ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি নাশকতায় কোনো শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো এক জঙ্গি সোনারগাঁয়ে গ্রেফতার বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চক্রান্ত করছে সরকার: মির্জা ফখরুল সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুক চালুর বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি চান প্রতিমন্ত্রী পলক চট্টগ্রামে ছাদ থেকে ফেলা আহত ২ ছাত্রকে দেখতে মেডিক্যালে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তিন দিন পর খুললো ব্যাংক, টাকা তুলতে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়! এত রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কোটা সংস্কার চাইনি: সমন্বয়ক

প্রথম আইজিপি ও প্রথম স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুল খালেকের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ডিএমপি কমিশনারের শ্রদ্ধা

বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রসচিব আবদুল খালেকের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
তিনি ২০১৩ সালের ১০ জুন মৃত্যুবরণ করেন।

আবদুল খালেক ১৯২৭ সালের ১ মার্চ কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জিরুইন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মান ডিগ্রি লাভের পর ১৯৫০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাস করেন। এরপর কিছুদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেন।

১৯৫১ সালে তিনি তৎকালীন সিভিল সার্ভিস অফ পাকিস্তান (সিএসপি) পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি তৎকালীন গোপালগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ মহকুমায় এসডিপিও এবং বরিশাল, পাবনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সারদায় পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের সময় থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম আইজিপি হিসেবে ২৩ এপ্রিল ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ১৯৭১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৩ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পুলিশ একাডেমি সারদায় কর্মরত থাকাকালে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আবদুল খালেক। পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের কারণে সারদা প্রত্যাবর্তনে ব্যর্থ হয়ে তিনি পরিবারসহ ভারতে চলে যান। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত সব পুলিশ সদস্যকে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি চিঠি লেখেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি কলকাতায় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় পাকিস্তানের সামরিক আদালত তার অনুপস্থিতিতে বিচার করে সাজা প্রদান করে।

তিনি স্ত্রী সেলিনা খালেক, ছেলে বি কে এস ইনান, মেয়ে সামিনা খালেকসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

প্রয়াত আবদুল খালেকের প্রকাশিত বইগুলো হলো পলিটিক্যাল ইকোনমি অব ফরেন এইড, ট্রান্সফার অব টেকনোলজি, শেখ মুজিব লিবারেশন ওয়ার, বাংলাদেশ এডুকেশন রিফর্মস।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে “স্বাধীনতা পদক’’- এ ভূষিত হয়েছেন আবদুল খালেক।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি

প্রথম আইজিপি ও প্রথম স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুল খালেকের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ডিএমপি কমিশনারের শ্রদ্ধা

আপডেট সময় ১০:৪৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রসচিব আবদুল খালেকের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
তিনি ২০১৩ সালের ১০ জুন মৃত্যুবরণ করেন।

আবদুল খালেক ১৯২৭ সালের ১ মার্চ কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জিরুইন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মান ডিগ্রি লাভের পর ১৯৫০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাস করেন। এরপর কিছুদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেন।

১৯৫১ সালে তিনি তৎকালীন সিভিল সার্ভিস অফ পাকিস্তান (সিএসপি) পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি তৎকালীন গোপালগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ মহকুমায় এসডিপিও এবং বরিশাল, পাবনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সারদায় পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের সময় থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম আইজিপি হিসেবে ২৩ এপ্রিল ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ১৯৭১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৩ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পুলিশ একাডেমি সারদায় কর্মরত থাকাকালে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আবদুল খালেক। পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের কারণে সারদা প্রত্যাবর্তনে ব্যর্থ হয়ে তিনি পরিবারসহ ভারতে চলে যান। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত সব পুলিশ সদস্যকে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি চিঠি লেখেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি কলকাতায় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় পাকিস্তানের সামরিক আদালত তার অনুপস্থিতিতে বিচার করে সাজা প্রদান করে।

তিনি স্ত্রী সেলিনা খালেক, ছেলে বি কে এস ইনান, মেয়ে সামিনা খালেকসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

প্রয়াত আবদুল খালেকের প্রকাশিত বইগুলো হলো পলিটিক্যাল ইকোনমি অব ফরেন এইড, ট্রান্সফার অব টেকনোলজি, শেখ মুজিব লিবারেশন ওয়ার, বাংলাদেশ এডুকেশন রিফর্মস।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে “স্বাধীনতা পদক’’- এ ভূষিত হয়েছেন আবদুল খালেক।