ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পুলিশের লাঠিপেটায়ও খুশি তারা!

ঈদুল আজহা উপলক্ষে রেলপথে প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের বগিতে জায়গা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনের ছাদেও মানুষের ভিড় হয়। ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ দণ্ডনীয় অপরাধ তাই পুলিশের লাঠিচার্জেও নামেনি যাত্রীরা। বরং পুলিশ লাঠিপেটা করলেও অনেকে হেসেও দিয়েছেন। বাড়ি যাওয়ার আনন্দে পুলিশের লাঠিপেটায়ও খুশি তারা।

শুক্রবার বিকাল ৫টায় টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে জামালপুরগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেনে এই দৃশ্য দেখা যায়।

সরেজমিন জানা যায়, প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা থেকে টঙ্গী পৌঁছে জামালপুর কমিউটার ট্রেন। ট্রেন স্টেশনে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে মানুষ ট্রেনে উঠা শুরু করে। ট্রেনের বগিতে তিল ধারণের জায়গা নেই। তাই মানুষ ট্রেনের ছাদে উঠতে থাকে। ট্রেনের ছাদেও জায়গা না পেয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের ছাদে উঠে যায় যাত্রীরা। এক পর্যায়ে রেলওয়ের পুলিশ লাঠিপেটা করলেও একজন যাত্রীও ছাদ থেকে নামেনি। বরং পুলিশের লাঠি খেয়ে অনেককে হাসতেও দেখা গেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রেন ছেড়ে দিলে ছাদে থাকা যাত্রীরা উল্লাসে ফেটে পড়ে মিছিল করতে করতে চলে যান।

ট্রেনের ইঞ্জিনের ছাদে থাকা যাত্রী রুহুল আমিন চিৎকার করে বলেন, পুলিশের লাঠি খেয়েও নামব না। বাড়ি যেতেই হবে। ঈদ বলে কথা।

টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ছোটন শর্মা যুগান্তরকে বলেন, ছাদে ভ্রমণ দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই আমরা যাত্রীদের ছাদ থেকে নামানোর চেষ্টা করেছি।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদখোর চেয়ারম্যান সাইফুলের ঘরে আলাদিনের চেরাগ!

পুলিশের লাঠিপেটায়ও খুশি তারা!

আপডেট সময় ১২:৪২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

ঈদুল আজহা উপলক্ষে রেলপথে প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের বগিতে জায়গা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনের ছাদেও মানুষের ভিড় হয়। ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ দণ্ডনীয় অপরাধ তাই পুলিশের লাঠিচার্জেও নামেনি যাত্রীরা। বরং পুলিশ লাঠিপেটা করলেও অনেকে হেসেও দিয়েছেন। বাড়ি যাওয়ার আনন্দে পুলিশের লাঠিপেটায়ও খুশি তারা।

শুক্রবার বিকাল ৫টায় টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে জামালপুরগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেনে এই দৃশ্য দেখা যায়।

সরেজমিন জানা যায়, প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা থেকে টঙ্গী পৌঁছে জামালপুর কমিউটার ট্রেন। ট্রেন স্টেশনে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে মানুষ ট্রেনে উঠা শুরু করে। ট্রেনের বগিতে তিল ধারণের জায়গা নেই। তাই মানুষ ট্রেনের ছাদে উঠতে থাকে। ট্রেনের ছাদেও জায়গা না পেয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের ছাদে উঠে যায় যাত্রীরা। এক পর্যায়ে রেলওয়ের পুলিশ লাঠিপেটা করলেও একজন যাত্রীও ছাদ থেকে নামেনি। বরং পুলিশের লাঠি খেয়ে অনেককে হাসতেও দেখা গেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রেন ছেড়ে দিলে ছাদে থাকা যাত্রীরা উল্লাসে ফেটে পড়ে মিছিল করতে করতে চলে যান।

ট্রেনের ইঞ্জিনের ছাদে থাকা যাত্রী রুহুল আমিন চিৎকার করে বলেন, পুলিশের লাঠি খেয়েও নামব না। বাড়ি যেতেই হবে। ঈদ বলে কথা।

টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ছোটন শর্মা যুগান্তরকে বলেন, ছাদে ভ্রমণ দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই আমরা যাত্রীদের ছাদ থেকে নামানোর চেষ্টা করেছি।