ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রংপুরে শতবর্ষি ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে প্রেতাত্মাদের কালো থাবা থেকে রক্ষা করা জরুরী

১) কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,মুন্সীপাড়া/রংপুর,
২) মরিয়ম নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মুন্সীপাড়া/রংপুর,
৩) মরিয়ম নেছা প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়, মুন্সীপাড়া/রংপুর,

রংপুর শহরের প্রানকেন্দ্র মুন্সীপাড়ার ২ টি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা জামাত শিবিরে গুপ্ত কর্মী। একজন কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক অন্য জন মরিয়ম নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
বিগত দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির কমিটিতে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তারা এবং কিছু অসৎ শিক্ষক গন মিলে মিশে দূর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্য, অনিয়ম সহো সরকারি সম্পদ জাল সাক্ষর করে বিক্রির অভিযোগ উঠে এসেছে।

স্থানীয় বিভিন্ন সুত্র হতে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকা’র প্রতিনিধি কে অবগত করেন যে,উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান গুলি পরিচালিত হচ্ছে মনগড়া ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা। ঘুস নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ, দফতরি নিয়োগ,সার্টিফিকেট বানিজ্য, ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা থেকে কমিশন ইত্যাদি ইত্যাদি।

প্রতিনিধির প্রতিবেদনে জানা যায় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত উল্লেখ্যিত প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি শহরের মুন্সীপাড়ায় পাশাপাশি একই স্থানে অবস্থিত।

অভিযোগ নং ১
———————-
কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার একজন সহকারী শিক্ষিকাকে মাতৃত্বকালীন ছুটির নামে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে ছুটিতে রেখে তার বেতন ভাগাভাগি করে নিতেন।তিনি কোনো নোটিশ ছাড়াই দফতরি পদে নিয়োগ দিয়েছেন। আজ হতে ৫/৬ বছর পূর্বে একই স্কুলের সাবেক মরহুম নৈশপ্রহরী বাবুল মিয়া (৬৭) পেনশনের পুরো টাকা আজো পরিশোধ করা হয়ে নাই।বর্তমানে যিনি নৈশপ্রহরী মন্টু মিয়া দায়িত্বে রয়েছেন তারও ৩ বছরের বেতন প্রদান করা হয় নাই। প্রধান শিক্ষক এর কাছে কারন জানতে চাইলে বরাবরের মতো একই কথা বলেন “ফান্ডে টাকা নাই”। কয়েক বছর আগেও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে ছাত্র-ছাত্রী ছিলো ৪০০-৫০০ এখন প্রায় ১৫০ জনের মতো।এলাকার কিছু ষড়যন্ত্রি মহলের যোগসাজশে প্রতিষ্ঠান গুলি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

অভিযোগ নং ২
———————-
মরিয়ম নেছা প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে অভিযোগ হলো সহকারী শিক্ষকের সাক্ষর জাল করে স্কুলের পিছনের বিশাল দেয়ালের একাংশ এবং অনেক গুলি ব্রেন্চ বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিযোগ সত্যি বলে প্রমানিত হয়েছে। আর এই ঘটনার সাথে রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৮ নং ওয়ার্ড এর পুরুষ কাউন্সিলর অবগত রয়েছেন। এখন কথা হলো সরকারি সম্পদ বিক্রি করার অথরিটি কি শিক্ষক/শিক্ষিকা বা কাউন্সিলর এর হস্তক্ষেপ করার কোন নিয়ম আছে কি-না?
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং রংপুর জেলা প্রশাসক কে বলতে চাই যে, তিনি এই বিষয় গুলোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে পরেছে।

অভিযোগ নং ৩
——————-
মরিয়ম নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে যে অভিযোগ রয়েছে তা হলো, স্কুলের ছাত্রীদের পুরোনো বিল্ডিং এ ক্লাস নেয়া হয় সেখানে কয়েক বার ছাদ ধসে পরে ছাত্রীদের আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়, অথচ ছাত্রীদের জন্য নতুন বিল্ডিং এ প্রধান শিক্ষিকার নিজের অফিস কক্ষ বানিয়েছেন এ ছাড়াও পুরনো বিল্ডিং ভেঙ্গে যে সব ইট, রড বেরিয়েছে তার অধিকাংশই পাচার হয়ে গেছে রাতের আঁধারে। পাশাপাশি শিক্ষক কর্তিক ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকা’র প্রতিনিধির কাছে।
এলাকাবাসী সহ সকল জনগণের প্রত্যাশা শতবছরের এই প্রতিষ্ঠান গুলোকে রক্ষা করা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদখোর চেয়ারম্যান সাইফুলের ঘরে আলাদিনের চেরাগ!

