ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কামারচর প্রাইমারি স্কুল হেড মাষ্টার বাছির সহকারী শিক্ষিকা ও নারী শিক্ষার্থীরা কুপ্রস্তাবের স্বীকার!

কুমিল্লা মুরাদনগর থানা কামারচর সরকারি প্রাইমারি স্কুলে দীর্ঘ দিন যাবত হেড মাষ্টারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন বাছির ধনি,পিতা: মৃত আবদুল কুদ্দুস, গ্রাম : কামারচর। এই হেডমাস্টার বাছির ধনির স্ত্রী মোসা:লিজা আক্তার ও কামারচর সরকারি প্রাইমারি স্কুলে সহকারী শিক্ষিকা
হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মোসা: লিজা আক্তার (সহকারী শিক্ষিকা) কামারচর গ্রামের ফেরদৌস খন্দকারের মেয়ে।আসুন জেনে নেই কে এই ফেরদৌস খন্দকার?

ফেরদৌস খন্দকার দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম খুলশী থানায় কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন,দায়িত্ব পালন সময়ে নারী ধর্ষনের অপরাধে চাকরিচ্যুত হয়।সংগ্রামের সময় পাকিস্তানিদের সহায়তা করে এলাকার হিন্দু পরিবার গুলোর উপর অত্যাচার বেশি করেতেন ফেরদৌস খন্দকার, হিন্দু মা মেয়দের ধর্ষণ নির্যাতন করতেন এই ফেরদৌস খন্দকার! সংগ্রামের পর পাকিস্তানি অস্ত্র গুলো দিয়ে এলাকায় চুরি, ডাকাতি,ছিনতাই করে আসছিলেন এই ফেরদৌস খন্দকার! দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ছলচাতুরী করে মুক্তিযুদ্ধার লিস্টে নাম লিখেয়ে নেন,সেই থেকে তিনি ভূয়া মুক্তিযুদ্ধার পরিচয় দিয়ে আসছেন। ফেরদৌস খন্দকার, বর্তমানে রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজ জামাতা হেডমাস্টার বাছির ধনি কে সঙ্গ দিয়ে আসছেন।

হেডমাষ্টার বাছির ধনি ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি কামারচর সরকারি প্রাইমারি স্কুলটাতে একক প্রভাববিস্তার করে আসছেন। হেডমাস্টার বাছিরের অত্যাচারে ভালো কোন শিক্ষক শিক্ষিকা কামারচর সরকারি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতে পারছেন না,বাদ্য হয়ে ছেড়েছেন স্কুল ।হেডমাস্টার বাছিরের লোভ লালসার স্বীকার হয়ে অনেক শিক্ষিকা ছেড়েছেন স্কুল যৌন হয়রানির হাত থেকে নিজের ইজ্জত বাঁচাতে!হেডমাস্টার বাছির ছাড়েন নি কোমলমতি নারী শিক্ষার্থীদেরও শ্রেনী কক্ষেই স্বীকার হতে হচ্ছে যৌন হয়রানির! যার হাজার হাজার প্রমাণ রয়েছে।

কামারচর সরকারি প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টার বাছির ধনি ও তার স্ত্রী লিজা মিলে লেখাপড়ার ১২টা বাজিয়ে দিয়েছেন! যা স্কুলের রেজাল্ট দেখলেও বুঝা যায়। শ্রেণী কক্ষে হয়না তেমন লেখাপড়া,কামারচর প্রাইমারি স্কুলেটা হেডমাস্টার বাছির ধনি ও তার স্ত্রী লিজা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খুলে বসেছেন কোচিং সেন্টার! ছাত্র ছাত্রীদের বাধ্য করছেন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে! সরকারি প্রাইমারি স্কুলে সরাসরি চলছে তাদের কোচিং সেন্টার। এছাড়াও হেডমাস্টার তার নিজ বাড়ীতে ও খুলে রেখেছেন কোচিং সেন্টার! হেডমাস্টার বাছির ও তার ক্ষমতাশীন শশুর ফেরদৌস খন্দকারের ভয়ে মুখ খুলেছেন না ছাত্র ছাত্রীদের গার্ডিয়ানরা সহ এলাকাবাসী!হেডমাস্টার বাছির সাধারণ কৃষকের ছলে হয়েও হয়ে উঠেছেন কোটি পতি এছাড়া রয়েছে সুদের ব্যবসা,আর সুদের টাকা ফেরত দিতে না পেরে সর্বশান্ত হয়ে এলাকা ছাড়তে হয়েছে গ্রামের অনেক পরিবারকে।

এলাকাবাসী ও ছাত্র ছাত্রীদের গার্ডিয়ানদের মধ্যে কেউ কিছু বলতে গেলে হেডমাস্টার বাছির ধনি তাদেরকে গুম খুন ও মামলার হুমকি ধামকি দিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চুপ করিয়ে রাখেন! তাছাড়া ও হেডমাস্টার বাছির ধনি স্কুলের দায়িত্ব ফেলে রেখে যোগদান করেন সকল রাজনৈতিক মিছিল মিটিং ও সমাবেশে!

ঠিক এই কারণেই সরকারি কর্ম কর্তারা কখনোই তাঁর নিজ এলাকায় চাকরি করতে পারে না,স্বামী স্ত্রী একই গ্রামের হয়ে নিজে গ্রামের সরকারি প্রাইমারি স্কুলে কি করে চাকরি করতে পারে? এই প্রশ্ন মুরাদনগরের সর্ব স্তরের জনগণের!

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদখোর চেয়ারম্যান সাইফুলের ঘরে আলাদিনের চেরাগ!

