ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

প্রস্তুত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ, জামাতের সময় ঘোষণা

ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত আয়তনের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহিদ বড় ময়দান। সোমবার ঈদুল আজহার দিন সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত।

বৃহৎ এই ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা সামশুল আলম কাশেমী। গতবারের ন্যায় এবারও এখানে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের জন্য থাকছে দুটি স্পেশাল ট্রেন।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গোড়-এ শহিদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই এই মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে বড় কোনো মিম্বর ছিল না। ২০১৫ সালে স্থানীয় এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা ও অর্থায়ন করেন। এরপর ২০১৭ সালে সম্পন্ন হয় নির্মাণকাজ। নির্মিত ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মিনার তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গম্বুজগুলোর দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ ফিট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ ফিট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। পুরো মিনার সিরামিক্স দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। রাত হলে ঈদগাহ মিনার আলোকিত হয়ে ওঠে।

২০১৭ সাল থেকেই প্রতিবারে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করছেন দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ইতোমধ্যেই প্রায় সম্পন্ন হয়েছে সবরকম প্রস্তুতি। সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এখন চলছে লাইন স্থাপনের কাজ।

দিনাজপুর সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুসল্লিদের জন্য ৩শ’টি ওজুখানা, ৪০টি টয়লেট ও খাবার পানি সরবরাহের জন্য ৫টি পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব-এর সমন্বয়ে ঈদগাহ মাঠে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠে স্থাপন করা হয়েছে ৫০টি সিসি ক্যামেরা। এছাড়া মাঠের মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টেও স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।

এদিকে শনিবার দুপুরে দিনাজপুর গোর-এ শহিদ ময়দান ঈদগাহের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে যান জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায়ের জন্য নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখানে কেউ যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটাতে পারে, সেজন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ কৌশল।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সার্বিকভাবে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হবে বৃহৎ এ ঈদগাহের জামাত।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদখোর চেয়ারম্যান সাইফুলের ঘরে আলাদিনের চেরাগ!

প্রস্তুত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ, জামাতের সময় ঘোষণা

আপডেট সময় ১১:২৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত আয়তনের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহিদ বড় ময়দান। সোমবার ঈদুল আজহার দিন সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত।

বৃহৎ এই ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা সামশুল আলম কাশেমী। গতবারের ন্যায় এবারও এখানে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের জন্য থাকছে দুটি স্পেশাল ট্রেন।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গোড়-এ শহিদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই এই মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে বড় কোনো মিম্বর ছিল না। ২০১৫ সালে স্থানীয় এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা ও অর্থায়ন করেন। এরপর ২০১৭ সালে সম্পন্ন হয় নির্মাণকাজ। নির্মিত ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মিনার তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গম্বুজগুলোর দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ ফিট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ ফিট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। পুরো মিনার সিরামিক্স দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। রাত হলে ঈদগাহ মিনার আলোকিত হয়ে ওঠে।

২০১৭ সাল থেকেই প্রতিবারে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করছেন দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ইতোমধ্যেই প্রায় সম্পন্ন হয়েছে সবরকম প্রস্তুতি। সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এখন চলছে লাইন স্থাপনের কাজ।

দিনাজপুর সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুসল্লিদের জন্য ৩শ’টি ওজুখানা, ৪০টি টয়লেট ও খাবার পানি সরবরাহের জন্য ৫টি পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব-এর সমন্বয়ে ঈদগাহ মাঠে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠে স্থাপন করা হয়েছে ৫০টি সিসি ক্যামেরা। এছাড়া মাঠের মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টেও স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।

এদিকে শনিবার দুপুরে দিনাজপুর গোর-এ শহিদ ময়দান ঈদগাহের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে যান জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায়ের জন্য নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখানে কেউ যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটাতে পারে, সেজন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ কৌশল।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সার্বিকভাবে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হবে বৃহৎ এ ঈদগাহের জামাত।