ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

বলিউডের ডিজাস্টারের বছর ২০২২

২০২২ সালটা সহজেই ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন বলিউডের সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। দক্ষিণী সিনেমা যেখানে কোটি কোটি টাকা ব্যবসা করেছে সেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে বলিউডের বড় বড় তারকাদের বিশাল বাজেটের সব সিনেমা। 

বছরজুড়ে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা ছবি হিট করেছে, বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছে। বছর শেষে মুক্তি পাওয়া সার্কাস তো সোজাসুজি মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্স অফিসে।

কিন্তু আচমকাই বলিউডের এমন করুন দশা হল কেন? এটা কি মহামারির সাইড এফেক্ট? ট্রেড অ্যানালিস্ট করণ তৌরনি জানান, ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া মাত্র ১২-১৪ শতাংশ ছবিই বক্স অফিসে হিট করেছিল। আর বাকি সব ছবিই হতাশ করেছে। মহামারির আগে যেখানে হিন্দি ছবির মোট বক্স অফিস কালেকশন ছিল ৪০০০ কোটি টাকা সেটাই ২০২২ সালে মহামারির পর কমে হয়েছে ৩০০০-৩২০০ কোটি টাকা মতো। যদিও অনেকটাই রিকভার করেছে বলিউড। তবুও হিন্দি ছবির যোগদান খুব কমে গেছে। এ ৩২০০ কোটির মধ্যে ৮০০ কোটির মতো এসেছে আঞ্চলিক ভাষার ছবিগুলো থেকে। যেমন ‘আরআরআর’, ‘কেজিএফ ২’, ইত্যাদি। ফলে এগুলো বাদ দিলে হিন্দি ছবির নিজের অংশ হচ্ছে মোট আয়ের ৬০ শতাংশ।

কিন্তু কেন এমন অবস্থা হচ্ছে বলিউডের? এ বিষয়ে তিনি জানান, বলিউডের কনটেন্টগুলো দর্শকদের পছন্দ হচ্ছে না। একই মত তোরণ আদর্শের। তিনি বলেন, ২০২২ সালটা সব থেকে খারাপ গেল। একটাও কনটেন্ট চলেনি। মহামারির পর দর্শকদের পছন্দে একটা আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ এখন বুঝে গিয়েছে তারা কোনটা হলে বসে দেখতে চান আর কোনটা ঘরে বসে ওটিটিতে।

এদিকে বলিউডের এ খারাপ দশার জন্য ওটিটিকে দায়ী করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, যেহেতু বাড়ি বসে ছবি দেখতে পাচ্ছেন বলেই অনেকে হলে যেতে চাইছেন না। এই প্রসঙ্গে করণ বলেন, ওটিটি একটা ফ্যাক্টর বটে। কিন্তু আসল ফ্যাক্টর হলো কনটেন্ট। আগে প্রতি তিন মাস অন্তর ২০-২২টা করে ছবি মুক্তি পেত বড় পর্দায়। এখন ১৫-১৭টা ছবিও মুক্তি পায় না। আগে ৪-৫টি ছবিই ১০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলত, এখন সেটা ২০-২২টা ছবি মিলিয়ে হচ্ছে। আগে অনেক ছোট বাজেটের ছবিও ভালো সাড়া পেয়েছে, সেখানে বড় বাজেটের ছবিগুলো অন্তত ৫০-১০০ কোটির ব্যবসা করত। কিন্তু এখন তো ছবিগুলো মহামারির আগে যা ব্যবসা করত সেটুকুও করতে পারছে না।

শুধু তাই নয়, তারকাদের নিয়ে যে মাতামাতি, উন্মাদনা সেটাও কমে গিয়েছে। অক্ষয় কুমার, শাহীদ কাপুর, অজয় দেবগণদের যে খ্যাতি ছিল সেটা কোথাও যে এই এখন কমছে বা তার প্রভাব বক্স অফিসে দেখা যাচ্ছে না। তোরণ আদর্শের মতে, তারকারা তাদের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলেছেন। তারকার নাম দেখে দর্শকরা এখন আর হলে আসে না। আর সেটা বরুণ ধাওয়ানের ভেড়িয়া, রণবীর সিংয়ের সার্কাস দেখেই বোঝা গিয়েছে।

শুধু তাই নয়, দক্ষিণী ছবির রমরমা বাড়ছে। আরআরআর, কান্তারা, পন্নিয়িন সেলভান, ইত্যাদি ছবি মানুষের থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছে। এ ধরনের স্ক্রিপ্ট দর্শকরা নিচ্ছে। একদিকে যখন বলিউড ডুবছে, তখন আরেকদিকে দক্ষিণী ছবিগুলো দর্শকদের থেকে ভালোবাসা পাচ্ছে। এই বিষয়ে তোরণ বলেন, তারা গোটা ভারতের দর্শকদের জন্য ছবি বানাচ্ছেন। তাদের ছবির গল্পের শিকড় ভারতের সঙ্গে জুড়ে, যা মানুষ রিলেট করতে পারছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

