ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংসদে সরকারি চাকরি বিল উত্থাপন

জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল উত্থাপিত হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য একই বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিধান রেখে বিলটি উত্থাপিত হয়। এছাড়া এ বিলে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কর্মচারীর ব্যবস্থাদি, ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাদি ও অবসরের ক্ষেত্রে সমান সুবিধা দেওয়ার বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

উত্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলের সংশোধনীতে বিদ্যমান আইনের ধারা ১ এর (গ) উপধারার (৪) এর পর নিম্নরূপ নতুন উপধারা (৪ক) সন্নিবেশিত হয়। এতে বলা হয়, ‘৪(ক) উপধারা (৪) এর উদ্দেশ্য পূরণ কল্পে এই আইনের ধারা ১৫, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ এর বিধানসমুহ স্ব-শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীগণের জন্য প্রযোজ্য হবে। এছাড়া বিদ্যমান আইনের ৪৮ ও ৫০ ধারায় সংখ্যাগত পরিবর্তন আনা হয়।

সংশোধিত আইনের যে সব ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে, এর মধ্যে ১৫ ধারায় বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি নির্ধারণ, ৪১ ধারায় ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কর্মচারীর ব্যবস্থাদি, ৪২ ধারায় ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা, ৪৪ ধারায় ঐচ্ছিক অবসর গ্রহণ, ৪৫ ধারায় সরকার কর্তৃক অবসর প্রদান ও ৫০ ধারায় অবসর সুবিধা ইত্যাদি বিষয়ে বিবরণ রয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতি বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরি আইন পাশ হয়। পরবর্তীতে একই বছরের ১৪ নভেম্বর আইনটি সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু অর্থ বিভাগ সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ তে স্ব-শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতাদি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের করণীয় স্পষ্ট নয় মর্মে বেতন-ভাতা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন প্রয়োজন মতামত ব্যক্ত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনটি কার্যকর করার পর যেসব বিষয় সংশোধন প্রয়োজন, তা পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে।

পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশমালা পর্যালোচনা করে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর সংশোধনীর প্রস্তাবে সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২৩ শীর্ষক বিলটি প্রণয়ন করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সংসদে সরকারি চাকরি বিল উত্থাপন

আপডেট সময় ০৭:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল উত্থাপিত হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য একই বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিধান রেখে বিলটি উত্থাপিত হয়। এছাড়া এ বিলে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কর্মচারীর ব্যবস্থাদি, ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থাদি ও অবসরের ক্ষেত্রে সমান সুবিধা দেওয়ার বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

উত্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলের সংশোধনীতে বিদ্যমান আইনের ধারা ১ এর (গ) উপধারার (৪) এর পর নিম্নরূপ নতুন উপধারা (৪ক) সন্নিবেশিত হয়। এতে বলা হয়, ‘৪(ক) উপধারা (৪) এর উদ্দেশ্য পূরণ কল্পে এই আইনের ধারা ১৫, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ এর বিধানসমুহ স্ব-শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীগণের জন্য প্রযোজ্য হবে। এছাড়া বিদ্যমান আইনের ৪৮ ও ৫০ ধারায় সংখ্যাগত পরিবর্তন আনা হয়।

সংশোধিত আইনের যে সব ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে, এর মধ্যে ১৫ ধারায় বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি নির্ধারণ, ৪১ ধারায় ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কর্মচারীর ব্যবস্থাদি, ৪২ ধারায় ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা, ৪৪ ধারায় ঐচ্ছিক অবসর গ্রহণ, ৪৫ ধারায় সরকার কর্তৃক অবসর প্রদান ও ৫০ ধারায় অবসর সুবিধা ইত্যাদি বিষয়ে বিবরণ রয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতি বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরি আইন পাশ হয়। পরবর্তীতে একই বছরের ১৪ নভেম্বর আইনটি সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু অর্থ বিভাগ সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ তে স্ব-শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতাদি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের করণীয় স্পষ্ট নয় মর্মে বেতন-ভাতা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন প্রয়োজন মতামত ব্যক্ত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনটি কার্যকর করার পর যেসব বিষয় সংশোধন প্রয়োজন, তা পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে।

পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশমালা পর্যালোচনা করে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর সংশোধনীর প্রস্তাবে সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২৩ শীর্ষক বিলটি প্রণয়ন করা হয়।