ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এতে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ওই সময় গুজরাটের মুখমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
এ তথ্যচিত্রকে ‘প্রোপাগান্ডা’ হিসেবে অভিহিত করেছে মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এ কারণে এটি ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও রাজধানী নয়া দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের একদল শিক্ষার্থী সিদ্ধান্ত নেন মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একসঙ্গে এই তথ্যচিত্র দেখবেন তারা। এজন্য একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করেন তারা।
কিন্তু এতে বাধা সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, ‘এ ধরনের প্রদর্শনী ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতার নষ্ট করবে।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা যেন বড় পর্দায় এ তথ্য চিত্রটির প্রদর্শন করতে না পারেন সে জন্য ক্যাম্পাসের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয় এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নেন তারা একসঙ্গে এটি দেখবেনই। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাফেটেরিয়ায় গিয়ে সবাই যার যার মোবাইল ও ল্যাপটপে একসঙ্গে বসে এটি দেখেন। তবে ওই সময় তাদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবা সংঘ (এবিভিপি)। তাদের মধ্যে দুইজনকে আটকও করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে মঙ্গলবার হায়দ্রাবাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়েও মোদি ও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তৈরিকৃত তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন করা হয়। এ তথ্যচিত্রটি ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার পর দেশটির বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদরা সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন অন্য উপায়ে এটি দেখেন।