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কামারচর প্রাইমারি স্কুল হেড মাষ্টার বাছির সহকারী শিক্ষিকা ও নারী শিক্ষার্থীরা কুপ্রস্তাবের স্বীকার!

আপডেট সময় ১১:৪৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

কুমিল্লা মুরাদনগর থানা কামারচর সরকারি প্রাইমারি স্কুলে দীর্ঘ দিন যাবত হেড মাষ্টারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন বাছির ধনি,পিতা: মৃত আবদুল কুদ্দুস, গ্রাম : কামারচর। এই হেডমাস্টার বাছির ধনির স্ত্রী মোসা:লিজা আক্তার ও কামারচর সরকারি প্রাইমারি স্কুলে সহকারী শিক্ষিকা
হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মোসা: লিজা আক্তার (সহকারী শিক্ষিকা) কামারচর গ্রামের ফেরদৌস খন্দকারের মেয়ে।আসুন জেনে নেই কে এই ফেরদৌস খন্দকার?

ফেরদৌস খন্দকার দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম খুলশী থানায় কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন,দায়িত্ব পালন সময়ে নারী ধর্ষনের অপরাধে চাকরিচ্যুত হয়।সংগ্রামের সময় পাকিস্তানিদের সহায়তা করে এলাকার হিন্দু পরিবার গুলোর উপর অত্যাচার বেশি করেতেন ফেরদৌস খন্দকার, হিন্দু মা মেয়দের ধর্ষণ নির্যাতন করতেন এই ফেরদৌস খন্দকার! সংগ্রামের পর পাকিস্তানি অস্ত্র গুলো দিয়ে এলাকায় চুরি, ডাকাতি,ছিনতাই করে আসছিলেন এই ফেরদৌস খন্দকার! দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ছলচাতুরী করে মুক্তিযুদ্ধার লিস্টে নাম লিখেয়ে নেন,সেই থেকে তিনি ভূয়া মুক্তিযুদ্ধার পরিচয় দিয়ে আসছেন। ফেরদৌস খন্দকার, বর্তমানে রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজ জামাতা হেডমাস্টার বাছির ধনি কে সঙ্গ দিয়ে আসছেন।

হেডমাষ্টার বাছির ধনি ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি কামারচর সরকারি প্রাইমারি স্কুলটাতে একক প্রভাববিস্তার করে আসছেন। হেডমাস্টার বাছিরের অত্যাচারে ভালো কোন শিক্ষক শিক্ষিকা কামারচর সরকারি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতে পারছেন না,বাদ্য হয়ে ছেড়েছেন স্কুল ।হেডমাস্টার বাছিরের লোভ লালসার স্বীকার হয়ে অনেক শিক্ষিকা ছেড়েছেন স্কুল যৌন হয়রানির হাত থেকে নিজের ইজ্জত বাঁচাতে!হেডমাস্টার বাছির ছাড়েন নি কোমলমতি নারী শিক্ষার্থীদেরও শ্রেনী কক্ষেই স্বীকার হতে হচ্ছে যৌন হয়রানির! যার হাজার হাজার প্রমাণ রয়েছে।

কামারচর সরকারি প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টার বাছির ধনি ও তার স্ত্রী লিজা মিলে লেখাপড়ার ১২টা বাজিয়ে দিয়েছেন! যা স্কুলের রেজাল্ট দেখলেও বুঝা যায়। শ্রেণী কক্ষে হয়না তেমন লেখাপড়া,কামারচর প্রাইমারি স্কুলেটা হেডমাস্টার বাছির ধনি ও তার স্ত্রী লিজা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খুলে বসেছেন কোচিং সেন্টার! ছাত্র ছাত্রীদের বাধ্য করছেন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে! সরকারি প্রাইমারি স্কুলে সরাসরি চলছে তাদের কোচিং সেন্টার। এছাড়াও হেডমাস্টার তার নিজ বাড়ীতে ও খুলে রেখেছেন কোচিং সেন্টার! হেডমাস্টার বাছির ও তার ক্ষমতাশীন শশুর ফেরদৌস খন্দকারের ভয়ে মুখ খুলেছেন না ছাত্র ছাত্রীদের গার্ডিয়ানরা সহ এলাকাবাসী!হেডমাস্টার বাছির সাধারণ কৃষকের ছলে হয়েও হয়ে উঠেছেন কোটি পতি এছাড়া রয়েছে সুদের ব্যবসা,আর সুদের টাকা ফেরত দিতে না পেরে সর্বশান্ত হয়ে এলাকা ছাড়তে হয়েছে গ্রামের অনেক পরিবারকে।

এলাকাবাসী ও ছাত্র ছাত্রীদের গার্ডিয়ানদের মধ্যে কেউ কিছু বলতে গেলে হেডমাস্টার বাছির ধনি তাদেরকে গুম খুন ও মামলার হুমকি ধামকি দিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চুপ করিয়ে রাখেন! তাছাড়া ও হেডমাস্টার বাছির ধনি স্কুলের দায়িত্ব ফেলে রেখে যোগদান করেন সকল রাজনৈতিক মিছিল মিটিং ও সমাবেশে!

ঠিক এই কারণেই সরকারি কর্ম কর্তারা কখনোই তাঁর নিজ এলাকায় চাকরি করতে পারে না,স্বামী স্ত্রী একই গ্রামের হয়ে নিজে গ্রামের সরকারি প্রাইমারি স্কুলে কি করে চাকরি করতে পারে? এই প্রশ্ন মুরাদনগরের সর্ব স্তরের জনগণের!