বলিউডের ডিজাস্টারের বছর ২০২২

আপডেট সময় ০২:৩০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

২০২২ সালটা সহজেই ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন বলিউডের সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। দক্ষিণী সিনেমা যেখানে কোটি কোটি টাকা ব্যবসা করেছে সেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে বলিউডের বড় বড় তারকাদের বিশাল বাজেটের সব সিনেমা। 

বছরজুড়ে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা ছবি হিট করেছে, বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছে। বছর শেষে মুক্তি পাওয়া সার্কাস তো সোজাসুজি মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্স অফিসে।

কিন্তু আচমকাই বলিউডের এমন করুন দশা হল কেন? এটা কি মহামারির সাইড এফেক্ট? ট্রেড অ্যানালিস্ট করণ তৌরনি জানান, ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া মাত্র ১২-১৪ শতাংশ ছবিই বক্স অফিসে হিট করেছিল। আর বাকি সব ছবিই হতাশ করেছে। মহামারির আগে যেখানে হিন্দি ছবির মোট বক্স অফিস কালেকশন ছিল ৪০০০ কোটি টাকা সেটাই ২০২২ সালে মহামারির পর কমে হয়েছে ৩০০০-৩২০০ কোটি টাকা মতো। যদিও অনেকটাই রিকভার করেছে বলিউড। তবুও হিন্দি ছবির যোগদান খুব কমে গেছে। এ ৩২০০ কোটির মধ্যে ৮০০ কোটির মতো এসেছে আঞ্চলিক ভাষার ছবিগুলো থেকে। যেমন ‘আরআরআর’, ‘কেজিএফ ২’, ইত্যাদি। ফলে এগুলো বাদ দিলে হিন্দি ছবির নিজের অংশ হচ্ছে মোট আয়ের ৬০ শতাংশ।

কিন্তু কেন এমন অবস্থা হচ্ছে বলিউডের? এ বিষয়ে তিনি জানান, বলিউডের কনটেন্টগুলো দর্শকদের পছন্দ হচ্ছে না। একই মত তোরণ আদর্শের। তিনি বলেন, ২০২২ সালটা সব থেকে খারাপ গেল। একটাও কনটেন্ট চলেনি। মহামারির পর দর্শকদের পছন্দে একটা আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ এখন বুঝে গিয়েছে তারা কোনটা হলে বসে দেখতে চান আর কোনটা ঘরে বসে ওটিটিতে।

এদিকে বলিউডের এ খারাপ দশার জন্য ওটিটিকে দায়ী করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, যেহেতু বাড়ি বসে ছবি দেখতে পাচ্ছেন বলেই অনেকে হলে যেতে চাইছেন না। এই প্রসঙ্গে করণ বলেন, ওটিটি একটা ফ্যাক্টর বটে। কিন্তু আসল ফ্যাক্টর হলো কনটেন্ট। আগে প্রতি তিন মাস অন্তর ২০-২২টা করে ছবি মুক্তি পেত বড় পর্দায়। এখন ১৫-১৭টা ছবিও মুক্তি পায় না। আগে ৪-৫টি ছবিই ১০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলত, এখন সেটা ২০-২২টা ছবি মিলিয়ে হচ্ছে। আগে অনেক ছোট বাজেটের ছবিও ভালো সাড়া পেয়েছে, সেখানে বড় বাজেটের ছবিগুলো অন্তত ৫০-১০০ কোটির ব্যবসা করত। কিন্তু এখন তো ছবিগুলো মহামারির আগে যা ব্যবসা করত সেটুকুও করতে পারছে না।

শুধু তাই নয়, তারকাদের নিয়ে যে মাতামাতি, উন্মাদনা সেটাও কমে গিয়েছে। অক্ষয় কুমার, শাহীদ কাপুর, অজয় দেবগণদের যে খ্যাতি ছিল সেটা কোথাও যে এই এখন কমছে বা তার প্রভাব বক্স অফিসে দেখা যাচ্ছে না। তোরণ আদর্শের মতে, তারকারা তাদের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলেছেন। তারকার নাম দেখে দর্শকরা এখন আর হলে আসে না। আর সেটা বরুণ ধাওয়ানের ভেড়িয়া, রণবীর সিংয়ের সার্কাস দেখেই বোঝা গিয়েছে।

শুধু তাই নয়, দক্ষিণী ছবির রমরমা বাড়ছে। আরআরআর, কান্তারা, পন্নিয়িন সেলভান, ইত্যাদি ছবি মানুষের থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছে। এ ধরনের স্ক্রিপ্ট দর্শকরা নিচ্ছে। একদিকে যখন বলিউড ডুবছে, তখন আরেকদিকে দক্ষিণী ছবিগুলো দর্শকদের থেকে ভালোবাসা পাচ্ছে। এই বিষয়ে তোরণ বলেন, তারা গোটা ভারতের দর্শকদের জন্য ছবি বানাচ্ছেন। তাদের ছবির গল্পের শিকড় ভারতের সঙ্গে জুড়ে, যা মানুষ রিলেট করতে পারছে।