ঢাকার মতো অতিষ্ট গরমে কাহিল কলকাতাও। আর এই গরম থেকে বাঁচতে এসির দোকানে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু দিন আগেও যে সব দোকানে চাহিদা ছিল সপ্তাহে ২০টির মতো, সেটাই এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে দিনে ২০০টি! হঠাৎ এসির এই চাহিদা বৃদ্ধিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। এমনও হচ্ছে অর্ডার হওয়ার পর ডেলিভারির জন্য সাত-দশ দিন সময় লাগছে। এরপর তা ইন্সটল হতে আরও দুইদিন।
পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, সেটা নিয়ে এখনই কোনো আশার কথা শোনাতে পারছেন না বিক্রেতারা। কেউ আবার মজার ছলে বলছেন, বৃষ্টি হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
বিক্রেতাদের দাবি, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর এসির চাহিদা কয়েক গুণ বেশি। আগে গরমকালে যেসব বড় দোকানে দিনে ৫০টি এসি বিক্রি হতো, এখন সেসব দোকানেই ১৫০-২০০ এসি বিক্রি হচ্ছে।
একটি দোকানের ম্যানেজার বলেন, গত তিন বছরে কোভিডের কারণে এসি বিক্রির পরিমাণ কমে গিয়েছিল অনেকটাই। তবে তার আগে গরমকালে দিনে ৫০টির মতো এসি বিক্রি হতো। কিন্তু এ বারের চাহিদা সব কিছু ছাড়িয়ে গেছে। এমন কোনো বছর হয়নি। তাই গোলমাল এড়াতে বিল করার আগে সবটা ক্রেতাদের জানিয়ে দিচ্ছি। তারপরেও তারা নিতে চাইলে তবেই বিল করা হচ্ছে।