ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারের হাতে রাতারাতি বাজার নিয়ন্ত্রণের চেরাগ নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা সারাদেশে গ্যাসের চাপ কম থাকবে ৭২ ঘণ্টা স্ত্রীসহ রিজেন্সি হোটেলের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চার দেশের ভূখণ্ড নিয়ে ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দাবি, ফ্যাক্টচেকে যা জানা গেল বিএনপির ২২৭৬ নেতাকর্মীকে গুম-খুনের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শুনানি হচ্ছে না আজ বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে : আমিনুল হক ক্রসফায়ারে ২২৭৬ নেতাকর্মী হত্যার অভিযোগ বিএনপির, প্রধান আসামি হাসিনা চীনা পররাষ্টমন্ত্রীর সফরের মাঝেই চাদে প্রেসিডেন্ট ভবনে হামলা, নিহত ১

চিনির পরিবর্তে গুড় খাওয়া কি উপকারী?

আমাদের প্রতিদিনের বিভিন্ন রান্নায় চিনি ব্যবহার হয়ে থাকে। হতে পারে তা দুইবেলার চা কিংবা কফি তৈরিতে অথবা মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন হালুয়া, ক্ষীর, পায়েস, সেমাই ইত্যাদি তৈরিতে। তবে চিনি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে কারণ অতিরিক্ত চিনি খেলে তা আপনার স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, প্রদাহ, ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি। চিনি কয়েক ধাপে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। যে কারণে এর অধিকাংশ পুষ্টিগুণ হারিয়ে যায়।

এদিকে গুড় তৈরি হয় আখের রস জ্বাল করে। এতে থাকে বেশকিছু ভিটামিন ও খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। পরিশোধিত চিনির চেয়ে গুড় অনেক বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, যেখানে চিনিতে কেবল ক্যালোরিই থাকে। তবে গুড়ও চিনির মতোই। যদিও আপনি এটি থেকে অনেক রকম পুষ্টি পান কিন্তু সেগুলো পাওয়া যায় ক্যালোরিসহই।

সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন রুজুতা। সেখানে বলেছেন, চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করলেই যে সেই খাবার স্বাস্থ্যকর হয়ে যাবে বিষয়টি এমন নয়। এর বদলে আপনি যখন খাবার তৈরি করবেন তখন বর্তমান ঋতু ও কোন ধরনের খাবার তৈরি করছেন সেদিকে খেয়াল করুন। সেইসঙ্গে লক্ষ করুন খাবার তৈরির অন্যান্য উপকরণগুলো কোনটির সঙ্গে ভালো মানায়, গুড় নাকি চিনি?

অন্যদিকে গ্রীষ্মকালের মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন শরবত, জুস, চা, কফি, লাচ্ছি, স্মুদি, ফালুদা, হালুয়া ইত্যাদি তৈরিতেব্যবহার করতে পারেন চিনি। এসব খাবারের সঙ্গে গুড়ের বদলে চিনিই বেশি মানানসই। এরপরও আপনি স্বাদ চেখে দেখতে চাইলে কোনো কোনো খাবারে চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করে দেখতে পারেন। সেটি আপনার কাছে বেশি সুস্বাদু মনে হলে খেতে বাধা নেই।

ঘরে তৈরি মিষ্টি খাবার স্বাস্থ্যকর করার জন্য রুজুতা দিওয়েকার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো-

১. রেসিপি অথেনটিক হতে হবে।

২. মিষ্টি জাতীয় এসব খাবার উৎসবের জন্য খাওয়া যেতে পারে, প্রতিদিন নয়।

৩. এগুলো সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে খেতে হবে।

কতটুকু খেতে হবে, কখন খাওয়া যাবে এবং কখন যাবে না সেসব বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। মিষ্টিসহ যেকোনো খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকলে সুস্থ ও ফিট থাকা সহজ হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারের হাতে রাতারাতি বাজার নিয়ন্ত্রণের চেরাগ নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

চিনির পরিবর্তে গুড় খাওয়া কি উপকারী?

আপডেট সময় ০১:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২

আমাদের প্রতিদিনের বিভিন্ন রান্নায় চিনি ব্যবহার হয়ে থাকে। হতে পারে তা দুইবেলার চা কিংবা কফি তৈরিতে অথবা মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন হালুয়া, ক্ষীর, পায়েস, সেমাই ইত্যাদি তৈরিতে। তবে চিনি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে কারণ অতিরিক্ত চিনি খেলে তা আপনার স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, প্রদাহ, ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি। চিনি কয়েক ধাপে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। যে কারণে এর অধিকাংশ পুষ্টিগুণ হারিয়ে যায়।

এদিকে গুড় তৈরি হয় আখের রস জ্বাল করে। এতে থাকে বেশকিছু ভিটামিন ও খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। পরিশোধিত চিনির চেয়ে গুড় অনেক বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, যেখানে চিনিতে কেবল ক্যালোরিই থাকে। তবে গুড়ও চিনির মতোই। যদিও আপনি এটি থেকে অনেক রকম পুষ্টি পান কিন্তু সেগুলো পাওয়া যায় ক্যালোরিসহই।

সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন রুজুতা। সেখানে বলেছেন, চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করলেই যে সেই খাবার স্বাস্থ্যকর হয়ে যাবে বিষয়টি এমন নয়। এর বদলে আপনি যখন খাবার তৈরি করবেন তখন বর্তমান ঋতু ও কোন ধরনের খাবার তৈরি করছেন সেদিকে খেয়াল করুন। সেইসঙ্গে লক্ষ করুন খাবার তৈরির অন্যান্য উপকরণগুলো কোনটির সঙ্গে ভালো মানায়, গুড় নাকি চিনি?

অন্যদিকে গ্রীষ্মকালের মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন শরবত, জুস, চা, কফি, লাচ্ছি, স্মুদি, ফালুদা, হালুয়া ইত্যাদি তৈরিতেব্যবহার করতে পারেন চিনি। এসব খাবারের সঙ্গে গুড়ের বদলে চিনিই বেশি মানানসই। এরপরও আপনি স্বাদ চেখে দেখতে চাইলে কোনো কোনো খাবারে চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করে দেখতে পারেন। সেটি আপনার কাছে বেশি সুস্বাদু মনে হলে খেতে বাধা নেই।

ঘরে তৈরি মিষ্টি খাবার স্বাস্থ্যকর করার জন্য রুজুতা দিওয়েকার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো-

১. রেসিপি অথেনটিক হতে হবে।

২. মিষ্টি জাতীয় এসব খাবার উৎসবের জন্য খাওয়া যেতে পারে, প্রতিদিন নয়।

৩. এগুলো সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে খেতে হবে।

কতটুকু খেতে হবে, কখন খাওয়া যাবে এবং কখন যাবে না সেসব বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। মিষ্টিসহ যেকোনো খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকলে সুস্থ ও ফিট থাকা সহজ হবে।