ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের হামলায় রুশ জাহাজ ধ্বংস, নিহত ৭

কৃষ্ণসাগরে অবস্থানরত রাশিয়ার নৌবহরের ইউক্রেনের হামলায় একটি টহল জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরে সেটি ডুবি গেছে। এতে সাতজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভোরে সের্গেই কোতোভ নামের জাহাজটিতে আঘাত করা হয়। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৌ ড্রোন ব্যবহার করে সের্গেই কোতোভ নামের জাহাজটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এই জাহাজটির মূল্য হলো ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি অর্থে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি।

ইউক্রেনের গোয়েন্দা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, রাশিয়ার আরেকটি জাহাজকে সাবমেরিনে পরিণত করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ শাখা ‘গ্রুপ ১৩’ রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর বহরের টহল জাহাজে হামলা চালিয়েছে। মাগুরা ভি৫ নৌ ড্রোন দিয়ে চালানো হামলায় রুশ জাহাজ সার্গেই কোতোভের পেছনে, ডানে এবং বামের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভালো কিছু দিয়ে দিনটি শুরু হয়েছে। অসাধারণ কাজ।

পরে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইউক্রেনের এই গোয়েন্দা সংস্থা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ড্রোন। হামলায় পুরো জাহাজটি আলোকিত হয়ে যায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রে ইয়ারমাক টেলিগ্রামে বলেন, ‘রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর বহর হলো একটি দখলদারিত্বের প্রতীক। এটি ইউক্রেনের ক্রিমিয়ায় থাকতে পারবে না।’

এদিকে ক্রেমলিন এখনো ইউক্রেনের দাবির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। কিছু রুশ ব্লগার সের্গেই কোটভের ডুবে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে স্বাধীনভাবে জাহাজের ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করা যায়নি।

গত মাসে ইউক্রেন ক্রিমিয়ার কাছে রাশিয়ার আরেকটি জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিল। ওই হামলায়ও ব্যবহার করা হয়েছিল একটি ড্রোন। হামলায় জাহাজটি বাম অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরে এটি ডুবে যায়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের হামলায় রুশ জাহাজ ধ্বংস, নিহত ৭

আপডেট সময় ০১:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

কৃষ্ণসাগরে অবস্থানরত রাশিয়ার নৌবহরের ইউক্রেনের হামলায় একটি টহল জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরে সেটি ডুবি গেছে। এতে সাতজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভোরে সের্গেই কোতোভ নামের জাহাজটিতে আঘাত করা হয়। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৌ ড্রোন ব্যবহার করে সের্গেই কোতোভ নামের জাহাজটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এই জাহাজটির মূল্য হলো ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি অর্থে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি।

ইউক্রেনের গোয়েন্দা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, রাশিয়ার আরেকটি জাহাজকে সাবমেরিনে পরিণত করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ শাখা ‘গ্রুপ ১৩’ রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর বহরের টহল জাহাজে হামলা চালিয়েছে। মাগুরা ভি৫ নৌ ড্রোন দিয়ে চালানো হামলায় রুশ জাহাজ সার্গেই কোতোভের পেছনে, ডানে এবং বামের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভালো কিছু দিয়ে দিনটি শুরু হয়েছে। অসাধারণ কাজ।

পরে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইউক্রেনের এই গোয়েন্দা সংস্থা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ড্রোন। হামলায় পুরো জাহাজটি আলোকিত হয়ে যায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রে ইয়ারমাক টেলিগ্রামে বলেন, ‘রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর বহর হলো একটি দখলদারিত্বের প্রতীক। এটি ইউক্রেনের ক্রিমিয়ায় থাকতে পারবে না।’

এদিকে ক্রেমলিন এখনো ইউক্রেনের দাবির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। কিছু রুশ ব্লগার সের্গেই কোটভের ডুবে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে স্বাধীনভাবে জাহাজের ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করা যায়নি।

গত মাসে ইউক্রেন ক্রিমিয়ার কাছে রাশিয়ার আরেকটি জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিল। ওই হামলায়ও ব্যবহার করা হয়েছিল একটি ড্রোন। হামলায় জাহাজটি বাম অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরে এটি ডুবে যায়।