ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাওনা ভাতা চেয়ে বিটিসিএল এমডির বিরুদ্ধে কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

চাকরিতে স্থায়ী হওয়া সত্ত্বেও বিধিমালা অনুযায়ী পেনশনসহ বিভিন্ন ভাতা থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কর্মচারীরা। এজন্য বিটিসিএলের এমডি মো. রফিকুল মতিনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাকে দায়ী করেছেন স্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নেতারা।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সরকারি সুবিধাবঞ্চিত প্রায় তিন হাজার কর্মচারীদের পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় স্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম সেলিমসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বিটিসিএলের এমডি মো. রফিকুল মতিনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আমরা স্থায়ী হওয়ার পরও অবসর ভাতাসহ প্রাপ্য অন্যান্য সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘদিন আন্দোলন করার পরও পাওনা পাচ্ছি না। এমনকি ২০০৮ সাল থেকে প্রায় ৪০০ জন কর্মচারী মৃত্যুবরণ ও অবসর নিয়েছেন। তাদের আনুতোষিকের কোনো ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়ায় তাদের শূন্য হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।

হুমায়ুন কবির বলেন, নিয়োগ পত্রের শর্তে শিক্ষানবিশ কাল একবছর পার হওয়ার পর স্থায়ীকরণের কথা উল্লেখ থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়েছে তিনবছর ছয়মাস পর। অর্গানোগ্রামের ১১ ও ১০তম গ্রেডের হাজার হাজার শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতির কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। ইতোমধ্যে আমাদের অনেক কর্মচারী অবসরগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের শূন্য হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী মামলা প্রত্যাহার, মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়াধীন ও মামলা বিহীন ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের শূন্য পদে আত্মীকরণ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে।
অবসরপ্রাপ্ত স্থায়ী কর্মচারীদের অর্জিত ছুটি, অর্ধবেতনে ছুটি নগদায়ন, কল্যাণ তহবিল ও যৌথবীমা চালু করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু দাবি উপস্থাপন করা হয়। সংগঠনটির দাবিগুলো হলো:

১. সাবেক বিটিটিবিতে কর্মরত ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের বিটিসিএলে ন্যস্ত করণের আগে বাংলাদেশ টি অ্যান্ড টি শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেল ইউনিয়ন (সিবিএ-বি-১৮২০) কর্তৃক শিল্প বিরোধে উত্থাপিত ৩০০ মাসের আনুতোষিক প্রদান।

২. বিটিসিএলে যোগদানকৃত অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত্যুবরণকারী স্থায়ী কর্মচারীদের নিয়োগপত্রে শর্তানুযায়ী
২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে গণনাপূর্বক আনুতোষিক প্রদান করা।

৩. মামলা প্রত্যাহারকারী, মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়াধীন ও মামলা বিহীন ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের দ্রুত শূন্য পদে আত্মীকরণ করা।

৪. অর্জিত ছুটি, অর্ধবেতনে ছুটি নগদায়ন, কল্যাণ তহবিল ও যৌথবীমা অবিলম্বে চালু করা।

৫. বিটিসিএল বর্তমান অর্গানোগ্রামের ১১ ও ১০ তম গ্রেডের পদ ও পদবীসমূহ অক্ষুণ্ন রেখে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া।

৬. বিটিসিএলে চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীদের দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বিটিসিএল কল্যাণ তহবিল থেকে তাৎক্ষণিক এক লাখ টাকা প্রদান করা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাওনা ভাতা চেয়ে বিটিসিএল এমডির বিরুদ্ধে কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৩:২২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

চাকরিতে স্থায়ী হওয়া সত্ত্বেও বিধিমালা অনুযায়ী পেনশনসহ বিভিন্ন ভাতা থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কর্মচারীরা। এজন্য বিটিসিএলের এমডি মো. রফিকুল মতিনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাকে দায়ী করেছেন স্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নেতারা।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সরকারি সুবিধাবঞ্চিত প্রায় তিন হাজার কর্মচারীদের পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় স্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম সেলিমসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বিটিসিএলের এমডি মো. রফিকুল মতিনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আমরা স্থায়ী হওয়ার পরও অবসর ভাতাসহ প্রাপ্য অন্যান্য সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘদিন আন্দোলন করার পরও পাওনা পাচ্ছি না। এমনকি ২০০৮ সাল থেকে প্রায় ৪০০ জন কর্মচারী মৃত্যুবরণ ও অবসর নিয়েছেন। তাদের আনুতোষিকের কোনো ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়ায় তাদের শূন্য হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।

হুমায়ুন কবির বলেন, নিয়োগ পত্রের শর্তে শিক্ষানবিশ কাল একবছর পার হওয়ার পর স্থায়ীকরণের কথা উল্লেখ থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়েছে তিনবছর ছয়মাস পর। অর্গানোগ্রামের ১১ ও ১০তম গ্রেডের হাজার হাজার শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতির কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। ইতোমধ্যে আমাদের অনেক কর্মচারী অবসরগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের শূন্য হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী মামলা প্রত্যাহার, মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়াধীন ও মামলা বিহীন ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের শূন্য পদে আত্মীকরণ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে।
অবসরপ্রাপ্ত স্থায়ী কর্মচারীদের অর্জিত ছুটি, অর্ধবেতনে ছুটি নগদায়ন, কল্যাণ তহবিল ও যৌথবীমা চালু করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু দাবি উপস্থাপন করা হয়। সংগঠনটির দাবিগুলো হলো:

১. সাবেক বিটিটিবিতে কর্মরত ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের বিটিসিএলে ন্যস্ত করণের আগে বাংলাদেশ টি অ্যান্ড টি শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেল ইউনিয়ন (সিবিএ-বি-১৮২০) কর্তৃক শিল্প বিরোধে উত্থাপিত ৩০০ মাসের আনুতোষিক প্রদান।

২. বিটিসিএলে যোগদানকৃত অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত্যুবরণকারী স্থায়ী কর্মচারীদের নিয়োগপত্রে শর্তানুযায়ী
২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে গণনাপূর্বক আনুতোষিক প্রদান করা।

৩. মামলা প্রত্যাহারকারী, মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়াধীন ও মামলা বিহীন ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের দ্রুত শূন্য পদে আত্মীকরণ করা।

৪. অর্জিত ছুটি, অর্ধবেতনে ছুটি নগদায়ন, কল্যাণ তহবিল ও যৌথবীমা অবিলম্বে চালু করা।

৫. বিটিসিএল বর্তমান অর্গানোগ্রামের ১১ ও ১০ তম গ্রেডের পদ ও পদবীসমূহ অক্ষুণ্ন রেখে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া।

৬. বিটিসিএলে চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীদের দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বিটিসিএল কল্যাণ তহবিল থেকে তাৎক্ষণিক এক লাখ টাকা প্রদান করা।