ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রামপালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারুণ্যে মেলা অনুষ্ঠিত জুলাই -আগস্ট বিপ্লবে আহত ও শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুলনা কেএমপি নগরীতে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের লিডারসহ গ্রেফতার -২ বকশীগঞ্জে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার-২ মির্জাপুর সরকারি এস কে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক অনুষ্ঠান- ২০২৫ সম্পৃর্ন ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে বগুড়া শেরপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোর গ্রেপ্তার চুনারুঘাটে টিউবওয়েলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় পানিশূন্যতা: জনজীবন বিপর্যস্ত বায়ুদূষণের শীর্ষে চীনের তিন শহর, সঙ্গে ঢাকাও ছাত্রদের প্রতিনিধি সরকারে রেখে দল নির্বাচন করলে মানবে না বিএনপি

এপিএ চুক্তির মাধ্যমে অর্থ ও সময় সাশ্রয় হয়: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির (এপিএ) মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

রোববার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপিএ বাস্তবায়নে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির মাধ্যমে আমাদের কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কী কী কাজ আমরা করব সেই তালিকা করা, কিভাবে করব- সেই কর্মপন্থাও নির্ধারণ করা হয়।

তিনি বলেন, এর (এপিএ) মাধ্যমে কর্মসম্পাদন করার ক্ষেত্রে সময় যেমন কমাতে পেরেছি, একই সঙ্গে ব্যাপকভাবে অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছি। আমরা ৬৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছি।

গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব দপ্তর-সংস্থা তাদের বার্ষিক কর্ম সম্পাদনের জন্য যে কর্মকাণ্ড সেগুলোর খসড়া তারা দাখিল করে। গত ৯ মে মন্ত্রণালয়ের এপিএ টিমের সভায় তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। পর্যালোচনার মাধ্যমে গত ৩০ মে দপ্তর-সংস্থা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এপিএ-এমএস’র মাধ্যমে তাদের চুক্তি-এপিএ দাখিল করেছে। আজকে সেই চুক্তি সম্পাদন হতে যাচ্ছে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের অনেক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো বিবেচনার মধ্যে রেখেই বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী আমাদের কাজগুলো সম্পাদন করে থাকি। এভাবেই যথাযথভাবে আমাদের অর্জনগুলো করতে পেরেছি। তিনি বলেন, আজকে যে চুক্তি সম্পাদন হতে যাচ্ছে আশা করি তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে থাকব।

পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন আটটি দপ্তর-সংস্থার সঙ্গে এপিএ চুক্তি সই হয়। দপ্তর-সংস্থাগুলোর পক্ষে দপ্তর-সংস্থাগুলোর প্রধানরা এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এপিএ চুক্তিতে সই করেন।

আগামী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে, সেই কাজের একটি অঙ্গীকারনামা হচ্ছে এপিএ বা বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা সই করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো অধীন দপ্তর/সংস্থাগুলোর সঙ্গে এপিএ করে থাকে। বছর শেষে মূল্যায়ন হয় এই চুক্তির।

চুক্তি অনুযায়ী, বাস্তবায়ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নম্বর দিয়ে থাকে। এপিএ বাস্তবায়নে সেরা ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রামপালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারুণ্যে মেলা অনুষ্ঠিত

এপিএ চুক্তির মাধ্যমে অর্থ ও সময় সাশ্রয় হয়: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৯:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির (এপিএ) মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

রোববার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপিএ বাস্তবায়নে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির মাধ্যমে আমাদের কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কী কী কাজ আমরা করব সেই তালিকা করা, কিভাবে করব- সেই কর্মপন্থাও নির্ধারণ করা হয়।

তিনি বলেন, এর (এপিএ) মাধ্যমে কর্মসম্পাদন করার ক্ষেত্রে সময় যেমন কমাতে পেরেছি, একই সঙ্গে ব্যাপকভাবে অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছি। আমরা ৬৫ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছি।

গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব দপ্তর-সংস্থা তাদের বার্ষিক কর্ম সম্পাদনের জন্য যে কর্মকাণ্ড সেগুলোর খসড়া তারা দাখিল করে। গত ৯ মে মন্ত্রণালয়ের এপিএ টিমের সভায় তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। পর্যালোচনার মাধ্যমে গত ৩০ মে দপ্তর-সংস্থা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এপিএ-এমএস’র মাধ্যমে তাদের চুক্তি-এপিএ দাখিল করেছে। আজকে সেই চুক্তি সম্পাদন হতে যাচ্ছে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের অনেক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো বিবেচনার মধ্যে রেখেই বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী আমাদের কাজগুলো সম্পাদন করে থাকি। এভাবেই যথাযথভাবে আমাদের অর্জনগুলো করতে পেরেছি। তিনি বলেন, আজকে যে চুক্তি সম্পাদন হতে যাচ্ছে আশা করি তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে থাকব।

পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন আটটি দপ্তর-সংস্থার সঙ্গে এপিএ চুক্তি সই হয়। দপ্তর-সংস্থাগুলোর পক্ষে দপ্তর-সংস্থাগুলোর প্রধানরা এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এপিএ চুক্তিতে সই করেন।

আগামী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে, সেই কাজের একটি অঙ্গীকারনামা হচ্ছে এপিএ বা বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা সই করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো অধীন দপ্তর/সংস্থাগুলোর সঙ্গে এপিএ করে থাকে। বছর শেষে মূল্যায়ন হয় এই চুক্তির।

চুক্তি অনুযায়ী, বাস্তবায়ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নম্বর দিয়ে থাকে। এপিএ বাস্তবায়নে সেরা ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননা দেওয়া হয়।