখে উৎফুল্ল হয়ে পড়েন আশ্রয়ণ প্রকল্পের অসহায় লোকজন। মাংস হাতে পেয়ে ষাটোর্ধ সোনাহর আলী নামে এক ব্যক্তি ইউএনওকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন যুগান্তরকে বলেন, আমি সবসময় গরিব মানুষকে ভালবাসি। এ ভালবাসা থেকে আমি মাংসগুলো বিতরণ করেছি। এসব মানুষের মধ্যে আমি মাংস দিতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি।

জানা যায়, সোমবার সকালে কুরবানি ঈদের দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুনসহ অপর ২ জন সরকারি কর্মকর্তা মিলে গরু কোরবানি দেন। এরপর ৩ জনের মধ্যে মাংস গুলো ভাগ-বাটোয়ারার পর ইউএনও তার ভাগ থেকে কিছু মাংস আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী লোকজনের মধ্যে বিতরণ করেন।

মাংস হাতে পেয়ে ইমা বেগম বলেন, আমাদের খোজ কেউ নেয় না। আপনি আমাদের খোজ নিয়েছেন। আল্লাহ আপনার ভাল করুন।

শিল্পী বেগম নামে অপর এক নারী বলেন, স্যার আপনার কথা আমাদের মনে থাকবে, আমরা আপনার জন্য দোয়া করব।

এ সময় বৃদ্ধা শরই বেগম এসময় ইউএনওকে চা খাওয়াতে চান।