ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সমাজকল্যাণমন্ত্রীর আশীর্বাদে মিজানের সম্পদের পাহাড় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির উদ্দেগে ২৮ শে ডিসেম্বর মহা সন্মেলনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, আহত ১২ বেলাবতে তারেক রহমানের ১৭তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে শীর্ষক আলোচনা দীর্ঘ সাত বছর পর আজ ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন ডুবাই প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরনবী ভুইয়া ক্রেস্ট কেলেঙ্কারির বাবুলের ১ সপ্তাহে তিন পদোন্নতি গোয়াইনঘাটে ৯০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ: ধরা যায়নি কাউকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব মহাসড়কে ঘুস আদায়, ১১ ট্রাফিক গ্রেফতার

জামিন পেলেন এমপি মমতাজমমতাজ বেগম

অবশেষে প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় জামিন পেয়েছেন সংসদ সদস্য (এমপি) মমতাজ বেগম।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বাংলাদেশি ওই পপ সম্রাজ্ঞী।

এরপরেই বহরমপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলকেশ দাস তার জামিন মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার আদালতে মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত বিচারকের উদ্দেশ্যে জানান, ৯ আগস্ট শুনানির দিন মমতাজ ঠিক কী কারণে বহরমপুর আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। মমতাজের আইনজীবীর বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করে বিচারক মমতাজের বিরুদ্ধে জারি থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজ করেন এবং তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিকে মামলার চার্জ গঠন হয়ে যাওয়ার পরেও মূল আসামি এভাবে জামিন পেয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে আপত্তি জানান মামলাকারীর আইনজীবী। যদিও বিচারক ওই আপত্তি আমলে না নিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।

বাংলাদেশের ওই হাই প্রোফাইল সংসদ সদস্যের আইনজীবীর পক্ষ থেকে এদিন পৃথকভাবে সিআরপিসি (ফৌজদারি) ২০৫ ভারতীয় আইনানুযায়ী আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেন। আবেদনটি আদালত মঞ্জুর করলে ভারতীয় আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে না ওই এমপিকে। তবে আদালতের নির্দেশ থাকলে অবশ্যই সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে তাকে।

এর আগে ২০০৮ সালে শক্তিশঙ্কর বাগচি নামে এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজার মমতাজের নামে মামলা করেন। আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন তিনি।

শক্তিশঙ্কর বাগচী অভিযোগ করেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মমতাজের সঙ্গে তার লিখিত চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তার। ওই অনুষ্ঠানে আসার জন্য তাকে ১৪ লাখ রুপিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রুপি নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেননি ওই সঙ্গীতশিল্পী। এরপর তিনি রুপিও ফেরত দেননি। রুপি ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এজন্য বিভিন্ন সময় হেনস্থার মুখে পড়তে হয় শিবশঙ্কর বাগচীকে। বাধ্য হয়ে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতিকে কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না – বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জামিন পেলেন এমপি মমতাজমমতাজ বেগম

আপডেট সময় ০২:১০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অবশেষে প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় জামিন পেয়েছেন সংসদ সদস্য (এমপি) মমতাজ বেগম।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বাংলাদেশি ওই পপ সম্রাজ্ঞী।

এরপরেই বহরমপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলকেশ দাস তার জামিন মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার আদালতে মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত বিচারকের উদ্দেশ্যে জানান, ৯ আগস্ট শুনানির দিন মমতাজ ঠিক কী কারণে বহরমপুর আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। মমতাজের আইনজীবীর বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করে বিচারক মমতাজের বিরুদ্ধে জারি থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজ করেন এবং তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিকে মামলার চার্জ গঠন হয়ে যাওয়ার পরেও মূল আসামি এভাবে জামিন পেয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে আপত্তি জানান মামলাকারীর আইনজীবী। যদিও বিচারক ওই আপত্তি আমলে না নিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।

বাংলাদেশের ওই হাই প্রোফাইল সংসদ সদস্যের আইনজীবীর পক্ষ থেকে এদিন পৃথকভাবে সিআরপিসি (ফৌজদারি) ২০৫ ভারতীয় আইনানুযায়ী আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেন। আবেদনটি আদালত মঞ্জুর করলে ভারতীয় আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে না ওই এমপিকে। তবে আদালতের নির্দেশ থাকলে অবশ্যই সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে তাকে।

এর আগে ২০০৮ সালে শক্তিশঙ্কর বাগচি নামে এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজার মমতাজের নামে মামলা করেন। আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন তিনি।

শক্তিশঙ্কর বাগচী অভিযোগ করেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মমতাজের সঙ্গে তার লিখিত চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তার। ওই অনুষ্ঠানে আসার জন্য তাকে ১৪ লাখ রুপিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রুপি নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেননি ওই সঙ্গীতশিল্পী। এরপর তিনি রুপিও ফেরত দেননি। রুপি ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এজন্য বিভিন্ন সময় হেনস্থার মুখে পড়তে হয় শিবশঙ্কর বাগচীকে। বাধ্য হয়ে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।