ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধন

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে খরচ বাড়ছে ৩১৫ কোটি টাকা। একইসঙ্গে প্রকল্পের সময়ও এক বছর বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঠিকাদারের বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন আমদানি খাতে খরচ বাড়ছে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। একনেক সভায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহু লেন টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এখন এই প্রকল্পে খরচ হবে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি শেষ করার জন্য এর আগে সময় দেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।

সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন,  একনেক সভায় কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পসহ সব মিলিয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম প্রকল্প হলো—চট্টগ্রামের পটিয়ার শ্রীমাই নদে বাঁধ নির্মাণ, বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাসকে নদীভাঙন থেকে রক্ষায় প্রকল্প, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (সওজ অংশ), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালী পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ, বাংলাদেশের ২৪টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন প্রকল্প ও ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট ফেজ-২ (খুলনা) প্রকল্প।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি এখন প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই এ টানেল যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গত নভেম্বরে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছিল সেতু কর্তৃপক্ষ।

গত কয়েক মাসে ডলারের দাম ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে ১০৬ টাকা হয়েছে। সে কারণে এই প্রকল্পের খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া আসবাব কেনা ও শুল্ক-কর বৃদ্ধির কারণেও খরচ বাড়ছে বলে জানা গেছে।

২০১৫ সালে প্রকল্পটি যখন পাস করা হয়, তখন এই প্রকল্পের খরচ ছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। তখন এর মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। পরে যথাসময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রথম দফা সংশোধন করে খরচ ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। পরে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এখন আবার খরচ বাড়ানো হচ্ছে। এই প্রকল্পে অর্থ দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক।

একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকিসহ আরও অনেকে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধন

আপডেট সময় ০৪:২৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে খরচ বাড়ছে ৩১৫ কোটি টাকা। একইসঙ্গে প্রকল্পের সময়ও এক বছর বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঠিকাদারের বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন আমদানি খাতে খরচ বাড়ছে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। একনেক সভায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহু লেন টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এখন এই প্রকল্পে খরচ হবে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি শেষ করার জন্য এর আগে সময় দেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।

সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন,  একনেক সভায় কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পসহ সব মিলিয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম প্রকল্প হলো—চট্টগ্রামের পটিয়ার শ্রীমাই নদে বাঁধ নির্মাণ, বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাসকে নদীভাঙন থেকে রক্ষায় প্রকল্প, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (সওজ অংশ), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালী পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ, বাংলাদেশের ২৪টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন প্রকল্প ও ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট ফেজ-২ (খুলনা) প্রকল্প।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি এখন প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই এ টানেল যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গত নভেম্বরে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছিল সেতু কর্তৃপক্ষ।

গত কয়েক মাসে ডলারের দাম ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে ১০৬ টাকা হয়েছে। সে কারণে এই প্রকল্পের খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া আসবাব কেনা ও শুল্ক-কর বৃদ্ধির কারণেও খরচ বাড়ছে বলে জানা গেছে।

২০১৫ সালে প্রকল্পটি যখন পাস করা হয়, তখন এই প্রকল্পের খরচ ছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। তখন এর মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। পরে যথাসময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রথম দফা সংশোধন করে খরচ ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। পরে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এখন আবার খরচ বাড়ানো হচ্ছে। এই প্রকল্পে অর্থ দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক।

একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকিসহ আরও অনেকে।