জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করেছে র্যাব। আজ সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়ার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চিলাহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ। তিনি বলেছেন, সকালে চিলাহাটি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক মো. ফখরুল ইসলামের বাড়ি থেকে র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করে নিয়ে গেছে।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুর নির্দেশে সাংবাদিক গোলাম রব্বানিকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। রব্বানি হত্যার ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাঁরা সবাই চেয়ারম্যানের অনুসারী বলে পরিচিত।
ওদিকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: অভিযুক্ত সেই ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার
উল্লেখ্য, বুধবার (১৪ই জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি, ৭১ টেলিভিশনের সংবাদদাতা ও মানবজমিন-এর বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিম। সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন তার ওপর মামলা করে।
পরে স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। রাত দেড়টার দিকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।