ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের কিল্লাদীঘি, উত্তর ধর্মপুর তালবাড়িয়া গ্রামের অধিবাসীদের অর্ধশতাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মামলাবাজ চক্রের হোতাদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তিন গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার (২ আগস্ট) সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন, আমজাদহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন, আবদুল লতিফ, আবুল কাশেম, আবদুল মালেক ও আনামিয়া।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফুলগাজীর আমজাদহাট ইউনিয়নের কিল্লাদিঘি, উত্তর ধর্মপুর ও তালবাড়িয়া গ্রামের মানুষ স্থানীয় মামলাবাজ কবির আহমদ প্রকাশ জাল কবিরের হাতে জিম্মি। ও-ই তিন গ্রামে কবির, কালাম, গফুর, হাজেরা’র নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে একটি মামলাবাজ চক্র গড়ে উঠেছে। তাদের মামলার শিকার হয়ে এ-ই তিন গ্রামের অনেক পরিবার সর্ব শান্ত, এখনো অনেকে কারাগারে আছেন, অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মানববন্ধন শেষে জাল কবির ও তার সিন্ডিকেট সদস্য আবুল কালাম, আবদুল গফুর ও হাজেরা বেগমে’কে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবিতে ফেনী কোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
উপজেলার আমজাদ হাট ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর, কিল্লাদিঘি,তালবাড়িয়া গ্রামবাসীর আয়োজনে ব্যানারে মানবন্ধনে মিথ্যা মামলার শিকার দাবি করে আবদুল লতিফ বলেন, জাল কবির, গাজা কালাম, গফুর, হাজেরা নট্যকীসহ আরো কয়েক জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র, একজন মামলা সাজায় আবার তাঁরাই স্বাক্ষী হয়, চক্রটি এতোটাই দুর্দান্ত যে কখনও কখনও চক্রটির সদস্যরাই আসামির তালিকায় থাকে,যাতে করে বাদী নিরাপদে থাকেন, এ চক্রের প্রত্যেক সদস্যরা পেশাদার মামলাবাজ, এরা প্রায় অর্ধশত মামলা দিয়ে তিন গ্রামের মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানী করে আসছে, মোটা অংকের অর্থ নিয়ে মামলা গুলো মিমাংসাও করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত সকলে বলেন, ফেনী জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক একটি উপ-কমিটির মাধ্যমে গোপনে ও প্রকাশ্যে সুষ্ঠ বিচার বিভাগীয় তদন্ত টিম ধারা চক্রটির মূলহোতা জাল কবির, আবুল কালাম, নট্যকি হাজেরা গংদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, উত্তর ধর্মপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তার পাকা করণের কথা বলে গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে গণ স্বাক্ষরসহ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা, মসজিদের স্বঘোষিত সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হয়ে মসজিদের জমি গাছ- মাছ ইত্যাদি বিক্রির সর্বসাকুল্যে অনুমান প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং গ্রামের যে কেউ যখনিই এসব বিষয়ে টাকার হিসেব চায়, তখনই তাকে একটা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন।
তারা আরো বলেন, কবির আহমেদ প্রকাশ জাল কবিরের মিথ্যা মামলার শিকার উত্তর ধর্মপুর গ্রামের আনা মিয়া, হাফেজ আহমেদ, আবদুল লতিফ, আলী হায়দার, মির হোসেন, নেজাম উদ্দিন, আবদুল মালেক, সাইফুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, মনোয়ারা আক্তার- মহিলা মেম্বার, আমিনুল করিম খোকা মেম্বার, শাহ আলম, মীর হোসেন মিরু-বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিন গ্রামের প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ।