ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

ইউক্রেনে রাশিয়া হারলে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হতে পারে: মেদভেদেভ

ইউক্রেনে রাশিয়ার পরাজয় ঘটলে তা পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করতে পারে বলে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে সতর্ক করে দিয়েছেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে এই সতর্কবাণী দিয়েছেন তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রভাবশালী নিরাপত্তা পরিষদের উপ-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেছেন, ‘প্রচলিত যুদ্ধে পারমাণবিক ক্ষমতাধর রাশিয়ার পরাজয় পারমাণবিক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।’

২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা মেদভেদেভ বলেছেন, ‘পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো বড় ধরনের সংঘাতে কখনই হারেনি। কারণ এর ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করে।’

মেদভেদেভ বলেন, ন্যাটো এবং পশ্চিমের অন্যান্য প্রতিরক্ষা নেতারা শুক্রবার জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে বৈঠকে মিলিত হয়ে যুদ্ধের কৌশল ও ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরাজিত করার পশ্চিমের প্রচেষ্টার সমর্থনের ব্যাপারে কথা বলবেন। তবে তাদের নীতির ঝুঁকির বিষয়েও চিন্তা করা উচিত।

এখন পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ পারমাণবিক ওয়ারহেডের দখল রয়েছে। রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেবল প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে রয়েছে।

রাশিয়ার ওপর প্রচলিত সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব ন্যাটোর থাকলেও পারমাণবিক অস্ত্রের হিসেবে ইউরোপের জোটের তুলনায় মস্কোর পারমাণবিক শক্তি বেশি রয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানকে আগ্রাসী এবং দাম্ভিক পশ্চিমের বিরুদ্ধে অস্তিত্বের লড়াই বলে অভিহিত করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে যেকোনও আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে নিজেকে এবং দেশের জনগণকে রক্ষায় রাশিয়া তার সম্ভাব্য সব উপায়ের ব্যবহার করবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

ইউক্রেনে রাশিয়া হারলে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হতে পারে: মেদভেদেভ

আপডেট সময় ০৩:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

ইউক্রেনে রাশিয়ার পরাজয় ঘটলে তা পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করতে পারে বলে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে সতর্ক করে দিয়েছেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে এই সতর্কবাণী দিয়েছেন তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রভাবশালী নিরাপত্তা পরিষদের উপ-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেছেন, ‘প্রচলিত যুদ্ধে পারমাণবিক ক্ষমতাধর রাশিয়ার পরাজয় পারমাণবিক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।’

২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা মেদভেদেভ বলেছেন, ‘পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো বড় ধরনের সংঘাতে কখনই হারেনি। কারণ এর ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করে।’

মেদভেদেভ বলেন, ন্যাটো এবং পশ্চিমের অন্যান্য প্রতিরক্ষা নেতারা শুক্রবার জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে বৈঠকে মিলিত হয়ে যুদ্ধের কৌশল ও ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরাজিত করার পশ্চিমের প্রচেষ্টার সমর্থনের ব্যাপারে কথা বলবেন। তবে তাদের নীতির ঝুঁকির বিষয়েও চিন্তা করা উচিত।

এখন পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ পারমাণবিক ওয়ারহেডের দখল রয়েছে। রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেবল প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে রয়েছে।

রাশিয়ার ওপর প্রচলিত সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব ন্যাটোর থাকলেও পারমাণবিক অস্ত্রের হিসেবে ইউরোপের জোটের তুলনায় মস্কোর পারমাণবিক শক্তি বেশি রয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানকে আগ্রাসী এবং দাম্ভিক পশ্চিমের বিরুদ্ধে অস্তিত্বের লড়াই বলে অভিহিত করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে যেকোনও আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে নিজেকে এবং দেশের জনগণকে রক্ষায় রাশিয়া তার সম্ভাব্য সব উপায়ের ব্যবহার করবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি।