ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
৫ আগষ্টসহ বিভিন্ন আন্দোলনের মূল কারণ হচ্ছে অবিচার লালন – দুদক চেয়ারম্যান কুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাঈদ, সম্পাদক মুরাদ দাউদকান্দিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ একজন গ্রেপ্তার কুমিল্লায় কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর দূর্নীতি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ উৎসব মুখর পরিবেশে সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে মধ্যরাতে উত্তাল যবিপ্রবি অবৈধভাবে মাটি কাটায় মামলা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগপত্র কার্যকরের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এর বিরুদ্ধে চলছে মিথ্যা ষড়যন্ত্র পাংশায় তারুণ্যের উৎসব প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

প্রিম্যাচিওর শিশুর যত্ন নেবেন যেভাবে

যত শিশু পৃথিবীতে আসে, তাদের সবাই পূর্ণ সময় ধরে মাতৃগর্ভে কাটিয়ে আসতে পারে না। কোনো কোনো শিশুর ক্ষেত্রে সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমরা যাকে প্রিম্যাচিওর বেবি নামে চিনি। যদি কোনো শিশু মাতৃগর্ভে ৩৭ সপ্তাহ কাটানোর আগেই পৃথিবীতে আসে তবে সেক্ষেত্রে নানা ধরনের বিপদের আশঙ্কা থাকে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক সময় শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। 

বিভিন্ন প্রতিবেদন ঘেঁটে জানা যায়, সময়ের আগে ভূমিষ্ঠ হওয়ার কারণে প্রতি বছর পৃথিবীতে ১০ লাখের মতো শিশুমৃত্যু ঘটে। যেসব শিশু বেঁচে থাকে তাদের ক্ষেত্রেও কিছু কিছু সমস্যা থেকে যেতে পারে। কারও ক্ষেত্রে কানে, কারও চোখে আবার কারও মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা যেতে পারে।

প্রিম্যাচিওর হওয়ার কারণ

* প্রথম সন্তান সময়ের আগে জন্মালে পরবর্তী সন্তানের ক্ষেত্রেও তা ঘটতে পারে।

* কোনও জটিল সংক্রমণ দেখা দিলে।

* কোনোভাবে আঘাত লেগে বা কখনও যদি জরায়ু থেকে প্লাসেন্টা ছিঁড়ে যায় ।

* গর্ভের অ্যমনিওটিক ফ্লুইডের পরিমাণ কমে গেলে।

* হবু মায়ের সুগার বা রক্তচাপ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে।

উপসর্গ জেনে নিন

* ঘন ঘন পেটে চাপ ধরার অনুভূতি হলে।

* একটানা কোমর ব্যথা হলে।

* মাঝেমধ্যে তলপেটে মোচড় দিয়ে ব্যথা হলে।

* রক্তপাত হলে।

* সচরাচর যেমন হয় তার চেয়ে কিছুটা অন্যরকম সাদাস্রাব হলে।

এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। উপসর্গ না থাকলেও অনেক সময় প্রিম্যাচিওর শিশুর জন্ম হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরাই আপনাকে সতর্ক করবেন।

প্রিম্যাচিওর শিশু ও প্রসূতি মায়ের যত্ন

* প্রিম্যাচিওর শিশুর জন্মের পর হাসপাতালে কিছুদিন কাটাতে হতে পারে। এরপর ছাড়পত্র পেলেও সব সময় চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।

* প্রিম্যাচিওর জন্ম নেওয়ার কারণ জেনে সেভাবে শিশু ও তার মায়ের যত্ন নিতে হবে।

* শিশু যদি কোনো জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মায় তাহলে তার বিশেষ ধরনের যত্ন ও চিকিৎসা প্রয়োজন হবে।

* শিশু শ্বাসকষ্টে ভুগতে পারে। এ ধরনের শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে বলে ঘন ঘন সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

* শিশুর পাশাপাশি মায়ের শরীরেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য মাকে চাপ দেওয়া যাবে না। বরং তারও আলাদাভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৫ আগষ্টসহ বিভিন্ন আন্দোলনের মূল কারণ হচ্ছে অবিচার লালন – দুদক চেয়ারম্যান

প্রিম্যাচিওর শিশুর যত্ন নেবেন যেভাবে

আপডেট সময় ১২:৫১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

যত শিশু পৃথিবীতে আসে, তাদের সবাই পূর্ণ সময় ধরে মাতৃগর্ভে কাটিয়ে আসতে পারে না। কোনো কোনো শিশুর ক্ষেত্রে সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমরা যাকে প্রিম্যাচিওর বেবি নামে চিনি। যদি কোনো শিশু মাতৃগর্ভে ৩৭ সপ্তাহ কাটানোর আগেই পৃথিবীতে আসে তবে সেক্ষেত্রে নানা ধরনের বিপদের আশঙ্কা থাকে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক সময় শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। 

বিভিন্ন প্রতিবেদন ঘেঁটে জানা যায়, সময়ের আগে ভূমিষ্ঠ হওয়ার কারণে প্রতি বছর পৃথিবীতে ১০ লাখের মতো শিশুমৃত্যু ঘটে। যেসব শিশু বেঁচে থাকে তাদের ক্ষেত্রেও কিছু কিছু সমস্যা থেকে যেতে পারে। কারও ক্ষেত্রে কানে, কারও চোখে আবার কারও মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা যেতে পারে।

প্রিম্যাচিওর হওয়ার কারণ

* প্রথম সন্তান সময়ের আগে জন্মালে পরবর্তী সন্তানের ক্ষেত্রেও তা ঘটতে পারে।

* কোনও জটিল সংক্রমণ দেখা দিলে।

* কোনোভাবে আঘাত লেগে বা কখনও যদি জরায়ু থেকে প্লাসেন্টা ছিঁড়ে যায় ।

* গর্ভের অ্যমনিওটিক ফ্লুইডের পরিমাণ কমে গেলে।

* হবু মায়ের সুগার বা রক্তচাপ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে।

উপসর্গ জেনে নিন

* ঘন ঘন পেটে চাপ ধরার অনুভূতি হলে।

* একটানা কোমর ব্যথা হলে।

* মাঝেমধ্যে তলপেটে মোচড় দিয়ে ব্যথা হলে।

* রক্তপাত হলে।

* সচরাচর যেমন হয় তার চেয়ে কিছুটা অন্যরকম সাদাস্রাব হলে।

এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। উপসর্গ না থাকলেও অনেক সময় প্রিম্যাচিওর শিশুর জন্ম হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরাই আপনাকে সতর্ক করবেন।

প্রিম্যাচিওর শিশু ও প্রসূতি মায়ের যত্ন

* প্রিম্যাচিওর শিশুর জন্মের পর হাসপাতালে কিছুদিন কাটাতে হতে পারে। এরপর ছাড়পত্র পেলেও সব সময় চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।

* প্রিম্যাচিওর জন্ম নেওয়ার কারণ জেনে সেভাবে শিশু ও তার মায়ের যত্ন নিতে হবে।

* শিশু যদি কোনো জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মায় তাহলে তার বিশেষ ধরনের যত্ন ও চিকিৎসা প্রয়োজন হবে।

* শিশু শ্বাসকষ্টে ভুগতে পারে। এ ধরনের শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে বলে ঘন ঘন সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

* শিশুর পাশাপাশি মায়ের শরীরেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য মাকে চাপ দেওয়া যাবে না। বরং তারও আলাদাভাবে খেয়াল রাখতে হবে।