ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় ৯৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব লডাঙ্গায় মাছ চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় র‍্যাব ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা। অপ্রত্যাশিত ঘটনার দ্বারা শেষ হলো গোয়ানঘাটের আন্তঃ ইউনিয়ন অনূর্ধ্ব ১৭ এর (বালক) ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ বোরহানউদ্দিন সাংস্কৃতিক সংসদ কমিটি গঠন রসিক মেয়র কে দুদকের চিঠি সরিষার ক্ষেতের সৌন্দর্যের আড়ালে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা ,পুণরায় ফলপ্রকাশের দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উৎদোগে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা-২০২৫ সম্পূর্ণ।

১৪টি নয়, শুধু একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে কেনা : ওয়াসা এমডি

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে যে প্রতিবেদন এসেছে তা ডাহা মিথ্যা। এর কোনো সত্যতা নেই। এই ১৪ বাড়ির মধ্যে শুধু একটি আমার স্ত্রীর কেনা। বাকি কোনোটিই আমাদের নয়।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।তাকসিম এ খান বলেন,  যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে ৫টি বাড়িতে আমার পরিবার সেখানে বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছেন। আর একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে। আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

তিনি বলেন, আমার স্ত্রী-সন্তান সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ট, তাই সেখানে একটি বাড়ি কেনা খুব অসুবিধার কিছু নেই। আমার স্ত্রীর নামেই ওই একটা বাড়ি আছে। সেটাকেও বাড়ি বলা যাবে না, এটা একটা অ্যাপার্টমেন্ট। ওয়াসার এমডি বলেন, বিভিন্ন সময় আমাকে নিয়ে এমন নানান রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু এগুলো সব মিথ্যা তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই এগুলো পুরোটাই অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা ওয়াসা থেকে অনৈতিক সুবিধা পায়নি বা পাচ্ছে না তারাই মূলত এসব করিয়ে থাকে।

তাকসিম এ খান বলেন, আমি এবং আমার পরিবারের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আমি সেখান থেকেই ওয়াসায় চাকরি করতে এসেছি। এমন নয় যে এখানে চাকরি করে আমার সম্পদ ওখানে গড়েছি। আমার স্ত্রী সেখানে সরকারি চাকরি করে। আমার সন্তানও সেখানে খুব ভালোমানের চাকরি করে। আমি যে ইনকাম করি তা থেকে ওদেরকে কিছুই দিতে হয় না। তারা ওখানে অনেক ভালো আছে; যে কারণে আমার স্ত্রীর নামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থাকা অস্বাভাবিক কিছুই না। তবে রিপোর্টে যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে তা পুরোপুরি অসত্য। এরমধ্যে ৫টি বাসার যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেগুলোতে আমার পরিবার বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছে। কিন্তু ডাহা মিথ্যা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে দেওয়া হলো।

আমার ছেলেও একসময় সেখানে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল কিন্তু তা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে অভিভাবক হিসেবে আমার নাম আছে। এই নামগুলো ইন্টারনেট থেকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন প্রতিবেদন করা হয়েছে, বলেন তাকসিম এ খান।

এদিকে, ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা দুটি অভিযোগের অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেছেন আদালত।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় ৯৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

১৪টি নয়, শুধু একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে কেনা : ওয়াসা এমডি

আপডেট সময় ০১:০৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে যে প্রতিবেদন এসেছে তা ডাহা মিথ্যা। এর কোনো সত্যতা নেই। এই ১৪ বাড়ির মধ্যে শুধু একটি আমার স্ত্রীর কেনা। বাকি কোনোটিই আমাদের নয়।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।তাকসিম এ খান বলেন,  যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে ৫টি বাড়িতে আমার পরিবার সেখানে বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছেন। আর একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে। আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

তিনি বলেন, আমার স্ত্রী-সন্তান সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ট, তাই সেখানে একটি বাড়ি কেনা খুব অসুবিধার কিছু নেই। আমার স্ত্রীর নামেই ওই একটা বাড়ি আছে। সেটাকেও বাড়ি বলা যাবে না, এটা একটা অ্যাপার্টমেন্ট। ওয়াসার এমডি বলেন, বিভিন্ন সময় আমাকে নিয়ে এমন নানান রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু এগুলো সব মিথ্যা তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই এগুলো পুরোটাই অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা ওয়াসা থেকে অনৈতিক সুবিধা পায়নি বা পাচ্ছে না তারাই মূলত এসব করিয়ে থাকে।

তাকসিম এ খান বলেন, আমি এবং আমার পরিবারের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আমি সেখান থেকেই ওয়াসায় চাকরি করতে এসেছি। এমন নয় যে এখানে চাকরি করে আমার সম্পদ ওখানে গড়েছি। আমার স্ত্রী সেখানে সরকারি চাকরি করে। আমার সন্তানও সেখানে খুব ভালোমানের চাকরি করে। আমি যে ইনকাম করি তা থেকে ওদেরকে কিছুই দিতে হয় না। তারা ওখানে অনেক ভালো আছে; যে কারণে আমার স্ত্রীর নামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থাকা অস্বাভাবিক কিছুই না। তবে রিপোর্টে যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে তা পুরোপুরি অসত্য। এরমধ্যে ৫টি বাসার যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেগুলোতে আমার পরিবার বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছে। কিন্তু ডাহা মিথ্যা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে দেওয়া হলো।

আমার ছেলেও একসময় সেখানে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল কিন্তু তা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে অভিভাবক হিসেবে আমার নাম আছে। এই নামগুলো ইন্টারনেট থেকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন প্রতিবেদন করা হয়েছে, বলেন তাকসিম এ খান।

এদিকে, ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা দুটি অভিযোগের অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেছেন আদালত।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।