বুধবার সন্ধ্যার আগে কিশোরগঞ্জের হাওড়ে বিস্তীর্ণ জলাশয়ের বুক চিরে হঠাৎ কুণ্ডলী পাকানো চাঞ্চল্যকর আকাশমুখী দুটি জল ঘূর্ণিপাক সৃষ্টি হয়। এমন ঘটনায় হাওড় পর্যটন এলাকায় বেড়াতে যাওয়া লোকজন এমনকি বিভিন্ন বয়সের স্থানীয় নারী-পুরুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার সন্ধ্যার আগে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা নিকলীর শিংপুর হাওড় এবং পার্শ্ববর্তী অপর হাওড় উপজেলা মিঠামইনের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেনানিবাস এলাকার মাঝামাঝি স্থানের হাওড়ের বিস্তীর্ণ জলাধার এলাকার দুটি স্থানে এমন ঘটনা ঘটে।
আর এমন ঘটনার ভিডিও এবং স্থিরচিত্র মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে ওঠে।
হাওড়পাড়ের হাজারও নারী-পুরুষের মতোই মিঠামইন থেকে নৌপথে কিশোরগঞ্জ শহরের উদ্দেশ্যে আশার পথে শিংপুর এলাকা অতিক্রমকালে এমন অভিনব ও চাঞ্চল্যকর দৃশ্য দেখেন রাকিবুল হাসান রোকেল নামের এক মিডিয়াকর্মী।
তিনি বলেন, প্রবল বাতাসের মধ্যে যখন গরম হাওয়া বইছিল তখন হঠাৎ এমন ঘটনার অবতারণা হয়। আশপাশের বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও কৌতূহলী লোকজন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই হাওড়পাড়ে ছুটে এসে এমন দৃশ্য দেখছিল। তবে এমন দৃশ্য মিনিট তিনেক স্থায়ী হওয়ার পরপরই অঝোরধারায় বৃষ্টি নামে। এক জায়গায় নিচ থেকে উপরে এবং অন্য জায়গায় উপর থেকে নিচে এমন ধূম্র কুণ্ডলী পাকানো গতিশীল ধুয়ার মতো মেঘের এমন ঘটনায় বিস্মিত হয় হাওড় পাড়ে আসা লোকজন। স্থানীয়দের অনেকেই এমন ঘটনাকে হাতির শুঁড় বলেও ডেকে থাকে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কিশোরগঞ্জের নিকলী আবহাওয়া অধিদপ্তর অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আক্তার ফারুক বলেন, যদি কোনো ছোট এলাকার পানির উপরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, তখন জলরাশি কুণ্ডলী পাকিয়ে আকাশের দিকে ওঠে, তাকে হাতির শুঁড় বা ‘ওয়াটার স্প্যাউট’ বলে। প্রকৃত অর্থে এটিকেও সংক্ষিপ্ত সময়ের টর্নেডো বলা হয়, যা বরাবরই পানির উপরে সৃষ্টি হয়।