ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পশুর হাটে চাঁদাবাজি, চারজন গ্রেফতার

রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি কুরবানির পশুর হাটে গরুবাহী পিকআপ/মিনিট্রাকে অবৈধ টোকেনের মাধ্যমে চাঁদাবাজিকালে ইজারাদারের মেয়ের জামাইসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে যুগান্তরকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন তুরাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদাবাজির টোকেনসহ হাতেনাতে চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ইজারাদারের মেয়ের জামাই নাসির উদ্দিন (৫০)।

গ্রেফতার অন্যরা হলেন- তুরাগ থানাধীন নলভোগ এলাকার শামিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রনি (২২), পাকুরিয়ার শামসুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. তুহিন (১৯) এবং পাকুরিয়া তারা মসজিদ সংলগ্ন এলাকার ভাড়াটিয়া আতিকুর রহমান। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হাটে কুরবানির পশু পরিবহণে নিয়োজিত পিকআপ চালকদের কাছে লাল রঙের টোকেনের মাধ্যমে প্রতিটি পিকআপ থেকে ৪ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছিলেন প্রধান অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন। এ সময় তারা টোকেন ব্যতিত কোনো পিকআপকেই হাটে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না।

এজাহারে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন হাটের ১ নম্বর হাসিল ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে একেকটি টোকেন বিক্রি করছিলেন। এ সময় ভুক্তভোগী গাড়ি চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নাসির উদ্দিনের দেহ তল্লাশি করে পাঞ্জাবির পকেট থেকে নগদ ৭৯ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এ সময় নাসিরের পকেটে ৬১৭ নম্বর একটি টোকেনও পায় পুলিশ।

অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে একই পশুর হাটের বিভিন্ন খাবারের দোকান থেকে চাঁদাবাজিকালে রফিকুল ইসলাম ওরফে রুস্তম নামের একজনকে আটক করে তুরাগ থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্র জানায়, রুস্তম দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে শ্রমিক লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে হাটের আশপাশের এলাকার দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে দিয়াবাড়ি পশুর হাটের ইজারাদার কফিল উদ্দিন মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, আমি এখন কোর্টে এসেছি। গতকাল (শুক্রবার) আমার একটা ঝামেলা হয়েছিল, সেজন্য কোর্টে আছি। নিজ মেয়ের জামাই কর্তৃক হাটে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে কারা ফাঁসিয়েছে- প্রশ্ন করা হলে ইজারাদার কফিল উদ্দিন জবাব এড়িয়ে যান।

এদিকে চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা ও আদালতে প্রেরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, কফিল উদ্দিনের মেয়ের জামাই (নাসির উদ্দিন) হচ্ছে মূল। তিনি ১ নম্বর আসামি। তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, টাকা-পয়সা নিচ্ছিলেন। উনার কাছ থেকেই সবকিছু জব্দ করা হয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদখোর চেয়ারম্যান সাইফুলের ঘরে আলাদিনের চেরাগ!

পশুর হাটে চাঁদাবাজি, চারজন গ্রেফতার

আপডেট সময় ১১:১৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি কুরবানির পশুর হাটে গরুবাহী পিকআপ/মিনিট্রাকে অবৈধ টোকেনের মাধ্যমে চাঁদাবাজিকালে ইজারাদারের মেয়ের জামাইসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে যুগান্তরকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন তুরাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদাবাজির টোকেনসহ হাতেনাতে চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ইজারাদারের মেয়ের জামাই নাসির উদ্দিন (৫০)।

গ্রেফতার অন্যরা হলেন- তুরাগ থানাধীন নলভোগ এলাকার শামিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রনি (২২), পাকুরিয়ার শামসুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. তুহিন (১৯) এবং পাকুরিয়া তারা মসজিদ সংলগ্ন এলাকার ভাড়াটিয়া আতিকুর রহমান। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হাটে কুরবানির পশু পরিবহণে নিয়োজিত পিকআপ চালকদের কাছে লাল রঙের টোকেনের মাধ্যমে প্রতিটি পিকআপ থেকে ৪ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছিলেন প্রধান অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন। এ সময় তারা টোকেন ব্যতিত কোনো পিকআপকেই হাটে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না।

এজাহারে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন হাটের ১ নম্বর হাসিল ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে একেকটি টোকেন বিক্রি করছিলেন। এ সময় ভুক্তভোগী গাড়ি চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নাসির উদ্দিনের দেহ তল্লাশি করে পাঞ্জাবির পকেট থেকে নগদ ৭৯ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এ সময় নাসিরের পকেটে ৬১৭ নম্বর একটি টোকেনও পায় পুলিশ।

অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে একই পশুর হাটের বিভিন্ন খাবারের দোকান থেকে চাঁদাবাজিকালে রফিকুল ইসলাম ওরফে রুস্তম নামের একজনকে আটক করে তুরাগ থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্র জানায়, রুস্তম দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে শ্রমিক লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে হাটের আশপাশের এলাকার দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে দিয়াবাড়ি পশুর হাটের ইজারাদার কফিল উদ্দিন মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে বলেন, আমি এখন কোর্টে এসেছি। গতকাল (শুক্রবার) আমার একটা ঝামেলা হয়েছিল, সেজন্য কোর্টে আছি। নিজ মেয়ের জামাই কর্তৃক হাটে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে কারা ফাঁসিয়েছে- প্রশ্ন করা হলে ইজারাদার কফিল উদ্দিন জবাব এড়িয়ে যান।

এদিকে চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা ও আদালতে প্রেরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, কফিল উদ্দিনের মেয়ের জামাই (নাসির উদ্দিন) হচ্ছে মূল। তিনি ১ নম্বর আসামি। তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, টাকা-পয়সা নিচ্ছিলেন। উনার কাছ থেকেই সবকিছু জব্দ করা হয়েছে।