রংপুরে শতবর্ষি ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে প্রেতাত্মাদের কালো থাবা থেকে রক্ষা করা জরুরী

আপডেট সময় ১১:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

১) কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,মুন্সীপাড়া/রংপুর,
২) মরিয়ম নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মুন্সীপাড়া/রংপুর,
৩) মরিয়ম নেছা প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়, মুন্সীপাড়া/রংপুর,

রংপুর শহরের প্রানকেন্দ্র মুন্সীপাড়ার ২ টি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা জামাত শিবিরে গুপ্ত কর্মী। একজন কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক অন্য জন মরিয়ম নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
বিগত দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির কমিটিতে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তারা এবং কিছু অসৎ শিক্ষক গন মিলে মিশে দূর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্য, অনিয়ম সহো সরকারি সম্পদ জাল সাক্ষর করে বিক্রির অভিযোগ উঠে এসেছে।

স্থানীয় বিভিন্ন সুত্র হতে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকা’র প্রতিনিধি কে অবগত করেন যে,উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান গুলি পরিচালিত হচ্ছে মনগড়া ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা। ঘুস নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ, দফতরি নিয়োগ,সার্টিফিকেট বানিজ্য, ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা থেকে কমিশন ইত্যাদি ইত্যাদি।

প্রতিনিধির প্রতিবেদনে জানা যায় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত উল্লেখ্যিত প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি শহরের মুন্সীপাড়ায় পাশাপাশি একই স্থানে অবস্থিত।

অভিযোগ নং ১
———————-
কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার একজন সহকারী শিক্ষিকাকে মাতৃত্বকালীন ছুটির নামে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে ছুটিতে রেখে তার বেতন ভাগাভাগি করে নিতেন।তিনি কোনো নোটিশ ছাড়াই দফতরি পদে নিয়োগ দিয়েছেন। আজ হতে ৫/৬ বছর পূর্বে একই স্কুলের সাবেক মরহুম নৈশপ্রহরী বাবুল মিয়া (৬৭) পেনশনের পুরো টাকা আজো পরিশোধ করা হয়ে নাই।বর্তমানে যিনি নৈশপ্রহরী মন্টু মিয়া দায়িত্বে রয়েছেন তারও ৩ বছরের বেতন প্রদান করা হয় নাই। প্রধান শিক্ষক এর কাছে কারন জানতে চাইলে বরাবরের মতো একই কথা বলেন “ফান্ডে টাকা নাই”। কয়েক বছর আগেও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে ছাত্র-ছাত্রী ছিলো ৪০০-৫০০ এখন প্রায় ১৫০ জনের মতো।এলাকার কিছু ষড়যন্ত্রি মহলের যোগসাজশে প্রতিষ্ঠান গুলি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

অভিযোগ নং ২
———————-
মরিয়ম নেছা প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে অভিযোগ হলো সহকারী শিক্ষকের সাক্ষর জাল করে স্কুলের পিছনের বিশাল দেয়ালের একাংশ এবং অনেক গুলি ব্রেন্চ বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিযোগ সত্যি বলে প্রমানিত হয়েছে। আর এই ঘটনার সাথে রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৮ নং ওয়ার্ড এর পুরুষ কাউন্সিলর অবগত রয়েছেন। এখন কথা হলো সরকারি সম্পদ বিক্রি করার অথরিটি কি শিক্ষক/শিক্ষিকা বা কাউন্সিলর এর হস্তক্ষেপ করার কোন নিয়ম আছে কি-না?
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং রংপুর জেলা প্রশাসক কে বলতে চাই যে, তিনি এই বিষয় গুলোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে পরেছে।

অভিযোগ নং ৩
——————-
মরিয়ম নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে যে অভিযোগ রয়েছে তা হলো, স্কুলের ছাত্রীদের পুরোনো বিল্ডিং এ ক্লাস নেয়া হয় সেখানে কয়েক বার ছাদ ধসে পরে ছাত্রীদের আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়, অথচ ছাত্রীদের জন্য নতুন বিল্ডিং এ প্রধান শিক্ষিকার নিজের অফিস কক্ষ বানিয়েছেন এ ছাড়াও পুরনো বিল্ডিং ভেঙ্গে যে সব ইট, রড বেরিয়েছে তার অধিকাংশই পাচার হয়ে গেছে রাতের আঁধারে। পাশাপাশি শিক্ষক কর্তিক ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকা’র প্রতিনিধির কাছে।
এলাকাবাসী সহ সকল জনগণের প্রত্যাশা শতবছরের এই প্রতিষ্ঠান গুলোকে রক্ষা করা।