ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফেরার পরই নব যুগের সূচনা হয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সশরীরে স্বাধীন স্বদেশে ফিরে আসার পরই আমাদের নব যুগের যাত্রা শুরু হয়। এরপর যা যা করণীয় ছিল, বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে তা করে দিয়ে গেছেন।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য অত্যন্ত সুন্দর একটি পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন। যত যত বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে, সেগুলোর সদস্য পদ দিয়ে গেছেন। এমনকি জাতিসংঘের সদস্য পদও দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। এই ধরনের ক্ষণজন্মা পুরুষ আমাদের সমাজে এসেছিলেন বলেই আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকগুলো ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার মধ্যে সাদৃশ্য আছে। তারা দুজনই সাহসী ও দৃঢ়চেতা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আর এটা অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় দায়িত্ব রয়েছে। এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নে আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারিতে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা ছিল। যা থেকে এ প্রজন্মের কূটনীতিকরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন। এক্ষেত্রে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরীসহ তৎকালীন কূটনীতিকরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়েছিলেন, সেখানে গণহত্যা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের কথা বলেছিলেন। যে কাজটি এখনো আমরা শেষ করতে পারিনি। আলোচনা সভার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফেরার পরই নব যুগের সূচনা হয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ১২:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সশরীরে স্বাধীন স্বদেশে ফিরে আসার পরই আমাদের নব যুগের যাত্রা শুরু হয়। এরপর যা যা করণীয় ছিল, বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে তা করে দিয়ে গেছেন।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য অত্যন্ত সুন্দর একটি পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন। যত যত বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে, সেগুলোর সদস্য পদ দিয়ে গেছেন। এমনকি জাতিসংঘের সদস্য পদও দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। এই ধরনের ক্ষণজন্মা পুরুষ আমাদের সমাজে এসেছিলেন বলেই আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকগুলো ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার মধ্যে সাদৃশ্য আছে। তারা দুজনই সাহসী ও দৃঢ়চেতা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আর এটা অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় দায়িত্ব রয়েছে। এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নে আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারিতে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা ছিল। যা থেকে এ প্রজন্মের কূটনীতিকরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন। এক্ষেত্রে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরীসহ তৎকালীন কূটনীতিকরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়েছিলেন, সেখানে গণহত্যা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের কথা বলেছিলেন। যে কাজটি এখনো আমরা শেষ করতে পারিনি। আলোচনা সভার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।