ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের প্রয়াণ দিবস

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১১৪তম প্রয়াণ দিবস আজ (১২ সেপ্টেম্বর)। ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে ৯৩ বছর দেহ ত্যাগ করেন তিনি। প্রতিবছর নানান আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়।

হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজান দল গ্রামে ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি  মাসে জন্ম নেন শাহ আবদুল করিম। পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে পড়ালেখার সুযোগ হয়নি তার।

তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়েও করিম ছিলেন স্বশিক্ষিত। প্রতিদিনের জীবন জাগতিক সুখ দুঃখ প্রেম ভালোবাসাকে আপন মহিমীয় তুলে ধরেছেন তার বাউল গানে। গানে গানে স্বরণ করেছেন স্রষ্টা ও তার সৃষ্টিকুলকে।

তিনি তার গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ ও দুদ্দু শাহের দর্শন থেকে। জীবিকা নির্বাহ করেছেন কৃষিকাজ করে। কিন্তু কোনো কিছু তাকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি।

ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন স্বাধীকার আন্দোলনে বাউল সম্রাটের গান বাঙালিকে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। ‘মরমী’ গান আর হৃদয় ছোয়া সুর তাকে হাওরের রাখাল বালক থেকে বাউল সম্রাটের আসনে আসীন করেছে। তিনি পেয়েছেন একুশে পদকও।

বাউল করিমের নিজ বসতভিটায় রেখে যাওয়া সংগীত বিদ্যালয়ের সংস্কার এবং প্রস্তাবিত বাউল একাডেমি নির্মাণে সরকার সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সংগীত অনুরাগীরা।

বাউল সম্রাট আবদুল করিমের ছেলে বাউল শাহ নূরজালাল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, “আমার বাবা সারাজীবন দেশের মানুষ, মাটির জন্য গান লিখে গেছেন। তার গানে শোষণ বঞ্চিত মানুষের কথা লিখেছেন। অভাব অনটন দিন যাপন করলেও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি তিনি। বাবার গান দেশ ও বিশ্ববাসীর সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। তার সৃষ্টি রক্ষায় সবার এগিয়ে আসতে হবে।”

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : রনজিত সরকার

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের প্রয়াণ দিবস

আপডেট সময় ০২:০১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১১৪তম প্রয়াণ দিবস আজ (১২ সেপ্টেম্বর)। ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে ৯৩ বছর দেহ ত্যাগ করেন তিনি। প্রতিবছর নানান আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়।

হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজান দল গ্রামে ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি  মাসে জন্ম নেন শাহ আবদুল করিম। পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে পড়ালেখার সুযোগ হয়নি তার।

তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়েও করিম ছিলেন স্বশিক্ষিত। প্রতিদিনের জীবন জাগতিক সুখ দুঃখ প্রেম ভালোবাসাকে আপন মহিমীয় তুলে ধরেছেন তার বাউল গানে। গানে গানে স্বরণ করেছেন স্রষ্টা ও তার সৃষ্টিকুলকে।

তিনি তার গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ ও দুদ্দু শাহের দর্শন থেকে। জীবিকা নির্বাহ করেছেন কৃষিকাজ করে। কিন্তু কোনো কিছু তাকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি।

ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন স্বাধীকার আন্দোলনে বাউল সম্রাটের গান বাঙালিকে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। ‘মরমী’ গান আর হৃদয় ছোয়া সুর তাকে হাওরের রাখাল বালক থেকে বাউল সম্রাটের আসনে আসীন করেছে। তিনি পেয়েছেন একুশে পদকও।

বাউল করিমের নিজ বসতভিটায় রেখে যাওয়া সংগীত বিদ্যালয়ের সংস্কার এবং প্রস্তাবিত বাউল একাডেমি নির্মাণে সরকার সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সংগীত অনুরাগীরা।

বাউল সম্রাট আবদুল করিমের ছেলে বাউল শাহ নূরজালাল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, “আমার বাবা সারাজীবন দেশের মানুষ, মাটির জন্য গান লিখে গেছেন। তার গানে শোষণ বঞ্চিত মানুষের কথা লিখেছেন। অভাব অনটন দিন যাপন করলেও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি তিনি। বাবার গান দেশ ও বিশ্ববাসীর সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। তার সৃষ্টি রক্ষায় সবার এগিয়ে আসতে হবে।”