খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় পাটের বিকল্প হিসেবে আঁশ জাতীয় ফসল কেনাফ আবাদ জনপ্রিয় করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুরে কয়রা উপজেলার হাতিয়ারডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মঠে আয়োজিত মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (কৃষি) ড. নার্গীস আক্তারের সভাপতিত্বে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (জুট টেক্সটাইল উইং) ড. ফেরদৌস আরা দিলরুবা, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের পরিচালক ড. এস এম মাহবুব আলী, কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাশ, কৃষক প্রবীর সরকার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল বলেন, কেনাফ হচ্ছে পাটের বিকল্প। আর এই উপকূলীয় অঞ্চলে কেনাফ চাষের বিপুল সম্ভাবনা দেখা গেছে। উপকূলীয় লবণাক্ততা, খরা ও এক ফসলি আমন পরবর্তী পতিত জমিতে অল্প পরিচর্যায় কেনাফ চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া যায়। কয়রার কৃষকরা কেনাফ চাষ করতে চাইলে আমরা বিনামূল্যে এর বিজ সরবরাহ করবো।
কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাশ বলেন, উপকূলীয় কয়রা উপজেলার কৃষকদের জন্য কেনাফ আবাদের একটি সুবর্ণ সুযোগ হয়ে এসেছে। অনাবাদি ফেলে রাখা জমিতে কেনাফ চাষ করে লাভবান হতে পারবেন কৃষকেরা। আমরা কৃষকের দোরগোড়ায় কেনাফের প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছি যাতে কৃষক কেনাফ চাষের প্রতি আগ্রহী হয়। এখানকার কৃষকরা যেভাবে সাড়া দিচ্ছেন, খুব শিগগির কয়রা উপজেলা কেনাফের গুরুত্ব পাবে এবং এখানে পাটের সোনালী ঐতিহ্য পুনরায় ফিরিয়ে আনা হবে।