বরগুনা জেলা খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ও এম এস চাল ও আটা কার্যক্রমে চলছে অনিয়ম ও দুর্নীতি। ১০ কেন্দ্র ১০ টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে থাকর কথা থাকলেও একাধিক কেন্দ্র একই স্থানে থেকে আটা চাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে । সরকারি বিধি মোতাবেক সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত দেওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় ১০টি কেন্দ্র ।
ডিউটি অফিসারদের কেন্দ্র থাকার কথা থাকলেও তাদের কাউকে কেন্দ্রে পাওয়া যায়নি। তারা শুধু একবার গিয়ে সাক্ষর করে চলে যায় । এছাড়াও দেখা যায় বরাদ্দ কৃত দৈনিক ০.৫০০ মে. টন আটা ও ১.৫০০ মে.টন চাল দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে না বেশিরভাগই। সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায় – তারা জানে দুপুর ১১-১২ টার মধ্যে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় । সবাইকে দেওয়া হয় না আটা চাল । এছাড়াও আগের দিন ব্যাগ রেখে গেলে পরেরদিন তাকে আগে দেওয়া হয় ।
এছাড়াও দৈনিক ৪-৫ বস্তা চাল ও ২-৩ বস্তা আটা দিয়েই বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকান। এ সম্পর্কে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন কিন্তু তার অফিসের ডিউটি অফিসার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তার পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছু বলেননি ।
এছাড়া একাধিক কেন্দ্র একসাথে কার্যক্রমের পরিচালনা ও ভিন্ন ভিন্ন স্থানে না দেওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন অফিস থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ডিলাররা তারা তাদের সুবিধা মত স্থানে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।