ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্ষমতার সান্নিধ্যে বিত্তবান সাবেক সচিব খাইরুল কুমিল্লায় হাসপাতাল দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কেজি দরে বিআরটিসির বাস বিক্রি করে দিয়েছেন কর্মকর্তা দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ

বাংলাদেশ ম্যাচটি কোথায় হেরেছে, যা বললেন হৃদয়

জিতলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয়, এমন সমীকরণ নিয়ে শুক্রবার শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সমীকরণ মেলেনি নাজমুল হাসান শান্তদের। স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছেন সফরকারীরা।

ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো রান না করে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। এর পর অধিনায়ক শান্তর ৪০ রানের ইনিংস ও সৌম্য সরকারের ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ঘুরে দাঁড়ান স্বাগতিকরা। শেষ দিকে তাওহিদ হৃদয়ের অনবদ্য ৯৬ রানের ব্যাটিংয়ে ২৮৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে হৃদয় জানালেন, জয়ের জন্য এ রান যথেষ্ট ছিল না। মূলত ম্যাচটা এখানেই হেরেছে বাংলাদেশ।

ব্যাটসম্যানদের ইনিংস আরেকটু বড় করা যেত বলে সংবাদ সম্মেলনে আফসোস করেছেন হৃদয়, ‘রান আমার মনে হয় ২০-৩০ রান কম করেছি। উইকেট যে রকম ছিল ৩৩০-৩৪০-এর উইকেট। আমরা সেট হয়ে যদি আরেকটু ইনিংসটা ক্যারি করতাম, তা হলে ভিন্ন কিছু হতো হয়তো।’

হৃদয়ের আফসোসের যথেষ্ট কারণ আছে। কাল সৌম্য যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন, তাতে ৬৮ রানে আউট হয়ে আফসোসই জাগিয়েছেন। কাল ব্যাট হাতে সাবলীল ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। চোখ জুড়ানো কাভার ড্রাইভের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন ব্যাকফুট পাঞ্চে সৌম্যর শটগুলো নজর কাড়ছিল। কিন্তু হাসারাঙ্গাকে রিভার সুইপ করতে গিয়ে মাদুশঙ্কার হাতে যখন ধরা পড়লেন, তখন একরাশ আক্ষেপই জমেছে। সে সময় আউট না হয়ে ইনিংসটাকে আরেকটু বড় করতে পারলে আদতে তা বাংলাদেশের সংগ্রহকেই বাড়িয়ে দিত মনে করেন হৃদয়।

সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় বলেন, ‘যারা আমরা সেট হয়েছি, যদি ইনিংসটা আরও ক্যারি করতে পারতাম। ওপর থেকে যদি সৌম্য ভাই বা আমি যদি আরও বড় করতে পারতাম। আমি সৌম্য ভাইকে বারবার বলছিলাম যে, ‘আজকে খেলতে হবে।’ সৌম্য ভাইয়ের ইনিংসটা যদি আরও বড় হতো, বা শান্ত ভাইয়ের ইনিংসটা যদি আরও বড় হতো তা হলে খেলার দৃশ্যটা হয়তো ভিন্ন হতো।’

তিনি বলেন, ‘আমার কোনো আক্ষেপ নেই, যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি তো প্রথম বলেও আউট হয়ে যেতে পারতাম। সর্বশেষ ম্যাচে রান করতে পারিনি, টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়ে গেছি। আমার সব সময় পরিকল্পনা থাকে একটা শুরু যখন পেয়েছি, যতটুকু পারব দিনটাতে যেন ক্যারি করতে পারি।’

নিজের ব্যাটিং নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘একটু পর পর উইকেট পড়ছিল। আমার মাথা যতটুকু কাজ করেছে আমি চেষ্টা করেছি খেলা শেষ করার যেহেতু ব্যাটার ছিল না। যদি থাকত তা হলে হয়তো ভিন্ন দৃশ্য হতো। প্রথম থেকেই আমি যা দেখছিলাম একটু পর পর উইকেট হারানোয় আমার লক্ষ্য ছিল আমি খেলাটা শেষ করব।’

