ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পাকিস্তানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দলের ‘বিরল’ সফর বেরোবিতে ১৫ বছর পর প্রভাষক পদ ফিরে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের নেত্রকোনায় কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, পুলিশ বলছে হত্যা লালমনিরহাটে কলা চাষে ঝুঁকছে চাষীরা। গরু চুরি করে ভূরিভোজন মাদারগঞ্জে সেই দম্পতিসহ তিনজনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার মাধবপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিলন মেলা ও আলোচনা সভা ঈশ্বরদীতে গভীর রাতে অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম শহীদ। ৩০ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত: প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে : গোয়াইনঘাটে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন ভোলা জেলার উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

ঝিকরগাছায় উর্ধ্বমুখী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম, দিশেহারা সাধারণ মানুষ

যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার স্থানীয়  বাজার গুলোতে প্রতিদিনই উর্ধ্বমুখী পেঁয়াজ, রসুন,  আলুসহ, সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। রসুনের দাম প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ টাকা। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা ও আলুর দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকা। আগের মত উচ্চদাম সবজি, চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, মাছ ও মাংসের।

ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজ-রসুন ও আলুর সীমাহীন দাম বৃদ্ধিতে নাভিঃশ্বাস উঠেছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। ব্যবসায়ীদের দাবী চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় পেঁয়াজ-রসুন ও আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতি কেজি রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। এক কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে  ৮০ টাকা। আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।  প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। মাছ-মাংসের দামও বেশ চড়া। বিশেষ করে মাছের বাজারতো আকাশছোঁয়া।

প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে  ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। প্রতি কেজি রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে  ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে মৃগেল মাছ।

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। ৩৩০ টাকা কেজি সোনালী, লেয়ার ও কক মুরগি। সাড়ে ৫শ’ টাকা কেজি দেশি মুরগী। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। ১০০০ টাকা থেকে সাড়ে ১১০০ টাকা কেজি খাসির মাংসের দাম।

সবজির দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি বেগু ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। ৬০ টাকা কেজি টমেটো। ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। ১২০ টাকা কেজি সজনে ডাটা। প্রতি কেজি পটল ৭০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি  মিষ্টি কুমড়া । প্রতি কেজি ঝিঙে ও কুশি ৬০ টাকা কেজি। ৮০ টাকা কেজি উচ্ছে। ৬০ টাকা কেজি ঢেড়স।

বাজারে ভোজ্য তেলের দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ১৯৫ টাকা কেজি। ১৫৫ টাকা কেজি সুপার পাম তেল। পাম তেল ১৫০ টাকা কেজি।

বাজারে ডালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা। ১০০ টাকা কেজি আমদানিকৃত মসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল  ৯০ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল ১শ’ টাকা।

এক ক্রেতা জানান আগে দুইশো থেকে চারশো  টাকা হলে কাঁচা তরকারি সহ তেল মাছ কিনতে পারতাম,  আর এখন ১৫০০ টাকা হলেও ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। আয়ের চাইতে ব্যয় অনেক বেশি।

এ অবস্থায় বাজার মনিটরিং করা খুবই জরুরী,  পণ্যের  বাজার  উর্ধ্বমুখী,  যে কোন অজুহাত পেলেই ব্যবসায়ীরা জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি কোন ব্যবসায়ী যেনো কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বেশি নিতে  না পারে।

আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দলের ‘বিরল’ সফর

ঝিকরগাছায় উর্ধ্বমুখী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম, দিশেহারা সাধারণ মানুষ

আপডেট সময় ০৫:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার স্থানীয়  বাজার গুলোতে প্রতিদিনই উর্ধ্বমুখী পেঁয়াজ, রসুন,  আলুসহ, সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। রসুনের দাম প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ টাকা। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা ও আলুর দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকা। আগের মত উচ্চদাম সবজি, চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, মাছ ও মাংসের।

ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজ-রসুন ও আলুর সীমাহীন দাম বৃদ্ধিতে নাভিঃশ্বাস উঠেছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। ব্যবসায়ীদের দাবী চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় পেঁয়াজ-রসুন ও আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতি কেজি রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। এক কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে  ৮০ টাকা। আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।  প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। মাছ-মাংসের দামও বেশ চড়া। বিশেষ করে মাছের বাজারতো আকাশছোঁয়া।

প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে  ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। প্রতি কেজি রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে  ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে মৃগেল মাছ।

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। ৩৩০ টাকা কেজি সোনালী, লেয়ার ও কক মুরগি। সাড়ে ৫শ’ টাকা কেজি দেশি মুরগী। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। ১০০০ টাকা থেকে সাড়ে ১১০০ টাকা কেজি খাসির মাংসের দাম।

সবজির দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি বেগু ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। ৬০ টাকা কেজি টমেটো। ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। ১২০ টাকা কেজি সজনে ডাটা। প্রতি কেজি পটল ৭০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি  মিষ্টি কুমড়া । প্রতি কেজি ঝিঙে ও কুশি ৬০ টাকা কেজি। ৮০ টাকা কেজি উচ্ছে। ৬০ টাকা কেজি ঢেড়স।

বাজারে ভোজ্য তেলের দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ১৯৫ টাকা কেজি। ১৫৫ টাকা কেজি সুপার পাম তেল। পাম তেল ১৫০ টাকা কেজি।

বাজারে ডালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা। ১০০ টাকা কেজি আমদানিকৃত মসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল  ৯০ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল ১শ’ টাকা।

এক ক্রেতা জানান আগে দুইশো থেকে চারশো  টাকা হলে কাঁচা তরকারি সহ তেল মাছ কিনতে পারতাম,  আর এখন ১৫০০ টাকা হলেও ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। আয়ের চাইতে ব্যয় অনেক বেশি।

এ অবস্থায় বাজার মনিটরিং করা খুবই জরুরী,  পণ্যের  বাজার  উর্ধ্বমুখী,  যে কোন অজুহাত পেলেই ব্যবসায়ীরা জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি কোন ব্যবসায়ী যেনো কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বেশি নিতে  না পারে।

আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল