ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

রূপপুরের পণ্যবোঝাই রুশ জাহাজ চীনের পথে

বাংলাদেশ ও ভারতের বন্দরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস করতে পারেনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা পতাকাবাহী রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর’। নানা নাটকীয়তার পর এবার জাহাজটি যাচ্ছে চীনের দিকে। দক্ষিণ চীনের সায়েনথো বন্দরে (সিএনএসটিজি) বহন করা পণ্যগুলো খালাস করার কথা রয়েছে সেটির।

কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র বলছে, ভারতের বন্দরে ভিড়তে না পারায় জাহাজটিকে রুট পরিবর্তন করিয়ে চীনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চীনের সায়েনথো বন্দরে গিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস করতে চায় রাশিয়া। আশা করা হচ্ছে, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জাহাজটি চীনের বন্দরে গিয়ে পৌঁছাবে।

নিষেধাজ্ঞা নেই এমন একটি জাহাজে রাশিয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোমেন। গত ২৪ ডিসেম্বর উরসা মেজর নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটির রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। বাংলাদেশ জানতে পারে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজ। যেটি  রঙ ও নাম বদল করে উরসা মেজর নাম দেওয়া হয়। জাহাজটির আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) সনদ নম্বর: ৯৫৩৮৮৯২, যা প্রকৃতপক্ষে ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজের সনদ নম্বর।

তথ্য নিশ্চিত হবার পরে বাংলাদেশ জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে। যদিও জাহাজটিকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাশিয়া। তবে জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতির মধ্যে জাহাজটি ভারতের যেকোনো বন্দরে পণ্য খালাস করে, পরে তা অন্য জাহাজে করে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু জাহাজটি প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করে ব্যর্থ হয়। পরে জাহাজটি ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ তথ্য পেতে হবে কেন? জাহাজ রওনা হওয়ার মাস খানেক আগে বন্দরকে জানানো হয়। জাহাজের নাম পরিবর্তন করা গেলেও আইএমও নম্বর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। জাহাজ রওনা হওয়ার পর থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বন্দরে আপডেট দেয়। বাংলাদেশ থেকে কত নটিক্যাল মাইল দূরে আছে, এটা জানানো হয়। বন্দর সংশ্লিষ্টরা আইএমও নম্বর দেখে বলতে পারার কথা এটা উরসা মেজর নয়, ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজ।

রাশিয়া কি ইচ্ছা করেই নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজ বাংলাদেশে পাঠিয়েছে─ প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা বলেন, কোনো একটা কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে গোলমাল হয়েছে। রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর সাংবাদিকরা রাশিয়ান জাহাজের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের কাছে জানতে চান। রাশিয়ার জাহাজ ফেরত দেওয়াকে কেন্দ্র করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে যাচ্ছে কি না─ জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটু দেরি তো হবেই। এটুকু বলতে পারি।

তিনি বলেন, ভারতে খালাসের কথা বলা হচ্ছে। এরকম বার্তা আমাদের কাছে ছিল না। এটা একটা কমার্শিয়াল ট্রানজেকশন। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হলো আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আশা করি সেটা হবে। এটা বাস্তবায়নের দায়িত্বে যারা আছেন, তারা বিষয়টা দেখবেন। রাশিয়া নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজ বাংলাদেশে পাঠাল। এ বিষয়ে মস্কোকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কি না ঢাকা─ জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমার সম্পূর্ণ জানা নেই। বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই সেটা জানিয়েছে। তারা বিষয়টা ডিল করছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

রূপপুরের পণ্যবোঝাই রুশ জাহাজ চীনের পথে

আপডেট সময় ১০:৫২:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ ও ভারতের বন্দরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস করতে পারেনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা পতাকাবাহী রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর’। নানা নাটকীয়তার পর এবার জাহাজটি যাচ্ছে চীনের দিকে। দক্ষিণ চীনের সায়েনথো বন্দরে (সিএনএসটিজি) বহন করা পণ্যগুলো খালাস করার কথা রয়েছে সেটির।

কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র বলছে, ভারতের বন্দরে ভিড়তে না পারায় জাহাজটিকে রুট পরিবর্তন করিয়ে চীনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চীনের সায়েনথো বন্দরে গিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস করতে চায় রাশিয়া। আশা করা হচ্ছে, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জাহাজটি চীনের বন্দরে গিয়ে পৌঁছাবে।

নিষেধাজ্ঞা নেই এমন একটি জাহাজে রাশিয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোমেন। গত ২৪ ডিসেম্বর উরসা মেজর নামে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটির রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। বাংলাদেশ জানতে পারে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজ। যেটি  রঙ ও নাম বদল করে উরসা মেজর নাম দেওয়া হয়। জাহাজটির আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) সনদ নম্বর: ৯৫৩৮৮৯২, যা প্রকৃতপক্ষে ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজের সনদ নম্বর।

তথ্য নিশ্চিত হবার পরে বাংলাদেশ জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে। যদিও জাহাজটিকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাশিয়া। তবে জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতির মধ্যে জাহাজটি ভারতের যেকোনো বন্দরে পণ্য খালাস করে, পরে তা অন্য জাহাজে করে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু জাহাজটি প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করে ব্যর্থ হয়। পরে জাহাজটি ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ তথ্য পেতে হবে কেন? জাহাজ রওনা হওয়ার মাস খানেক আগে বন্দরকে জানানো হয়। জাহাজের নাম পরিবর্তন করা গেলেও আইএমও নম্বর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। জাহাজ রওনা হওয়ার পর থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বন্দরে আপডেট দেয়। বাংলাদেশ থেকে কত নটিক্যাল মাইল দূরে আছে, এটা জানানো হয়। বন্দর সংশ্লিষ্টরা আইএমও নম্বর দেখে বলতে পারার কথা এটা উরসা মেজর নয়, ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজ।

রাশিয়া কি ইচ্ছা করেই নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজ বাংলাদেশে পাঠিয়েছে─ প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা বলেন, কোনো একটা কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে গোলমাল হয়েছে। রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর সাংবাদিকরা রাশিয়ান জাহাজের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের কাছে জানতে চান। রাশিয়ার জাহাজ ফেরত দেওয়াকে কেন্দ্র করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পাঠানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে যাচ্ছে কি না─ জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটু দেরি তো হবেই। এটুকু বলতে পারি।

তিনি বলেন, ভারতে খালাসের কথা বলা হচ্ছে। এরকম বার্তা আমাদের কাছে ছিল না। এটা একটা কমার্শিয়াল ট্রানজেকশন। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হলো আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আশা করি সেটা হবে। এটা বাস্তবায়নের দায়িত্বে যারা আছেন, তারা বিষয়টা দেখবেন। রাশিয়া নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজ বাংলাদেশে পাঠাল। এ বিষয়ে মস্কোকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কি না ঢাকা─ জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমার সম্পূর্ণ জানা নেই। বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই সেটা জানিয়েছে। তারা বিষয়টা ডিল করছে।