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষমতার সান্নিধ্যে বিত্তবান সাবেক সচিব খাইরুল

বাংলাদেশ ম্যাচটি কোথায় হেরেছে, যা বললেন হৃদয়

আপডেট সময় ১২:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

জিতলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয়, এমন সমীকরণ নিয়ে শুক্রবার শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সমীকরণ মেলেনি নাজমুল হাসান শান্তদের। স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছেন সফরকারীরা।

ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো রান না করে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। এর পর অধিনায়ক শান্তর ৪০ রানের ইনিংস ও সৌম্য সরকারের ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ঘুরে দাঁড়ান স্বাগতিকরা। শেষ দিকে তাওহিদ হৃদয়ের অনবদ্য ৯৬ রানের ব্যাটিংয়ে ২৮৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে হৃদয় জানালেন, জয়ের জন্য এ রান যথেষ্ট ছিল না। মূলত ম্যাচটা এখানেই হেরেছে বাংলাদেশ।

ব্যাটসম্যানদের ইনিংস আরেকটু বড় করা যেত বলে সংবাদ সম্মেলনে আফসোস করেছেন হৃদয়, ‘রান আমার মনে হয় ২০-৩০ রান কম করেছি। উইকেট যে রকম ছিল ৩৩০-৩৪০-এর উইকেট। আমরা সেট হয়ে যদি আরেকটু ইনিংসটা ক্যারি করতাম, তা হলে ভিন্ন কিছু হতো হয়তো।’

হৃদয়ের আফসোসের যথেষ্ট কারণ আছে। কাল সৌম্য যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন, তাতে ৬৮ রানে আউট হয়ে আফসোসই জাগিয়েছেন। কাল ব্যাট হাতে সাবলীল ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। চোখ জুড়ানো কাভার ড্রাইভের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন ব্যাকফুট পাঞ্চে সৌম্যর শটগুলো নজর কাড়ছিল। কিন্তু হাসারাঙ্গাকে রিভার সুইপ করতে গিয়ে মাদুশঙ্কার হাতে যখন ধরা পড়লেন, তখন একরাশ আক্ষেপই জমেছে। সে সময় আউট না হয়ে ইনিংসটাকে আরেকটু বড় করতে পারলে আদতে তা বাংলাদেশের সংগ্রহকেই বাড়িয়ে দিত মনে করেন হৃদয়।

সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় বলেন, ‘যারা আমরা সেট হয়েছি, যদি ইনিংসটা আরও ক্যারি করতে পারতাম। ওপর থেকে যদি সৌম্য ভাই বা আমি যদি আরও বড় করতে পারতাম। আমি সৌম্য ভাইকে বারবার বলছিলাম যে, ‘আজকে খেলতে হবে।’ সৌম্য ভাইয়ের ইনিংসটা যদি আরও বড় হতো, বা শান্ত ভাইয়ের ইনিংসটা যদি আরও বড় হতো তা হলে খেলার দৃশ্যটা হয়তো ভিন্ন হতো।’

তিনি বলেন, ‘আমার কোনো আক্ষেপ নেই, যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি তো প্রথম বলেও আউট হয়ে যেতে পারতাম। সর্বশেষ ম্যাচে রান করতে পারিনি, টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়ে গেছি। আমার সব সময় পরিকল্পনা থাকে একটা শুরু যখন পেয়েছি, যতটুকু পারব দিনটাতে যেন ক্যারি করতে পারি।’

নিজের ব্যাটিং নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘একটু পর পর উইকেট পড়ছিল। আমার মাথা যতটুকু কাজ করেছে আমি চেষ্টা করেছি খেলা শেষ করার যেহেতু ব্যাটার ছিল না। যদি থাকত তা হলে হয়তো ভিন্ন দৃশ্য হতো। প্রথম থেকেই আমি যা দেখছিলাম একটু পর পর উইকেট হারানোয় আমার লক্ষ্য ছিল আমি খেলাটা শেষ করব।’