২০২৬ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য পদে প্রার্থিতা করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে নাইজেরিয়াকে অনুরোধ করা হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আবুজার পক্ষ থেকে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নাইজেরিয়ার যোগাযোগ ও ডিজিটাল অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী অধ্যাপক ইসা আলী ইব্রাহিম পান্তামির সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এরপর সাংবাদিকদের ব্রিফ করে উভয়পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বিভিন্ন সময়ে নাইজেরিয়া আমাদেরকে সমর্থন দেয়। আমরা অনুরোধ করেছি, ২০২৬ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমাদের মেম্বারশিপের ব্যাপার রয়েছে, সেটাতে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। তারা বলেছে বিবেচনা করবে।
এ প্রসঙ্গে নাইজেরিয়ার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে সমর্থনের বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব। আলোচনার বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, আমরা কয়েকটি বিষয়ে বেশ পজিটিভ আলোচনা করেছি। যেমন- দুদেশের বিজনেস টু বিজনেস যারা আছেন, তাদের একটি অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলা; একটা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা যায় কি না দেখা, আমাদের বিনিয়োগকারীরা সে দেশে বিনিয়োগ করতে পারে কি না সেটা দেখা।
তিনি বলেন, ওদের বিপুল পরিমাণ জমি আছে। সেখানে কৃষিখাতে আমরা বিনিয়োগ করতে পারি। ওরাতো তেলসমৃদ্ধ দেশ, সে বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে। ওরা আগ্রহী আমাদের যে ১০০ অর্থনৈতিক জোন আছে। সেখানেও তারা বিনিয়োগ করতে চায়, তারা এ বিষয়টি স্টাডি করতে চায়।
নাইজেরিয়ার মন্ত্রী বলেন, নাইজেরিয়া আফ্রিকার অন্যতম বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ। আফ্রিকার ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র নাইজেরিয়া। সে কারণে আমরা বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে নাইজেরিয়ার ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করছি। একইভাবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদেরও নাইজেরিয়ায় বাণিজ্যের সুযোগ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।
টিপু মুনশি বলেন, নাইজেরিয়ার কাছ থেকে মূলত তেল-গ্যাস আনি। মোট মিলে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের আমদানি আমরা করি। আমাদের দিক থেকে কিছু যায়। ওখান থেকে খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে মশলাটশলা কিছু আসে। এই এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ভলিউমটাকে কীভাবে বাড়ানো যায়। আমাদের থেকেও বেশি জনসংখ্যা ওদের। অর্থনৈতিকভাবেও তারা ভালো আছে, সে কারণে রপ্তানির জন্য ভালো গন্তব্য হতে পারে আমাদের জন্য। তৈরি পোশাক বা অন্য কিছু হতে পারে।
রমজান নিয়ে ঘাবড়ানোর কারণ নেই
আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে ঘাবড়ানোর মতো কোনো কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী । তিনি বলেছেন, রমজান মাস সামনে রেখে আমরা অবস্থা সম্পর্কে খুব সচেতন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আনার জন্য এলসির বিষয়ে আমরা ফলোআপ করেছি, টাস্কফোর্সের মিটিং হয়েছে, ঘাবড়ানোর মতো কোনো কারণ নাই।