কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ৬নং পূর্ব জোড়কাননের জয়নগরের প্রবাসী নাছির উদ্দিনকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরসহ হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। যানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার মৃত মোহাম্মদ শাহাজানের ছেলে মোঃ নাছির উদ্দিনকে দিবালোকের প্রকাশ্যেই মর্তুজা মেম্বার ও তার ভাড়াটিয়া গুন্ডা(মাদক বিক্রেতা) মোঃ ইকবাল হোসেন(৩৫)প্রকাশ্যে অকত্য ভাষা গালাগালি সহ মারধর করেন।
সরেজমিনে দেখা যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ৬নং পূর্ব জোড়কানন ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ মর্তুজা বিভিন্ন মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত, তাছাড়া ইউপি সেন্টারের চালাচ্ছে জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূল্যক কাজে তাকে টাকা পয়সা না দিলে কোন কাজ হয়না। গত ২১ আগষ্ট প্রবাসী মোঃ নাছির উদ্দিন, মুর্তুজা মেম্বার সরকারের উন্নয়ন মূল্যক কাজ অনিয়ম দেখে বাধাদেয়ায় তাকে মারধর সহ বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেয়। তাছাড়া আরেক মাদক ব্যবসায়িক মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন তুমি যদি এবিষয়ে কোন কথা বলো তাহলে তোমার লাশটা কেউ পাবেনা। জয়নগরের, আবুল, তারেক, বাপ্পি, আমজাদ সহ নাম না প্রকাশ করতে অনেকে বলেন মাদক মুর্তুজার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
উপজেলার এ ঘটনায় সোমবার সকালে জয়নগরের শাহাজানের ছেলে নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে স্থানীয় মেম্বার মর্ত্তুজা এবং ভাটপাড়া এলাকার মোঃ বাহারের ছেলে ইকবাল হোসেন সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় মেম্বার মর্ত্তুজা আমার গ্রামে পুকুরের মাটি ভরাট নিয়ে মনোমালিন্য হইলে মর্ত্তুজা মেম্বারের নির্দেশে ইকবাল হোসেন সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন গত ১৬ আগষ্ট দুপুর ২ঘটিকার সময় জয়নগরের আবুল হাশেমের ছেলে নুর আহম্মদ সহ বহু লোকের উপস্থিতিতে আমার বাড়ির সামনে আসিয়া আমার নাম ধরিয়া বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি হুমকি ধমকি দিয়ে গালিগালাজ করিয়া আসতে থাকে,তথায় আমি বিবাদীদেরকে গালমন্দ করিতে নিষেধ করা মাত্রই বিবাদীগণ উত্তেজিত হইয়া আমাকে মারপিট করিতে আগাইয়া আসে।
এক পর্যায় স্বাক্ষীগণ সহ আশেপাশের লোকজন আসিয়া আমাকে বিবাদীদের কবল হইতে রক্ষা করে।তাৎক্ষণিক বিবাদীগণ যাওয়ার সময় আমাকে প্রকাশ্যভাবে হুমকি দিয়ে বলে আমি বিদেশ কিভাবে যাইবো আমাকে দেখিয়ে দিবে এবং আমার বাড়ির ভিতর অবৈধ মাদক দ্রব্য দিয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে হয়রানীসহ ক্ষতি সাধন করিবে মর্মে আমাকে পথে ঘাটে একা কোথাও পাইলে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে মারপিটসহ খুন জখম করিবে বলাবলি করিয়া চলে যায়।
গত ২১ আগষ্ট রাত আনুমানিক ১২টার সময় অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ সরকারী ফরেষ্ট বাগান হইতে কিছু গাছ কাটিয়া আনিয়া আমাকে ফাঁসাতে আমার বসতের পিছনে রাখে। তথায় আমি এহেন ঘটনা দেখিয়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গেকে অবহিত করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করি। এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা মামুন বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।