ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ তুরস্কের

ওয়াশিংটনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি উঠে এসেছে ইউক্রেন যুদ্ধ, রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক এবং ন্যাটোর প্রসঙ্গও।

সেখানেই তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দ্রুত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে যুদ্ধবিমান না দিলে তার প্রভাব ন্যাটোর ওপরেও পড়তে পারে বলে প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়েছেন তিনি।

বস্তুত, বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছিল, তুরস্কের কাছে ৪০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একাধিক বিতর্ক হয়েছে এবং হচ্ছে। একাধিক ডেমোক্র্যাট সদস্যের বক্তব্য, ন্যাটোয় তুরস্কের ভূমিকা এবং রাশিয়া প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান সঠিক নয়। ফলে দেশটির কাছে ওই বিমান বিক্রি করা উচিত নয়। বৈঠক চলাকালীনও কংগ্রেসে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তুরস্ক ন্যাটোর একমাত্র দেশ যারা সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ভেটো দিয়েছে। কুর্দি আন্দোলনকারীদের তারা সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করেছে। সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডও তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত না করলে তুরস্ক এই দুই দেশকে ন্যাটোয় ঢুকতে দেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।

কুর্দিদের একটি গোষ্ঠী আবার সিরিয়ায় আইএস-বিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গী। ফলে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের এই অবস্থান ভালো চোখে দেখছে না। অন্যদিকে রাশিয়া প্রসঙ্গেও তুরস্ক মধ্যপন্থি অবস্থান নিয়েছে। তারা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চায়। মধ্যস্থতা করতে চায়। ওয়াশিংটন এই বিষয়টিও ভালো চোখে দেখছে না।

কিন্তু ওয়াশিংটনের বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিমান বিক্রি না করলে তার প্রভাব কেবল দুই দেশের সম্পর্কের ওপরেই পড়বে না, ন্যাটোতেও পড়বে। কার্যত হুমকির সুরেই একথা তিনি জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে।

বস্তুত, তুরস্কের চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র ২০ বিলিয়ন ডলারের ফাইটার জেট বিক্রিতে কার্যত সম্মতি প্রকাশ করেছে। কিন্তু ওয়াশিংটনও পাল্টা চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছে।

তারা বলেছে, ন্যাটোর নতুন দুই সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তুরস্ক যে অবস্থান নিয়েছে, তা বদলাতে হবে। সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের যোগদান তুরস্ককে মেনে নিতে হবে। তাহলেই তারা এই চুক্তিতে অগ্রসর হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ তুরস্কের

আপডেট সময় ০৩:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

ওয়াশিংটনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি উঠে এসেছে ইউক্রেন যুদ্ধ, রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক এবং ন্যাটোর প্রসঙ্গও।

সেখানেই তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দ্রুত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে যুদ্ধবিমান না দিলে তার প্রভাব ন্যাটোর ওপরেও পড়তে পারে বলে প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়েছেন তিনি।

বস্তুত, বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছিল, তুরস্কের কাছে ৪০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একাধিক বিতর্ক হয়েছে এবং হচ্ছে। একাধিক ডেমোক্র্যাট সদস্যের বক্তব্য, ন্যাটোয় তুরস্কের ভূমিকা এবং রাশিয়া প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান সঠিক নয়। ফলে দেশটির কাছে ওই বিমান বিক্রি করা উচিত নয়। বৈঠক চলাকালীনও কংগ্রেসে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তুরস্ক ন্যাটোর একমাত্র দেশ যারা সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ভেটো দিয়েছে। কুর্দি আন্দোলনকারীদের তারা সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করেছে। সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডও তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত না করলে তুরস্ক এই দুই দেশকে ন্যাটোয় ঢুকতে দেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।

কুর্দিদের একটি গোষ্ঠী আবার সিরিয়ায় আইএস-বিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গী। ফলে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের এই অবস্থান ভালো চোখে দেখছে না। অন্যদিকে রাশিয়া প্রসঙ্গেও তুরস্ক মধ্যপন্থি অবস্থান নিয়েছে। তারা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চায়। মধ্যস্থতা করতে চায়। ওয়াশিংটন এই বিষয়টিও ভালো চোখে দেখছে না।

কিন্তু ওয়াশিংটনের বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিমান বিক্রি না করলে তার প্রভাব কেবল দুই দেশের সম্পর্কের ওপরেই পড়বে না, ন্যাটোতেও পড়বে। কার্যত হুমকির সুরেই একথা তিনি জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে।

বস্তুত, তুরস্কের চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র ২০ বিলিয়ন ডলারের ফাইটার জেট বিক্রিতে কার্যত সম্মতি প্রকাশ করেছে। কিন্তু ওয়াশিংটনও পাল্টা চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছে।

তারা বলেছে, ন্যাটোর নতুন দুই সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তুরস্ক যে অবস্থান নিয়েছে, তা বদলাতে হবে। সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের যোগদান তুরস্ককে মেনে নিতে হবে। তাহলেই তারা এই চুক্তিতে অগ্রসর হবে।